ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বোরো ক্ষেত ও আমচাষীরা খুশি

রাজশাহীতে বৃষ্টি ॥ মানুষের মনে স্বস্তি

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১ এপ্রিল ২০১৫

রাজশাহীতে বৃষ্টি ॥ মানুষের মনে স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ গত দুই সপ্তাহ ধরে চৈত্রের খরতাপে পুড়ছিল রাজশাহী অঞ্চলের ফসলের মাঠ। বোরোর ক্ষেতে সেচ নিয়ে প্রায় বিপাকে পড়েছিলেন কৃষক। দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমের গাছ থেকে ঝরে পড়ছিল গুটি। বোরোর ক্ষেতে সেচ আর আম বাগানের পরিচর্যা নিয়ে কৃষকদের যখন ছোটাছুটি, ঠিক সেই সময় আকাশ ভেঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত যেন কৃষকের আশীর্বাদ হয়ে দেখা দেয়। সোমবার সন্ধ্যা থেকে শুধু হওয়া দেড় ঘণ্টাব্যাপী ঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মনে। প্রাণিকুলেও ফিরেছে স্বস্তি। মৌসুমের শুরুতেই ভারি বৃষ্টিতে তাই রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকদের মধ্যে নেমে এসেছে প্রশান্তি আর স্বস্তি। মৌসুমের শুরুতেই এটি প্রথম ভারি বৃষ্টিপাত বলে জানিয়েছেন রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র। আর এ ভারি বৃষ্টিপাত আম, বোরো চাষীদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বলে জানালেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবদুল আলিম। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র বলেন, সোমবার রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শুরু হওয়া দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৃষ্টি ছিল এ বছরে রাজশাহীতে সেরা বৃষ্টিপাত। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আবদুল আলিম বলেন, এখন গুটি আমে সেচ দেয়ার সময়। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় আর সেটা করতে হবে না। এই বৃষ্টি আম-লিচু ও বোরো চাষের জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। তানোরের বোরো চাষি মনসুর রহমান জানান, কদিন ধরে ক্ষেতে সেচ নিয়ে অনেক টেনশনে ছিলাম। বোরোর ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছিল। তবে সোমবার সন্ধ্যার বৃষ্টিতে কৃষকদের মধ্যে দারুণ স্বস্তি ফিরে এসেছে। আপাতত কয়েকদিন স্বস্তিতে থাকা যাবে। এ ভারি বৃষ্টিপাত কৃষকদের জন্য অনেক উপকার হয়েছে বলে জানান তিনি। এদিকে হঠাৎ ভারি বৃষ্টিপাতে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষকে কিছুটা বিড়ম্বনায় ফেলে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ৫ ঘণ্টাব্যাপী সারা নগরী ছিল বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন। নগরীর কাটাখালি সাব গ্রিডে ডিপ ইনস্যুলেটর ও পোর্টেনশিয়াল ট্যান্সফর্মার বিস্ফোরণ হওয়ার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হলেও রাত ১২টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়াও এ বৃষ্টির কারণে নগরীতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। নগরীর বেশিরভাগ রাস্তায় হাঁটু পানিতে ভারে যায়। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষকে অন্ধকার ও পানির মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে।
×