ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মীকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মীকে গুলি করে হত্যা

পাকিস্তানের বিশিষ্ট নারী মানবাধিকার কর্মী সাবিন মাহমুদ পরিকল্পিত হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন। শুক্রবার রাত নয়টার দিকে তাকে বহনকারী সুজুকি গাড়িটি করাচীর ডিফেন্স সেন্ট্রাল লাইব্রেরির ট্রাফিক সিগন্যালে পৌঁছালে উভয় দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহী বন্ধুকধারীরা তার ওপর গুলি চালায়। এ সময় সঙ্গে থাকা তার মাকেও গুলি করা হয়। সাবিনের শরীরে ৪টি এবং তার মায়ের শরীরে দুটি গুলি লাগে। ঘটনার পর হাসপাতালে নেয়ার পথে সাবিন মাহমুদের মৃত্যু হয়। তার মাকে আগাখান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার আহত মায়ের শারীরিক অবস্থাও গুরুতর। খবর ডন, বিবিসি ও দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন অনলাইনের। ঘটনার সময় সাবিন মাহমুদ বেলুচিস্তান প্রদেশে নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশগ্রহণ শেষে ফিরছিলেন বলে খবরে বলা হয়েছে। এর আগে তাকে কয়েকবার হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। ‘দ্য সেকেন্ড ফ্লোর’ নামে তার একটি মানবাধিকার সংগঠন রয়েছে। সংগঠনটি সংক্ষেপে ‘টিটুএফ’ নামেও পরিচিত। ‘টিটুএফ’র নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। সাবিন মাহমুদের নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই শোক প্রকাশ করতে থাকে। নাইজিরীয় শহর ফের বোকো হারামের দখলে নাইজিরিয়ার মার্তে শহর পুনরায় দখলে নিল জঙ্গী সংগঠন বোকো হারাম। শুক্রবার স্থানীয় কমিউনিটি নেতা ইমামু হাবিব বলেন, দুই হাজারেরও বেশি জঙ্গী বৃহস্পতিবার বিভিন্ন দিক থেকে এসে সৈন্যদের ওপর হামলা চালায়। সারারাত এবং পর দিন সকাল পর্যন্ত সৈন্যদের সঙ্গে তাদের যুদ্ধ চলে। একপর্যায়ে শত শত সৈন্য পালাতে বাধ্য হয়। খবর এএফপির। স্থানীয় যোদ্ধা শেহু দান বাইবা বলেন, শহর নিয়ন্ত্রণে নিতে বোমা ও ট্যাঙ্ক নিয়ে সশস্ত্র দুই হাজারেরও বেশি জঙ্গী হামলা চালায়। তারা বিনা বাধায় এসব অস্ত্র ব্যবহার এবং বেশ কিছু লোককে হত্যা করে। বোকো হারাম বোর্নো রাজ্যের মার্তে শহরটি তৃতীয়বারের মতো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পেরেছে। তাদের গত ছয় বছরের জঙ্গী তৎপরতার মূল যুদ্ধক্ষেত্র এটি। তাদের জঙ্গী তৎপরতায় ১৩ হাজারেরও বেশি লোক নিহত ও ১৫ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
×