ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীনির রোষানলে এসিসি থেকে বাদ সৈয়দ আশরাফুল

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

শ্রীনির রোষানলে এসিসি থেকে বাদ সৈয়দ আশরাফুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের ওপর আইসিসি (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) প্রধান এন শ্রীনিবাসনের খেদ যে কমেনি তা স্পষ্ট হলো। আইসিসির অধীনে থাকা এশিয়ান ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসিসির (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) সিইওর পদ ছাড়তে হলো বাংলাদেশের সৈয়দ আশরাফুল হককে! গুঞ্জন আগেই শোনা গিয়েছিল, মঙ্গলবার সেটিই সত্য হয়। এসিসি বিলুপ্ত না করেও অকার্যকর করে দিলেন এন শ্রীনিবাসন। মঙ্গলবার দুবাইয়ে ছিল এসিসির সর্বশেষ নির্বাহী বোর্ডের মিটিং। সেখানেই চূড়ান্ত হয়, আগামী ৩০ জুনের পর এসিসির মালয়েশিয়ার অফিস আর থাকছে না। তার বদলে সিঙ্গাপুরে দু’জন কর্মচারী দিয়ে চলবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সব দাফতরিক কাজ, যার পুরোটা তত্ত্বাবধান করবে আইসিসির অর্থনৈতিক কমিটি, সেটির প্রধানের দায়িত্বে আবার এন শ্রীনিবাসন নিজেই! তারই প্রস্তাব, ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে পরিচালিত এসিসির ব্যয় সংকোচন এবং এসিসি আয়োজিত এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টগুলোও এখন থেকে আইসিসি সরসরি পরিচালনা করবেÑ যার অর্থ চাকরি হারালেন সৈয়দ আশরাফুল। সেই ১৯৮৩ সালে আইসিসির জন্মলগ্ন থেকেই এ সংস্থাটির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বিসিবির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। সৈয়দ আশরাফুল হক চাকরি হারালেও আমিনুল ইসলাম বুলবুলের মতো কোচদের চাকরি টিকে যাচ্ছে। তাদের এসিসি থেকে আইসিসিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। সৈয়দ আশরাফুল হক বলেন, ‘৩২ বছর ধরে আমি এ সংস্থাটির সঙ্গে রয়েছি। ১৯৮৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্ব^র থেকে আমি এখানে চাকরিতে রয়েছি। প্রথমে যুগ্ম সম্পাদক পদে যোগ দিয়েছিলাম। ধাপে ধাপে প্রধান নির্বাহী হয়েছি। এসিসির সভায় সেদিন আমার এ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানেই ঠিক হয়েছে, এখন থেকে সিঙ্গাপুরে বান্দুলা আর গণেশ সুন্দরামূর্তি এসিসির হয়ে কাজ করবেন। তবে আমিনুল ইসলাম বুলবুল,“রুবেশ রতœায়েক, ইকবাল সিকান্দার আর ভেঙ্কটপতি রাজুর মতো কোচদের চাকরি থাকছে। তাদের ১ জুলাই থেকে আইসিসিতে কাজ করতে হবে।’ সৈয়দ আশরাফুল হক মনে করেন ব্যয় সংকোচনের এ নীতিতে যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে আইসিসির পক্ষ থেকে, তা এক অর্থে খারাপ নয়, ‘জুনেই এসিসির এজিএম হবে কুয়ালালামপুরে। সেখান থেকেই আমরা একটা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব আইসিসির কাছে, যা নিয়ে বার্বাডোজে আইসিসির বার্ষিক সভায় আলোচনা হবে।’ কিন্তু এভাবে বত্রিশ বছর একটি পদে থাকার পর বিদায় নেয়াটা কতটা স্বস্তিদায়ক সৈয়দ আশরাফুল হকের জন্য, ‘মাত্র দুই কর্মচারীর জন্য প্রধান নির্বাহী রাখাটা কতটা যুক্তিযুক্ত তা আমি জানি না। আমি জানি না, এখন আমি ঢাকা ফিরে যাব কি না।’
×