ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৩৭, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

রঙিন প্রচারণা বাংলাদেশে নির্বাচন মানেই উৎসব। ঈদ, পূজা, পয়লা বৈশাখসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাঙালী যেমন আনন্দে মেতে ওঠে, ঠিক তেমনি নির্বাচনেও বাঙালী জাতি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। কিন্তু সিটি নির্বাচন উৎসবমুখর হবে কিনা এ নিয়েই জনমনে সন্দেহ রয়েছে। বিগত ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা জাতি আজও ভুলে যায়নি। তাছাড়া প্রার্থীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন করছেন প্রতিনিয়ত। পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, কোন প্রার্থীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্ক পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য কেউ কেউ সন্ত্রসীদের সঙ্গে সখ্য রাখতে পারে। সন্ত্রাসীদের তারা ভাড়াটে হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এ ধরনের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কাউকেই কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। নির্বাচনকে নির্বিঘœ করতে যা যা প্রয়োজন সবই করা হচ্ছে। যে কোন ধরনের সন্ত্রসীগোষ্ঠীর অপতৎপরতা প্রতিরোধ করা হবে। কিন্তু এসব যেন কথার কথা না হয়। আবুল খায়ের ভূঁইয়া রামপুরা, ঢাকা। রেখেছো বাঙালী করে... পাকিস্তান আমলে বাঙালী রাজপথে দাবি-দাওয়া নিয়ে নামলে পাকিস্তানীরা গুলি চালাত, তারপরও দমাতে পারেনি বীর বাঙালীকে। আজকাল লাদেন স্টাইলে হরতাল-অবরোধ ডাকা হয়, কিন্তু রাস্তায় কোন কর্মী সমর্থক থাকে না, এরা সারাদেশে পেট্রোলবোমা বা ককটেল মেরে গুপ্ত হত্যা করে। এটা জনসমর্থনহীন এক আন্দোলন। তারা তথাকথিত আন্দোলনের নামে এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু বানিয়েছে। ১৯৭২ সালে জীবদ্দশায় জাতির জনক বলেছিলেন, কবি গুরু, দেখে যান, আপনি বলেছিলেন- ‘রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ করনি’। দেখুন আজ আমার বাঙালী মানুষ হয়েছে। এরপর ৩ বছরের মাথায় কতিপয় মীরজাফর, বিশ্বাসঘাতক সপরিবারে জাতির জনককে নির্মমভাবে হত্যা করে। বিশ্বাস ঘাতকরা জাতির জনককে বঙ্গবন্ধু বলতে লজ্জা পায়, জয় বাংলা বলতে তাদের জিহ্বা বের হয়ে যায়। অথচ তাদের নেতা জিয়াউর রহমান ‘জয় বাংলা’ বলে যুদ্ধ করেছিলেন সেক্টর কমান্ডার হিসেবে। আজ যদি জিয়া বেঁচে থাকতেন, তাহলে বড়ই লজ্জা পেতেন বটে। বাঙালী যে কি, তা অনেক আগেই টের পেয়েছিলেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাই ১৩০২ বাংলার ২৬ চৈত্র লিখলেন, ‘পূণ্যে পাপে, সুখে দুঃখে, উত্থানে পতনে মানুষ হতে দাও, তোমার সন্তানে হে স্নেহার্ত বঙ্গভূমি, তব গৃহ ক্রোড়ে চির শিশু করে, আর রাখিও না ধরে, হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে, মানুষ করনি।’ রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী
×