ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে ঘুম হারাম প্রার্থীদের

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ২৫ এপ্রিল ২০১৫

নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে ঘুম হারাম  প্রার্থীদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচনী সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে উত্তেজনা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। শেষ মুহূর্তে এসে তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারও তুঙ্গে উঠেছে। আইন অনুযায়ী প্রার্থীরা আর মাত্র একদিন নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন। এ সময়ের মধ্যে সব ভোটারের কাছে যেতে তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। সরগরম নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন তিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তাদের একটানা প্রচারে পাড়া মহল্লাসহ নির্বাচনী এলাকায় সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। নির্বাচনের আগে যেটুকু সময় পাচ্ছেন তার পুরোটাই সদ্ব্যবহার করতে চান তারা। এজন্য শুধু প্রার্থীরা নয়, প্রার্থীর পক্ষে যেমন দলীয় নেতারাও সক্রিয়ভাবে প্রচারের অংশ নিচ্ছে, তেমনি পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজনরা থেমে নেই। এছাড়া বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের সমর্থন জানিয়ে ভোট চাওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী আজ ও কালকের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারের সুযোগ পাবেন প্রার্থীরা। এর পরেই বন্ধ হয়ে যাবে সব ধরনের প্রচার। এ হিসাব মাথায় নিয়েই নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। জয়লাভের বিষয়ে প্রচারে থাকা প্রায় সব প্রার্থী আশাবাদী। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। শুক্রবারও তিনি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তার পক্ষে দলীয় লোকজন, আত্মীয়স্বজন নির্বচনী প্রচারের ব্যস্ত সময় কাটান। মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী একাই নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনও মির্জা আব্বাস তার পক্ষে প্রচারে নামতে পারেননি। আফরোজা আব্বাসের মতোই সাঈদ খোকনের স্ত্রীও মাঠে রয়েছে নির্বাচনী প্রচারে। অপর দিকে ঢাকা উত্তরের আনিসুলের পক্ষে তিনি যেমন নিজে সক্রিয় রয়েছেন, তেমনি দলীয় লোকজন ছাড়াও তার স্ত্রীও প্রতিদিন তার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। তাবিথ আউয়ালের পক্ষে শেষ দিকে এসে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। বসে নেই তাবিথের আত্মীয়স্বজনও। তার মা নাসরিন আউয়ালও প্রায় প্রতিদিন নির্বাচনী প্রচারে ছেলের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন। চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বসে নেই প্রার্থীরা। সরগরম প্রচারে সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এদিকে আর মাত্র দুদিন পরেই অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারের সময়সীমা সীমিত হয়ে আসছে। আগামীকালের মধ্যেই সব প্রার্থীকে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী আজ কাল প্রার্থীরা মাঠে থাকতে পারবেন। এদিকে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারে প্রার্থীদের মরিয়া হয়ে ভোট চাইতে দেখা গেছে। এদিকে নির্বাচনের আগে শুক্রবার শেষ জুমার দিন হওয়ায় প্রার্থীরা সবাই মুসল্লিদের দৃষ্টি কাড়তে ছুটে গেছেন মসজিদে। নির্বাচনে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য সবার কাছে দোয়া চান তারা। এদিকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ইসির পক্ষ থেকে সবরকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে আজকের মধ্যে যারা বহিরাগত আছেন তাদের ঢাকা ত্যাগ করতে হবে। এছাড়া আগামীকাল ২৬ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোন প্রকার জনসভা আহ্বান, এতে যোগদান, কোন প্রকার মিছিল বা শোভাযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ সোমবার রাত ১২টা থেকে নির্বাচনী এলাকায় যানচলাচলের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রার্থী, প্রশাসনের অনুমোদিত ব্যক্তি এবং মহাসড়কে কয়েকটি ক্ষেত্রে যানচলাচলের ক্ষেত্রে ছাড় দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এদিকে ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল রবিবার থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রয়োজন মতে সেনাবাহিনী টহল দেবে। কমিশন জানিয়েছে, রিটার্নিং অফিসারের চাহিদা মোতাবেক আগামীকাল থেকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী কাজ করবে। তবে তারা সেনানিবাসের অভ্যন্তরেই অবস্থান করবে বলে ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়াও তিন সিটি নির্বাচনে সুশৃঙ্খলভাবে ভোটদানের নিশ্চয়তা দেয়া ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আগামীকাল রবিবার থেকে তারা দায়িত্ব পালন করবে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকার মধ্যে আজ সকাল থেকেই ১ মে পর্যন্ত সব ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাফেরা ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনের ধারা মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। তিন সিটি এলাকায় সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আগামীকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৫৬ হাজার সদস্য মাঠে নামছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে সেনা মোতায়েনের কথা বলা হলে শেষ পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেনানিবাসে অবস্থান করেই তাদের দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে ইসির চিঠিতে। তবে সেনা মোতায়েনে ইসির এ সিদ্ধান্তে বিভিন্ন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েনকে ইসির আইওয়াশ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একদিন বিরতি দিয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াও প্রচারে নামেন। তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলকার প্রধান গেটে বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হলে ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারত। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নিয়ে কেন ভয় পায়। তিনি উল্লেখ করেন ক্যান্টনমেন্টে বসে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা বিধান করা যায় না। এজন্য তিনি আবারও সেনা মোতায়েনের আহ্বান জানান। এদিকে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা প্রথম থেকেই সেনা মোতায়েনের দাবি তুললেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা প্রথম থেকেই সেনা মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। তারা দাবি করেন নির্বাচনী মাঠের পরিবেশ যে কোন সময়ের চেয়ে সুন্দর রয়েছে। সেনামোতায়েন ছাড়া অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। তবে ইসি সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিলে তাদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়। শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারের সময় সাঈদ খোকন বলেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কোন প্রয়োজন নেই বলে আবারও উল্লেখ করেছেন। এদিকে নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়ে এলেও নির্বাচনী ব্যয়ের মনিটরিংয়ে ইসির পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে নির্বাচনে কোন প্রার্থী কত টাকা ব্যয় করেছে তা পর্যবেক্ষণও করা হয়নি ইসির পক্ষ থেকে। নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর ইসির পক্ষ থেকে কালোটাকার প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ নিতেও দেখা যায়নি। ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নির্বাচনী ব্যয়ে কারও সীমা অতিক্রম করার সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইন অনুযায়ী ঢাকার উত্তরের মেয়র প্রার্থী ৫০ লাখ টাকা, ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রামের মেয়র প্রার্থীরা ৩০ লাখ করে টাকা ব্যয় করতে পারবেন। আর কাউন্সিলরদের ব্যয়ের সীমা এক লাখ থেকে ছয় লাখ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনের ব্যয়ে কোন মনিটরিংয়ের ব্যবস্থ করা না হলেও সিপিবি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, নির্বাচনে কালো টাকার খেলা চলছে। কমিশন জানিয়েছে নির্বাচনের পরে প্রার্থীদের ব্যয় সীমার হিসাব দিতে হবে। সাঈদ খোকন ॥ শুক্রবার ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নামাজ আদায় করে নির্বাচনী প্রচারে নামেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। আমার সেনাবাহিনী দরকার নেই। জনগণ থাকতে সেনাবাহিনীর দরকার কী? জনগণই আমার সেনাবাহিনী। রাজধানীর নিউমার্কেটের কাঁচাবাজার এলাকায় শুক্রবার দুপুরে জনসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। আমি প্রার্থী। আমার সম্পর্ক জনগণের সঙ্গে। আমার সেনাবাহিনীর দরকার নেই। আমার জন্ম ঢাকাতে। আমি বেড়ে উঠেছি ঢাকায়। ঢাকাবাসীর প্রতি আমার হক বেশি। আমি ঢাকাবাসীর কাছে একবারের জন্য সুযোগ চাই উল্লেখ করেন। এদিকে সাঈদ খোকনের পক্ষে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন সংসদ সদস্য এ্যাড. মীর শওকত আলী বাদশা। সাঈদ খোকন শুক্রবার নিউমার্কেট এলাকায় গণসংযোগ শেষে আজিমপুর কবরস্থানে বাবার কবর জিয়ারত করেন। এরপর সেখান থেকে সরাসরি চলে যান বায়তুল মোকাররম মসজিদে। বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ শেষে তিনি আবারও গণসংযোগে বের হন। আফরোজা আব্বাস ॥ স্বামীর পক্ষে নির্বাচনের পুরো সময় ধরেই প্রচার চালিয়েছেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। তিনি গত ৮ এপ্রিল থেকে ঢাকার অলিগলি, প্রতিটি পাড়া-মহল্লা চষে বেড়িয়েছেন। শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে নেমে তিনি বলেন, মির্জা আব্বাসের নির্বাচনী প্রচারে পদে পদে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্রবার সকালে বেশি বাধার মুখে পড়েছেন বলেও অভিযোগ করেন। বলেন, দিনের শুরু থেকেই নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বাধা দিচ্ছে। প্রচার চালানোর সময়ই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থী সাবেক কমিশনার আবুল খায়ের বাবলুকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ। আফরোজা আব্বাস শুক্রবার সকাল থেকেই মির্জা আব্বাসের পক্ষে ধানম-ি, হাজারীবাগ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে নামেন। সকাল ৯টায় ধানম-ি ১৫ নম্বর ওয়ার্ড রায়েরবাজার মিতালী রোড থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু। পরে তার প্রচারণায় যোগ দেন স্থানীয় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল খায়ের বাবলু। কিছুক্ষণের মধ্যে ধানম-ি থানা পুলিশ বাবলুকে আটক করে। আফরোজা আব্বাসের সামনে থেকেই তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আফরোজা আব্বাস তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে হাজারীবাগের উদ্দেশে রওয়ানা হন। হাজারীবাগ মোড়ে স্থানীয় থানা পুলিশ তাকে বাধা দেয়। বাধার মুখে তিনি জিগাতলার দিকে ফিরে আসেন। আফরোজা আব্বাস বলেন, সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে মাঠে নামাতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জনগণ সেনা মোতায়েন চায়। সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কোন নাটক জনগণ বরদাস্ত করবে না। আনিসুল হক ॥ এদিকে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গাড়ির বহরে হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করেছেন। রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন কলেজে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কারা এ হামলা করেছে জানি না। তবে অবিলম্বে হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করছি। বলেন, আমার পক্ষে সরকারের সমর্থন রয়েছে। আমি ভাল কাজ করতে পারব। ভোটের সময় সেনা মোতায়েনের বিষয়ে বলেন, মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি। সেনা মোতায়েনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। এ আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তাবিথ আউয়াল ॥ এদিকে শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীতে নির্বাচনী প্রচারের সময় তাবিথ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম সরকার জনগণকে ভোটের অধিকার ফেরত দেবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যতবারই ২০ দলীয় জোট বা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ততবারই তারা কোন ভালো উদ্যোগ নিয়ে আসেননি। একতরফা গণতন্ত্র চলছে। সেনা মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে সমালোচনা করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন বারবার তাদের মত পাল্টে খুব বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিচ্ছে। তবে আমরা এখনও আশাবাদী সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে তাদের যে পদক্ষেপ নেয়ার তা তারা নেবে। এছাড়াও বিকেলে বসিলা উত্তরপাড়া ও মোহাম্মদপুর টাউনহল এলাকায় নির্বাচনী চালান তিনি। শুক্রবার বিকল্পধারা সমর্থিত প্রার্থী মাহী বি চৌধুরী রাজধানীর মিরপুরের পূরবী সিনেমা হলের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। পরে তিনি ১০ নম্বর গোলচক্কর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলায় বিভিন্ন পথসভা ও জনসংযোগ করেন। এ সময় তিনি তার ঈগল প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। সিপিবি সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ক্বাফিও মিরপুর থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন। এ সময় তিনি হাতিমার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। জাসদ সমর্থিত প্রার্থী নাদের চৌধুরী মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প বাবর রোড খিলজী রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচার চালান। জাতীয় পার্টির হাজী সাইফুদ্দিন মিলন পুরানা পল্টন, নয়াপল্টন, সেগুনবাগিচা, কাকরাইল, শান্তিনগর, চামেলীবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেন।
×