ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

২ কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ২৬ এপ্রিল ২০১৫

২ কোটি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ক্যাম্পেইনের আওতায় শনিবার আনন্দমুখর পরিবেশে সারাদেশে ২ কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। শনিবার ঢাকায় মহাখালীর আইসিডিডিআরবি-এর সাসাকাওয়া মিলনায়তনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্যাপিত হয়। স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সম্মানিত অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নূরুল হক ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ নূর হোসেন তালুকদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেনÑ জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মোঃ আলমগীর আহমেদ। ক্যাম্পেইন উদ্বোধনের সময় ফেস্টুন সম্বলিত বেলুন উড্ডয়ন করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। শুধুমাত্র বছরে ২ বার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত রাতকানা রোগের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। ১৯৮২ সালে যেখানে বছরে শতকরা ৩.৭৬ জন শিশু রাতকানা রোগে আক্রান্ত হতো, এখন সেখানে এ হার শতকরা ০.০৪ ভাগে নেমে এসেছে। এটা সম্ভব হয়েছে সরকার পরিচালিত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এবং সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের কারণে। ক্যাম্পেইন দিবসে একটি শিশুও যেন বাদ না পড়ে; উদ্দিষ্ট সকল শিশুকেই যেন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। বছরে ২ বার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে শিশুদের আমরা রাতকানা, অন্ধত্ব, অপুষ্টি ও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারি। শনিবার সন্ধ্যায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক আলমগীর আহমেদ জানান, শনিবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
×