ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে জোড়া খুন মামলার আসামির ফাঁসি কার্যকর

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৮ এপ্রিল ২০১৫

নাটোরে জোড়া খুন মামলার আসামির ফাঁসি কার্যকর

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাজীপুর, ৭ এপ্রিল ॥ গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে সোমবার রাতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে নাটোরে জোড়া খুনের মামলার এক আসামির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। তার নাম আজিজুল হক বাচ্চু (৩৫)। সে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার পিটুয়া গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, নাটোরের বড়ইগ্রাম থানার জলমন্দ গ্রামের জনৈক নুরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থেকে বাচ্চু মনোহরি ব্যবসা করত। ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এক সন্ধ্যায় বাড়ির মালিক নূরুল ইসলামের ঘরে ঢুকে তার দু’কন্যা পাখি খাতুন ওরফে চাঁদনী (১৩) ও দেড় বছরের সুমাইয়া খাতুনকে ছুরিকাঘাতে খুন করে বাচ্চু। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের শেষে নাটোরের দায়রা জজ আদালত একই বছরের ২৮ নবেম্বর তার মৃত্যুদ-াদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগও তার মৃত্যুদ-াদেশ বহাল রাখেন। পরে প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করে। অবশেষে গত ৪ মার্চ আবেদন না মঞ্জুর হলে সোমবার রাত ১১টা ১ মিনিটে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ফাঁসিতে ঝুলিয়ে বাচ্চুর মৃত্যুদ-াদেশ কার্যকর করা হয়। এ সময় গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আলী হায়দার খান, গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। জেল কর্মকর্তা জানান, নাটোরের বাড়ির মালিক নূরুল ইসলামের এক বোনকে বিয়ে করতে চেয়েছিল বাচ্চু। কিন্তু তার বোনকে বাচ্চুর কাছে না দিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেন। পরে নূরুল ইসলামের বড় মেয়ে চাঁদনীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় বাচ্চু। তাতেও রাজি হয়নি চাঁদনীর মা-বাবা। এ ঘটনার পর ২০০৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি চাঁদনী ও সুমাইয়াকে বাড়িতে রেখে তার মা-বাবা পার্শ্ববর্তী তাদের এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে যান। এ সুযোগে বাচ্চু ওইদিন সন্ধ্যায় নূরুল ইসলামের ঘরে ঢুকে তার দুই মেয়েকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় আহতদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে এবং বাচ্চুকে ধরে পুলিশে দেয়।
×