ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

তিন মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত ১০

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৬ এপ্রিল ২০১৫

তিন মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহত ১০

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ বছরের প্রথম তিন মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দশ বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। এ সময়কালে বিএসএফ ১৩ বাংলাদেশীকে অপহরণ ও সাতজনকে নির্যাতন করেছে। খুলনা বিভাগের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানিয়েছে। সংগঠনটির নিজস্ব কার্যালয়ে রবিবার এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক। রাইটস যশোরের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএসএফের হাতে জানুয়ারিতে তিনজন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে সাতজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছেন। ঘটনাগুলো যশোরের বেনাপোল, ঝিনাইদহের মহেশপুর এবং মেহেরপুর সীমান্ত এলাকায় ঘটেছে। আর অপহরণের ঘটনাগুলো ঘটে মেহেরপুর জেলার সোনাপুর, চুয়াডাঙ্গা জেলার বেনীপুর, কুষ্টিয়ার মোহাম্মদপুর ও দৌলতপুর এবং সাতক্ষীরার চান্দুরিয়া সীমান্তে। পরে বিজিবি’র সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে অপহৃতদের ফেরত দেয় বিএসএফ। আর তিন মাসে বিএসএফের হাতে নির্যাতিতদের সাতজনই বাংলাদেশী পুরুষ। যশোরের বেনাপোল ও সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্তে গরু চরানোকালে অথবা অবৈধ পথে যাতায়াতের সময় ধরা পড়ে এরা নির্যাতনের শিকার হন। এছাড়াও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বছরের প্রথম তিন মাসে খুলনা বিভাগের দশ জেলায় মোট ৮৭ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এর মধ্যে দুই জন নারী, ১৬ জন পুরুষ এবং ১৮টি শিশু রয়েছে। যশোরে সবচেয়ে বেশি নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। এ জেলা থেকে নিখোঁজ হয়েছে দশজন। এ সময়কালে বিভাগের দশ জেলায় পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ৯৩ জন। পুলিশী নির্যাতনে যশোরে শাকিল আহমেদ নামে এক শিবির কর্মীর পা ভেঙে গেছে। মিন্টু সরদার নামে এক যুবককে সাতক্ষীরা শহরের বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পায়ে গুলি করার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে চলতি বছরের প্রথম তিন মাস রাজনৈতিক সহিংসতাপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ সময়কালে খুলনা বিভাগে মোট ৯২টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় মোট ২৮৯ জন আহত হন। যশোর শহরের খাজুরা বাসস্ট্যান্ডে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় মারা যান হেলপার মুরাদ। ২১ মার্চ মাগুরায় বালুর ট্রাকে দুর্বৃত্তদের পেট্রোলবোমা হামলায় নিহত হন তিন শ্রমিক। হরতাল ও অবরোধ চলাকালে যশোরে ৩৩টি, খুলনায় ১৭টি, ঝিনাইদহ ও মাগুরায় ১৩টি করে, বাগেরহাটে চারটি, নড়াইল, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা ও মেহেরপুরে তিনটি করে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। জানুয়ারি মাসে এ অঞ্চলে ২০টি বাস, ৪০টি ট্রাক ছাড়াও বেশকিছু মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আগুন ও হামলার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
×