ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাচ্চা ফুটাতে নেয়া হয়েছে কৃত্রিম পদ্ধতি

খানজাহান আলীর মাজারের কুমির এবার ২২ ডিম দিয়েছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ৯ এপ্রিল ২০১৫

খানজাহান আলীর মাজারের  কুমির এবার ২২ ডিম দিয়েছে

বাবুল সরদার, বাগেরহাট ॥ প্রায় সাড়ে ৫শ’ বছর আগে হযরত খানজাহানের নিজ হাতে ছাড়া কুমির কালাপাহাড় ও ধলাপাহাড়ের শেষ বংশধর কুমিরটি মারা যাওয়ার পর ভারতের মাদ্রাজ থেকে আনা ভিনদেশী কুমির এবার ২২টি ডিম দিয়েছে। কয়েক বছর এ কুমিরটি ডিম দিলেও ডিম থেকে বাচ্চা হয়নি। তাই এবার ডিম ফোটাতে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম পদ্ধতি। ইতোমধ্যে ভারতীয় এই কুমিরের পাড়া ২২টি ডিমের মধ্যে ১২টি ডিম গত সোমবার ফুটানোর জন্য প্রাণীসম্পদ বিভাগের একটি দল মাজার পাড় এলাকা থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে। ২০০৪ সালের ২৬ জুন ভারতের মাদ্রাজ থেকে মার্শ প্রজাতির মিঠাপানির ৬টি কুমির খানজাহান আলীর দিঘিতে ছাড়া হয়। এরপর একটি কুমিরের মৃত্য ঘটে ও অপর ৩টি কুমির অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে বেঁচে আছে দুটি। মা কুমিরটি প্রতিবছর ডিম দিয়ে থাকলেও তা থেকে বাচ্চা হতো না। কিন্তু এবার ডিম দেয়া বাচ্চার আশায় বুক বেঁধেছে মাজারের ভক্ত-মুরিদ ও খাদেমরা। তারা বলেন, হজতর পীর খানজাহান আলীর (রা.) মাজারের দীঘিতে বাস করত কালাপাহাড় ও ধলাপাহাড় কুমির জুটির বংশধররা আর তাদের ঘিরে মাজার এলাকায় আগত ভক্ত ও সাধারণ দর্শনার্থীরা তাদের মানত দিতেন। কিন্তু কালাপাহাড় ও ধলাপাহাড় কুমির জুটির শেষ বংশধর গত ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যায়। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, মাজারের মা কুমিরটি প্রতিবছর ডিম পাড়লেও মাজার এলাকায় নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে ডিম থেকে বাচ্চা হচ্ছিল না। কুমিরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য সর্বদা ৩৫ থেকে ৩৬ ডিগ্রী তাপমাত্রা নিশ্চিত করতে হয় কিন্তু মাজার এলাকায় আগত দর্শনার্থীদের কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না। এবার ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর জন্য প্রাণীসম্পদ বিভাগের সহায়তা নেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় প্রাণীসম্পদ বিভাগের একটি দল মাজারের কুমিরটির পাড়া ১২টি ডিম নিয়ে আসছে যা কৃত্রিমভাবে ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ফুটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
×