ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

প্রকাশিত: ০৬:১০, ২৭ এপ্রিল ২০১৫

প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

দৈনিক জনকণ্ঠের গত ২২ এপ্রিল সংখ্যার শেষের পাতায় ‘গজারিয়ায় বিদেশী কোম্পানির যন্ত্রপাতি আটকে রেখেছে প্রভাবশালী’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন মেঘনা মাল্টিপারপাস হিমাগার লিমিটেডের মালিক ইঞ্জিনিয়ার মেজর (অব) জসিম উদ্দিন। প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেছেন- বিদেশী কোম্পানিটিকে (তুরস্কের ফেরনাস কনস্ট্রাকসন কোম্পানি লিঃ) মৌখিক আলোচনায় জমি ব্যবহার করতে দেয়া হয়। ক্ষতিপূরণসহ ৫০ লাখ ৬০ হাজার টাকা কোম্পানিটি তাকে নিয়মিত চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায়ের কোন অবকাশ নেই। প্রতি বর্গফুট দুই টাকা হারে জমি ভাড়া এক কোটি ১৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা পাওনা হন। পাওনাা আদায়ে পত্র দেয়া সত্ত্বেও তা পরিশোধ রা করে রক্ষিত মালামাল (মেশিনপত্র) জোরপূর্বক সরিয়ে নিতে বিভিন্ন ধরনের প্রচেষ্টা চালায় কোম্পানিটি। ভাড়া পরিশোধ না করে যাতে এসব মেশিনারিজ নিতে না পারে তাই ১২ ডিসেম্বর ২০১৪ গজারিয়া থানায় জিডি এবং জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ইউএনওকে অবহিত করা হয়। ইউএনও গত ১ এপ্রিল পরিদর্শন করে দেখতে পান আমার জায়গা হস্তান্তর না করে বিদেশী কোম্পানিটি ভারি যন্ত্রপাতি রেখে দখল করে রেখেছে। উক্ত কোম্পানির যন্ত্রপাতি আটক করা হয়নি। প্রতিবেদকের বক্তব্য ॥ প্রতিবাদলিপিতেই সত্যতা মিলেছে প্রতিবেদনটির। এর পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে বিদেশী কোম্পানিটির মেশিনারিজ নিতে না পারার জন্য নানা ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হলেও আবার দাবি করা হয়েছে কোম্পানিটি তার জমি দখল করে রেখেছে, যন্ত্রপাতি আটক করা হয়নি। পেট্রোবাংলা কোম্পানির জিটিসিএলের (গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড) বাখরাবাদ-সিদ্ধিরগঞ্জ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আইনুল কবির যাবতীয় বিষয় ও সংশ্লিষ্ট কাগজ দিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি পত্র লিখেছেন। পুলিশ সুপার এবং ইউএনওসহ সংশ্লিষ্টদের পত্রের অনুলিপি দিয়েছেন। এতে ইঞ্জিনিয়ার মেজর (অব) জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চুক্তিপত্র ছাড়া জমি ভাড়া দেয়া এবং মালামাল ও যন্ত্রপাতি আটক রাখাসহ এহেন কর্মকা- দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœœ করার স্পষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করেছেন এবং কোম্পানিটির থানায় জিডি করা ও গজারিয়া ইউএনও কর্তৃক ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিনকে শোকজ করার বিষয়টিও প্রতিবাদ লিপিতে এড়িয়ে গেছেন। প্রকল্প পরিচালক মোঃ আইনুল কবির উল্লেখ করেছেন, প্রকল্পের পাশে সরকারের হুকুম দখলকৃত এবং পাশের কিছু জমি ব্যবহার করেছে এই কোম্পানি। ভয়ভীতি দেখিয়ে তুর্কী এই কোম্পানির কাছ থেকে ৫০ লাখ ৬০ হাজার টাকা আদায় করেছেন ইঞ্জিনিয়ার জসিম উদ্দিন। জনকণ্ঠের অনুসন্ধানে ও সংশ্লিষ্ট সকলের বক্তব্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটিতে বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। আর দেশের প্রচলিত আইনে চুক্তিবিহীন ভাড়াটিয়ার মালামাল এভাবে আটকের বিধান আছে কি?
×