ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মিয়ামি ফাইনালে জোকোভিচ-মারে মুখোমুখি

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ৫ এপ্রিল ২০১৫

মিয়ামি ফাইনালে জোকোভিচ-মারে মুখোমুখি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্বের চার নম্বর টেনিস তারকা ব্রিটেনের এ্যান্ডি মারের জন্য দারুণ একটা উপলক্ষ। এবার মিয়ামি ওপেনেই তিনি ক্যারিয়ারের ৫০০তম ম্যাচ জিতে নতুন এক মাইলফলক ছুঁয়েছেন। যোগ দিয়েছেন এলিট ক্লাবে। এবার মিয়ামিতে ক্যারিয়ারের তৃতীয় শিরোপা জেতার সুযোগ তাঁর সামনে। তবে সে কাজটা বেশ কঠিনই হবে মারের জন্য। কারণ আজ ফাইনালে তাঁর প্রতিপক্ষ বিশ্বের এক নম্বর সার্বিয়ান তারকা নোভাক জোকোভিচ। তিনিও ক্যারিয়ারের আরেকটি হার্ডকোর্ট শিরোপা জিততে উন্মুখ হয়েই আছেন। এবার জিততে পারলে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিন মৌসুমে ইন্ডিয়ান ওয়েলস ও মিয়ামি ওপেন শিরোপা হাতে তোলার গৌরব অর্জন করবেন তিনি। সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের জন ইসনারকে হারাতে অবশ্য বেশ লড়তে হয়েছে জোকোভিচকে। প্রথম সেটেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকে নিষ্পত্তি হয়েছে। দ্বিতীয় সেটে অবশ্য তেমন সুবিধা করতে পারেননি ইসনার। অবশেষে জোকোভিচ ম্যাচ জেতেন ৭-৬ (৭-৩) ও ৬-২ সেটে। তবে মারে বেশ সহজেই সরাসরি সেটের জয় তুলে নিয়েছেন। যদিও দুই সেটেই তাঁর বিরুদ্ধে জোর লড়াইয়ের মনোভাব দেখিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের টমাস বার্দিচ। কিন্তু মারে জিতে গেছেন ৬-৪, ৬-৪ সেটে। জোকোভিচ-মারের মধ্যে সাম্প্রতিক বেশ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে। এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে মারেকে আবারও দুঃখ উপহার দেন জোকোভিচ। জিতে নেন ক্যারিয়ারের অষ্টম গ্র্যান্ডসøাম শিরোপা। এছাড়া ইউএস ওপেনের হার্ডকোর্টেও দু’বার মারেকে হারিয়েছেন জোকোভিচ। সব মিলিয়ে যেন টেনিস কোর্টে মারের শত্রুতেই পরিণত হয়েছেন জোকোভিচ। এবার আরেকটি লড়াই। প্রতিশোধ নেয়ার মিশন মারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে পরাজিত হওয়ার। তা ছাড়া গত বছর মিয়ামি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালেও সার্বিয়ান তারকার কাছে হেরে বিদায় নিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে মিয়ামি ওপেনে দু’জনের সাক্ষাত হয়েছে চারবার। এর মধ্যে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন জোকোভিচ। মারের একমাত্র জয় ছিল ২০০৯ সালের ফাইনালে। চলতি বছর ইন্ডিয়ান ওয়েলসের শিরোপার দিকে এগোতে থাকা মারে কি সেমিফাইনালে ছিটকে যাওয়ার কষ্টটা ভুলতে পেরেছেন? তাঁকে সেমি থেকেই বিদায় দিয়েছিলেন জোকোভিচ। কিংবা ২০১২ তে মিয়ামি ফাইনালে হারের কথাটাও ভুলবার নয়। কিন্তু শোধ তুলতে গেলেও পরিসংখ্যান বলছে জোকোভিচই এগিয়ে থাকবেন। ২০১১ ও ২০১২ সালের পর মিয়ামিতে গতবারও শিরোপা জিতেছেন এ সার্বিয়ান তারকা। এবার আরেকটি শিরোপা জিতলে সোনায় সোহাগা। কারণ এর আগে আর কেউ মিয়ামি ওপেনের পর ইন্ডিয়ান ওয়েলস এবং পরে আবার মিয়ামি ওপেন জিততে পারেননি। সব মিলিয়ে মারের বিরুদ্ধে ২৫ ম্যাচ খেলেছেন জোকোভিচ। এর মধ্যে জয়ের পাল্লাটা অনেক বেশি তাঁরই, ১৭ বার জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তিনি। আর মারে জিতেছেন মাত্র ৮ বার। কিন্তু সেসব কোন বিষয় নয়। জোকোভিচকে হারানোর সামর্থ্য আছে এ ব্রিটিশ তারকার। বিষয়টা ভালভাবেই জানা জোকোভিচের। এ কারণে তিনি বললেন, ‘এ বছর ইতোমধ্যেই আমরা দু’বার মুখোমুখি হয়েছি। আমাদের খেলা প্রায় সদৃশ। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে লড়াইটা ছিল খুবই শারীরিক সামর্থ্যরে প্রমাণ। ম্যাচটাও ছিল শ্বাসরুদ্ধকর। এবারও আমি আশা করছি দীর্ঘ সময় ধরে লড়াইয়ের। কিন্তু আমি তাঁর খেলার ধরনটা খুব ভাল করেই জানি এবং কি করতে হবে সেটাও আমার জানা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তিনিও আমার খেলার ধরনটা জানেন।’
×