ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাল্টাপাল্টি অবস্থান

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান-শিক্ষক নেতৃবৃন্দ দ্বন্দ্ব

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১০ এপ্রিল ২০১৫

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান-শিক্ষক নেতৃবৃন্দ দ্বন্দ্ব

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। এ নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন-সমাবেশ। শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়ন ও শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট এ নিয়ে এখন বিপরীত মেরুতে অবস্থান নিয়েছে। এতে বোর্ডের পরিবেশ চরমভাবে বিঘিœত হচ্ছে। শিক্ষা বোর্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের সঙ্গে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের এ দ্বন্দ্বের সূত্রপাত বলে বোর্ড সূত্র জানিয়েছে। তবে শিক্ষক নেতারা বলছেন, বোর্ড চেয়ারম্যানের সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়ছেন। শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, দেড় মাস আগে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করেন ড. অধ্যাপক আবুল হায়াত। তিনি যোগদানের পর শিক্ষা বোর্ডের গুরত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেন। এতে সুযোগ না পেয়ে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ বোর্ড চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ হন। ফলে গত মঙ্গলবার শিক্ষা বোর্ডের সামনে জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের ব্যানারে চেয়ারম্যানের অপসারণ দাবি করে মানববন্ধন-সামাবেশ করে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের রাজশাহী জেলা শাখার আহ্বায়ক শফিকুর রহমান বাদশা ছাড়াও ফ্রন্টের যুগ্ম-আহ্বায়ক আব্দুল বারি, আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কর্মসূচীতে অংশ নেন। এর একদিন পরই শিক্ষক নেবৃন্দের কর্মসূচী ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা অভিযোগ তুলে বক্তব্য রাখায় ক্ষুব্ধ হন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা শিক্ষক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ করার চেষ্টার প্রতিবাদে বুধবার পাল্টা মানববন্ধন করেন। জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট রাজশাহীর আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বাদশা বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান যোগদানের পর নিয়ম নীতি না মেনে বোর্ডে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি ও পদায়ন করেছেন। এতে বোর্ড কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ ও উত্তেজনা দেখা দেয়। চেয়ারম্যান এমপি-মন্ত্রীদের সুপারিশও প্রত্যাখান করছেন। শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজের দুই মাস ধরে বেতন বন্ধ করে রেখেছেন তিনি। শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী বলেন, দীর্ঘ দিন যাবৎ শিক্ষক নেতৃবৃন্দ শিক্ষা বোর্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে আসছে। বর্তমানে সে সুযোগ না পেয়ে তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে অপসারণ দাবি করছেন। বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হায়াত বলেন, চেয়ারম্যান পদে যোগদানের পর শিক্ষা বোর্ডে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন তিনি। এতে অনেকে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সুবিধা না পেয়ে এখন একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে নানা যড়যন্ত্র করছেন বলে জানান তিনি।
×