ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে নেই ওয়াকারের

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ৩০ এপ্রিল ২০১৫

সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছে নেই ওয়াকারের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্রিকেটে কোচের চাকরিটা কি ফুটবলের মতো হতে যাচ্ছে, ব্যর্থতায় বড় কোপটা যে পড়ছে তারই ওপর। বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে, টি২০ ভরাডুবির পর প্রশ্নটা জোরেশোরে উঠছে। পাকিস্তান কোচ ওয়াকার ইনুসকে কি অব্যাহতি দেয়া হবে, কিংবা সরে যাবেন তিনি? কাল জিও টিভিকে দেয়া সাক্ষাতকারে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন সাবেক ‘স্পিডস্টার’। চাকরি ছাড়ার কোন ইচ্ছেই নেই তার। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বরাত দিয়ে প্রকাশিত আরেক খবরে জানানো হয়েছে, আসন্ন জিম্বাবুইয়ে সফরে তাকে বাধ্যতামূলক বিশ্রামে পাঠানো হতে পারে! ‘আমার ভাবনায় কখনই কোচের পদ ছাড়ার কথা চিন্তা আসেনি। একটা কথা স্মরণ রাখতে হবে যে, এই পাকিস্তান একেবারে নতুন একটা দল। বেশ কয়েকজন সিনিয়রকে ছাড়া ওয়ানডে খেলতে হয়েছে। কেবল তাই নয়, অধিনায়কও নতুন। সুতরাং তাদের সময় দিতে হবে। তিন ম্যাচ বা এক সিরিজের ব্যর্থতায় মাথা না ঘামিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হবে। আমি সেটাই ভাবি, নিশ্চই পিসিবিও তেমনটাই চাইছে। আমরা একটি ভাল দলে পরিণত হই।’ বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি আরও যোগ করেন, ‘গত কয়েক বছরে অনেক উন্নতি করেছে। তারা ভাল খেলেছে। তবে একটি আনকোড়া দল নিয়ে আমরা অতটা খারাপ খেলিনি!’ ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের কাছে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ হয় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। হারে টি২০তেও। সমালোচনায় ফেটে পড়েন দেশটির সাবেক গ্রেটরা। অনেকেই কোচ ওয়াকারসহ বোর্ডে দাবি করেন। ওয়াকার পদত্যাগ করছেন বলেও শোন যায়। কাল সে সবই উড়িয়ে দেন তিনি। পাকিস্তানের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি রয়েছে ৪৩ বছর বয়সী ওয়াকারের। অন্যদিকে ওয়ানডে ভরাডুবিতে এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পিসিবি। পাশাপাশি আসন্ন জিম্বাবুইয়ে সফরে ওয়াকারকে বিশ্রামে রাখতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে বলেও পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যমের খবর। সেক্ষেত্রে ওই সফরে ভারপ্রাপ্ত কোচের দায়িত্ব পালন করবেন কোচ বাছাই কমিটির প্রধান কবির খান। ২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানো ওয়াকার এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে কোচের দায়িত্ব পালন করেন। তখন সেমিতে জায়গা করে নিয়েছিল শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিরা।
×