ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বর্ষণ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২ এপ্রিল ২০১৫

রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চৈত্রে ফুটে উঠে বর্ষার রূপ। বুধবার রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি বর্ষণ হয়েছে রাজধানীতে। ধুলোবালি থেকে রেহাই পেলেও সাময়িক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীদের। রাস্তাঘাট ও অলিগলি হয়ে উঠে কর্দমাক্ত। বিভিন্ন জায়গায় জমে যায় বৃষ্টির পানি। মাঝপথে আটকে পড়েন বাসামুখী কর্মজীবী মানুষ। আগামী ৫ দিন দেশের তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। এপ্রিলে একটি ঘূর্ণিঝড়, তীব্র কালবৈশাখী ঝড়, দুটি নিম্নচাপ ও তীব্র তাপপ্রবাহসহ স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সূত্রটি আরও জানায়, বুধবার ময়মনসিংহে ১১ মিমি, টাঙ্গাইলে ৩৪ মিমি, ফরিদপুরে ৬ মিমি, মাদারীপুরে ১ মিমি, চট্টগ্রামে ৬ মিমি, সন্দ্বীপে ১১ মিমি, সীতাকু-ে ৪ মিমি, কুমিল্লায় ৫ মিমি, চাঁদপুরে ৯ মিমি, মাইজদীকোর্টে ৭ মিমি, হাতিয়ায় ১৮ মিমি, সিলেটে ৮ মিমি, বগুড়ায় ১৪ মিমি, রংপুরে ১ মিমি, চুয়াডাঙ্গায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। বুধবার ঢাকায় হয়েছে ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি। এ দিন সকাল থেকেই রাজধানীর আকাশ ছিল মেঘলা। সকাল ন’টায় নেমে আসে হালকা বৃষ্টি। প্রায় এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়েন অফিসমুখী কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীরা। সকাল এগারটায় থেমে যায় বৃষ্টি। দেখা যায় সূর্যের মুখ। পুরো দুপুর ছিল মেঘমুক্ত। বিকেল চারটার পর রাজধানীর আকাশে আবার জমে ওঠে মেঘ। সন্ধ্যায় ঝরে পড়ে বৃষ্টি। বৃষ্টির সঙ্গে বাতাসের বেগ ও বিদ্যুত চমকানি থাকায় রাজধানীর দৃশ্যপট পাল্টে যায়। রাজধানীর অনেক রাস্তাঘাট, ফুটপাথসহ নিচু এলাকায় পানি জমে উঠে। বাড়িয়ে দেয় জনদুর্ভোগ। বৃষ্টিতে আটকা পড়ে হাজার হাজার মানুষ। নিকটস্থ শপিংমল, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয় লোকজন। অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায় রিক্সা, অটো সিএনজি ও ট্যাক্সিক্যাবের ভাড়া। বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া হাতিয়ে নেন চালকরা। নগরীর অনেক স্থানে হাঁটু পানি পর্যন্ত জমে ওঠে। অফিস শেষে কর্মজীবীদের বাসায় ফেরার সময় বৃষ্টি হওয়ায় নাগরিক দুর্ভোগের মাত্রা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। বৃষ্টির মাত্রা বেশি থাকায় দৌড়ে পাবলিক পরিবহনে উঠাও সম্ভব হয়ে উঠেনি। আর বৃষ্টি শেষ হলে শুরু হয় পাবলিক পরিবহনে উঠার তীব্র প্রতিযোগিতা। রাস্তা ও ফুটপাথে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। জমে থাকা পানি যানবাহনের কারণে উপচে পড়ায় ফুটপাথে চলাচলও মারাত্মকভাবে বিঘিœত হয় অনেক এলাকায়। নগরীর শেরাটন হোটেলের মোড়ে জমে যায় হাঁটু পানি। হোটেলের বিপরীত পাশের গলিতেও পানি প্রবেশ করে। ফুটপাথে হাঁটতে গিয়ে যানবাহনের চাপে উপচে পড়া পানিতে ভিজতে হয়েছে অনেক পথচারীকে। বড় মগবাজারের পেয়ারাবাগ, আমবাগান, গাবতলা ও বিশাল সেন্টারের পেছনের রাস্তায় হাঁটু জল। সামান্য বৃষ্টিতে এসব এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে যায়। এভাবে রাজধানীর শান্তিনগর, খিলগাঁও, মালিবাগ মোড়, পুরাতন ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড, কাকরাইল, মোহাম্মদপুর, আদাবর, কল্যাণপুর, শ্যামলী ২নং রোডের প্রবেশ পথসহ অনেক স্থানে সৃষ্টি হয় সাময়িক জলাবদ্ধতা।
×