ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানবাধিকার সংগঠনের দায়িত্ব

প্রকাশিত: ০৩:৩৫, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

মানবাধিকার সংগঠনের দায়িত্ব

মানবাধিকার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ইতোমধ্যে এসব সংগঠনের দায়িত্ব ও জবাবদিহিতার ব্যাপারে কথা উঠতে শুরু করেছে। তাদের কারও কারও একপেশে ভূমিকা নিয়েও রয়েছে নানা অসন্তোষ। শুক্রবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর বিতর্কিত ভূমিকার প্রশ্নে বলেছেন, বিএনপি- জামায়াত আন্দোলনের নামে এত মানুষকে পুড়িয়ে মারলো! কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে কোন কথা বলতে শুনিনি। এই সংগঠনগুলো এ ব্যাপারে নিশ্চুপ কেন? উল্লেখ্য, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল-অবরোধে ১৩৮ জনকে পেট্রোলবোমা ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ৩৫০ জনকে অগ্নিদগ্ধ করা হয়েছে। দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে আহত করা হয়েছে। ২১০০ যানবাহনের ক্ষতি করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, যানবাহন খাতের সার্বিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩১০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ৯২ দিনের টানা অবরোধ-হরতাল কর্মসূচীতে দেশের আর্থিক খাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা। এ সময় দেশের বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই বন্ধ ছিল। ৩৯ দিনের এসএসসি পরীক্ষা শেষ হতে সময় লেগেছে ৫৭ দিন। দেশের প্রায় পনেরো লাখ শিক্ষার্থীর জীবনকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে এত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারলো কিন্তু এসব নিয়ে ওই সংগঠনকে কোন বক্তব্য দিতে আমরা দেখিনি। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তা-বের সময় এসব মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকেও প্রচার-প্রচারণা করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন সংস্থা ও সংবাদপত্র মিডিয়ার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছিল প্রকৃত রহস্য। মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাদের নীতি-নৈতিকতা থেকে দূরে সরে এসে স্বার্থান্ধ মহলের পক্ষে কাজে জড়িয়ে পড়ছে, যা সুস্থ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিতে পারে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো তাদের নীতি বজায় রেখে আরও জনবান্ধব হয়ে কাজ করবে- এটাই মানুষ প্রত্যাশা করে।
×