ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংক্ষিপ্ত সংবাদ

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৩ এপ্রিল ২০১৫

সংক্ষিপ্ত সংবাদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রবিবার আইপিএলে দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে ৩ উইকেটের নাটকীয় জয় পেয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৪ রান সংগ্রহ করে দিল্লী। জবাবে ৭ উইকেট হারানো রাজস্থানকে ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে জয় এনে দেন টিম সাউদি! অবশ্য চ্যালেঞ্জিং স্কোর টপকে সাফল্যের পথে গুরুত্বপূর্ণ অবদান দীপক হুদা (২৫ বলে ৫৪) ও অজিঙ্কা রাহানের (৩৯ বলে ৪৭)। ম্যাচের নায়ক দীপকের ২৫ বলের ইনিংসটি ৩ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো। দিল্লীর হয়ে ইমরান তাহির ৪ ও অমিত মিশ্র নেন ২ উইকেট। স্টিভেন স্মিথের রাজস্থানের টানা দ্বিতীয় জয় এটি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে ২৬ রানে হারিয়েছিল তারা। এর আগে কোন হাফ সেঞ্চুরি না থাকলেও একাধিক ব্যাটসম্যানের কার্যকর ইনিংসে ভর করে ফাইটিং স্কোর গড়ে দিল্লী। ওপেনিং জুটিটা মন্দ হয়নি। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও শ্রেয়াস ইয়ার মিলে ৪.৪ ওভারে ৪৫ রান এনে দেন। প্রবীন তাম্বের বলে প্রথমে সাজঘরে ফেরেন ৩৭ রান করা আগারওয়াল। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ইয়ার আউট হন ৪০ রান করে। ৩০ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ছক্কার মার। তবে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন অধিনায়ক জেপি ডুমিনি। ৩৮ বলে ৩ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন প্রোটিয়া তারকা। ১৭ বলে ২ ছক্কায় ২৭ রান করে ফেরেন যুবরাজ সিং। তবে মাত্র ১৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে ভাল জায়গায় নিয়ে যান লঙ্কান অলরাউন্ডার এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। ৩ উইকেটে ১৮৪ রানের পুঁজি পায় দিল্লী। রাজস্থানের হয়ে সফল বোলার ক্রিস মরিস নেন ২ উইকেট। স্কোর ॥ দিল্লী ১৮৪/৩ (২০ ওভার; ডুমিনি ৪৪*, ইয়ার ৪০, আগারওয়াল ৩৭, যুবরাজ ২৭, ম্যাথুস ২৭*; মরিস ২/৩৫, তাম্বে ১/১৮), রাজস্থান ১৮৬/৭ (২০ ওভার; হোল্ডার ৫৪, রাহানে ৪৭, নায়ার ২০; তাহির ৪/২৮, মিশ্র ২/৩২) ফল ॥ রাজস্থান ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ জেসন হোল্ডার (রাজস্থান)। আবাহনীর প্রথম জয় স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে জয়ের মুখ দেখেছে আবাহনী লিমিটেড। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রবিবার সন্ধ্যায় আবাহনী ৪-০ গোলে হারিয়ে দেয় ফেনী সকার ক্লাবকে। হাঙ্গেরিয়ান স্ট্রাইকার জালবোলিক কসোর্বার জোড়া গোল এবং গ্যাবর ডেমিয়েন ও মামুন মিয়ার গোলে বিশাল এ জয় তুলে নেয় ঐতিহ্যবাহী দলটি। প্রথম ম্যাচে আবাহনী ২-২ গোলে ড্র করেছিল রহমতগঞ্জের বিরুদ্ধে। প্রথমার্ধের শুরু থেকেই আবাহনী চেপে ধরে ফেনী সকার ক্লাবকে। ২২ মিনিটের সময় প্রথম সাফল্য আসে। ইমন বাবুর দুর্দান্ত এক থ্রোয়িং থেকে মিডফিল্ডার শাহেদুল আলম বল পেয়ে ফেনী সকারের ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। তার স্কয়ার পাস থেকে বল পেয়ে কসোর্বা কোনাকুনি প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন (১-০)। তবে এরপর অনেক আক্রমণ করলেও গোল পায়নি আবাহনী। অবশেষে প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার সামান্য আগে আরেক হাঙ্গেরিয়ান মিডফিল্ডার গ্যাবর ডেমিয়েন গোল করেন। তিনি আব্দুল বাতেন কোমলের লো ক্রসে পা ছুঁয়ে লক্ষ্যভেদ করেন (২-০)। প্রথমার্ধ শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দারুণ খেলে ফেনী সকার। কিন্তু শেষদিকে গিয়ে আর আবাহনীকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। ৭৮ মিনিটের সময় ইমনের দেয়া লম্বা পাস থেকে বল পেয়ে ডেমিয়েন বাড়িয়ে দেন ফেনী সকারের বক্সে দাঁড়ানো কসোর্বার কাছে। ডানপ্রান্ত থেকে তিনি নিজের দ্বিতীয় গোল করেন (৩-০)। শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে ঢুকে তীব্র শটে লক্ষ্যভেদ করেন মামুন (৪-০)। এবার সাংবাদিককে লাথি ম্যারাডোনার স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পুরো ক্যারিয়ারজুড়েই সেপ্টে আছে বিতর্ক। যেন এটি তার নিত্যসঙ্গী! এরপরও দিয়াগো ম্যারাডোনার ফুটবলসত্তাকেই বড় করে দেখে ফুটবল দুনিয়া। শুক্রবার এই প্রমাণ আরও একবার রেখেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার। শান্তির জন্য ম্যাচে আবারও খেলেছেন প্রাণের ফুটবল। কিন্তু ম্যাচ শেষে বিতর্ক এড়াতে পারেননি। মেজাজ হারিয়ে একজন ক্যামেরাম্যান ও মাঠকর্মীকে লাথি মেরে সমালোচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর। শান্তির বার্তা ছড়ানোর উদ্দেশে কলম্বিয়ায় একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করা হয়। এই ম্যাচ খেলতে সেখানে যান ম্যারাডোনা। কিন্তু কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার টেকো স্টেডিয়ামে শান্তির এই ম্যাচেই অশান্তি ঘটিয়েছেন ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী তারকা। প্রীতি ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মাঠের পাশে সমর্থকরা ঘিরে ধরে ম্যারাডোনাকে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাম্যানরাও তার পাশে এসে ছবি তুলতে থাকেন। জনতার ভিড়ে হঠাৎ মেজাজ বিগড়ে যায় ম্যারাডোনার। দুম করে লাথি মেরে বসেন। যার শিকার হন সামনে থাকা মাঠকর্মী ও ক্যামেরাম্যান। জীবন্ত এই কিংবদন্তি কী কারণে এমন কা- করেছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। ম্যাচের আগে অবশ্য শান্তির বার্তাই পৌঁছে দিয়েছিলেন সাবেক আর্জেন্টাইন গ্রেট। সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘কলম্বিয়ার নারী-পুরুষ সবাইকে শক্তি ও সাহস যোগাতে আমরা এখানে এসেছি। তাদের বিনোদিত করতে চাই আমরা। কলম্বিয়ায় যথেষ্ট সহিংসতা হয়েছে, আর নয়। আমরা শান্তি চাই। এ জন্য আমি হৃদয় দিয়ে কাজ করতে চাই।’
×