ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্যাংকের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান চায় ডিএসই

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১ মে ২০১৫

ব্যাংকের বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান চায় ডিএসই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা (এক্সপোজার লিমিট) নিয়ে পুঁজিবাজারে চলমান সমস্যার সমাধান চায় প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এটি নিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. স্বপন কুমার বালা। বৃহস্পতিবার বিএসইসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে এক জরুরী সভা শেষে তিনি এই কথা জানান। বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কমিশনার মোঃ হেলাল উদ্দিন নিজামী, আরিফ খান, মোঃ সালাম শিকদারসহ ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট নিয়ে পুঁজিবাজারে যে সমস্যা রয়েছে তার সমাধানে বিএসইসির সঙ্গে আলোচনা করেছি। কারণ সিঙ্গেল এক্সপোজার ইক্যুইটির ২৫ শতাংশ ও কনস্যুলেটেড এক্সপোজার ইক্যুইটির ৫০ শতাংশ; যা আগামী বছরের ২১ জুলাইয়ের পরে আইনে বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। আবার কিছু জায়গায় বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনেই বলা আছে যে কিছু জিনিস এক্সপোজারে আসবে না। এই যে রেগুলেশনের ওভারলেপিং; এ নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসার জন্য চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, মার্কেটের মূল সমস্যার একটা বড় সমস্যা বলা হয় ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি বা যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে পড়েন। এটা তাদের সমস্যা; যা পুঁজিবাজারে এক নম্বর সমস্যা। বাজারে কোন সিকিউরিটিজের দাম বেড়ে গেলে এদের এক্সপোজার বেড়ে যায়। কারণ এটা মার্ক টু মার্কেট এ্যাকাউন্টিং ফলো করা হয়। আবার ট্রেড না করলেও এদের ট্রেড বেড়ে যায় বা কমে যায়। এটা তাড়াতাড়ি সমাধান হওয়া উচিত। স্বপন কুমার বালা বলেন, এখন সিডিবিএলে সিকিউরিটিজ পে-ইন করা সাড়ে ১২টার পরিবর্তে সাড়ে ১০টার দিকে করার দাবিও জানানো হয়েছে। কারণ এটার সঙ্গে শর্ট সেল হওয়ার বিষয় আছে। এটা বিবেচনা করা হবে। আর সিডিবিএলের চার্জকে স্ট্যান্ডার্ড পর্যায়ে আনার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে এ নিয়ে আবার আমাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। সেখানে চার্জ বিষয়ে আরও আলোচনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, নতুন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) ব্যাপারে আমরা নতুন কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। যেমন - এখানে প্রথম ৫ দিন প্রাইজ লিমিট ওপেন থাকে। অন্যদিকে একটা কোম্পানি লভ্যাংশ ঘোষণা করলে তা মাত্র একদিন ওপেন থাকে। কিভাবে এটাকে সমন্বয় আনা যায় এটা কমিশন বিবেচনায় আনবেন। আবার নতুন কোম্পানি পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির আগে নিয়মিত বার্ষিক সধারণ সভা (এজিএম) করে না। তাদের আমরা প্রথমে ‘এন’ ক্যাটাগরিতে দিয়ে থাকি। আবার নিবন্ধিত কোম্পানি যারা নিয়মিত এজিএম করতে পারে না; তাদের দেয়া হয় ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে। এই বিষয়টিও সমন্বয়ের জন্য আলোচনা হয়েছে। সার্কিট ব্রেকার নিয়ে তিনি বলেন, সার্কিট ব্রেকারে দুই ধরনের ফিগার থাকে।
×