ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

টি২০ অধিনায়ক আফ্রিদি ঢাকায়

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ২১ এপ্রিল ২০১৫

টি২০ অধিনায়ক আফ্রিদি ঢাকায়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পাকিস্তান দলকে নিয়ে কোন খোঁজ হয়েছে। একের পর এক ক্যামেরার ফ্ল্যাস, দৌড়ে একটু কথা বলার জন্য মিডিয়াকর্মীদের তোড়জোড় দেখা গেছে। কোনটাই রবিবার পর্যন্ত হয়নি। যেই সোমবার দিনটি এলো, সব পাল্টে গেল। এলে পাল্টে দিলেন একজনই। তিনি শহীদ আফ্রিদি। বরাবরের মতো পাকিস্তান দলকে নিয়ে কোন তোড়জোড় এবার নেই। দলটি এমনিতেই তারকা দ্যুতিহীন। সেই দলে আবার নেই আফ্রিদি। আবার মাঠের খেলাতেও পাত্তা পাচ্ছে না পাকিস্তান। সবমিলিয়ে দলও লেজেগোবরে অবস্থা। তাই আলোহীন হয়ে পড়েছে পাকিস্তান। এবার পাকিস্তানের দিকে আফ্রিদি কিছুটা হলেও আলো নিতে পারলেন। সোমবার দুপুরে যখন টিম হোটেলে আফ্রিদি ঢুকছেন, একের পর এক ক্যামেরার ফ্ল্যাশ, মিডিয়াকর্মীদের আফ্রিদিকে নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল। ওয়ানডেতে নেই আফ্রিদি। টি২০’র অধিনায়ক তিনি। সেই খেলা আবার শুক্রবার। তাহলে চারদিন আগে এত দ্রুত কেন বাংলাদেশে এসে পড়লেন আফ্রিদি? অনেকের মুখেই কথাগুলো শোনা গেছে, তৃতীয় ওয়ানডের আগে আফ্রিদি দলকে চাঙ্গা করে তুলবেন। শুধু আফ্রিদিই নন, বাংলাদেশে একমাত্র টি২০ খেলতে সোমবার পাকিস্তান থেকে উড়ে এসেছেন পেসার সোহেল তানভির, ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ ও মুক্তার আহমেদ। শুরুতে বাংলাদেশী মিডিয়ার সঙ্গে কোন কথাই বলতে রাজি হননি আফ্রিদি। দল একের পর এক ম্যাচ হারছে। এমন সময় কথা বলাটা কতটা ঠিক হবে তাও যেন ভেবেছেন ‘বুমবুম’। শেষে একটি কথাই বলেছেন। আর সেটি হচ্ছে, ‘দল হারছে ঠিক। তবে উন্নতি চোখে পড়ছে।’ এ অল্প কথা বলেই নিজের রুমে যেতে হাঁটা শুরু করলেন। তবে বাংলাদেশে আসার আগে ঠিকই নিজের অভিব্যক্তি জানিয়েছেন বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়া আফ্রিদি। পাকিস্তানের হয়ে রেকর্ড ৭৭ টি২০ ম্যাচ খেলা আফ্রিদি জানিয়েছেন, ‘এখন তিন ফরমেটেই আমাদের উন্নতি করতে হবে।’ সঙ্গে বলেছেন, ‘যে কোন ফরমেটে জুটিই আসল। আমি শতকের চেয়ে বেশি জুটি চাই না। তবে ৪০, ৫০ রানও যেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, তাই চাচ্ছি। প্রয়োজনে দল নিয়ে আরও পর্যালোচনা হতে পারে। এমনকি জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে পরের সিরিজেও প্রয়োজনে দল নিয়ে পর্যালোচনা করলেও অসুবিধা নেই।’ আফ্রিদি চাচ্ছেন ২০১৬ সালে যে টি২০ বিশ্বকাপ আছে, এ জন্য দল এখন থেকেই তৈরি হোক। আফ্রিদি ওয়ানডে ক্রিকেট শুরুর পর প্রথমবার বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোন ম্যাচ খেলেননি। সেই ম্যাচগুলো একাধারে হেরেই চলেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে যে বাংলাদেশ ৩২৬ রান করে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিল, সেই ম্যাচেই আফ্রিদি ম্যাচ জেতান। সেটিই বাংলাদেশে আফ্রিদির শেষ ওয়ানডে খেলাও হয়। আফ্রিদি এবারও আসলেন। তবে শুধু খেলবেন এক টি২০ ম্যাচটিই। সেই ম্যাচ খেলতে যখন সোমবার ঢাকায় পৌঁছালেন, এতদিন যে পাকিস্তান থেকে আলো সরে ছিল, সেই আলো খানিকটা ফিরিয়েও আনলেন।
×