ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমরাই এগিয়ে ॥ ক্লার্ক

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৯ মার্চ ২০১৫

আমরাই এগিয়ে ॥  ক্লার্ক

এবার বিশ্বকাপের অন্যতম দুই হটফেবারিট আয়োজক দুই দেশ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড। ফাইনালেও উঠেছে দল দুটি। অবশ্য ঘরের মাঠ মেলবোর্নে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে অসিরা। সে কারণে বাড়তি একটা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তিনি বিশ্বাস করেন অসিরা যদি নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিতে সক্ষম হয় সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ড পরাজিত হবে এবং পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিতবে অস্ট্রেলিয়া। আজ ফাইনালের আগে জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেয়া অসি অধিনায়ক। বর্তমান দলের অনেকেই প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অপেক্ষায় আছেন। তবে তাদের অতিমাত্রায় আবেগী না হয়ে নিজ নিজ দক্ষতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন ক্লার্ক। ঘরের মাঠে ফাইনাল খেলার সুযোগ হয়েছে সে কারণে অস্ট্রেলিয়াকেই এগিয়ে রাখছেন ক্রিকেট বোদ্ধা ও বিশ্লেষকরা। মেলবোর্নে ৯০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা। সেখানে অতিথি দল হিসেবে এসে স্বাগতিক অসিদের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা বেশ কঠিনই হবে নিউজিল্যান্ডের জন্য। আর সে কারণেই আরও অনুপ্রাণিত অসিরা। এ বিষয়ে ক্লার্ক বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমরা যদি আমাদের সেরাটা খেলতে পারি সেক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করতে পারব। কেউ ফেবারিট কি, ফেবারিট না সে বিষয়ে আমি কোন মনোযোগ দিতে চাই না। নিউজিল্যান্ড এ প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে ভাল ফর্মে আছে। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসী তাদের পরাজিত করতে সক্ষম হব।’ মেলবোর্নের মতো মাঠে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার সৌভাগ্য সব অধিনায়কের হয় না। প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্যই এটা অভূতপূর্ব একটা সুযোগ বলে মনে করছেন ক্লার্ক। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য এমসিজিতে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে নামার অপেক্ষা করার বিষয়টা সত্যিই বিস্ময়কর একটি সুযোগ। বিশ্বকাপ সত্যিই বিশেষ একটি ইভেন্ট। আমি খুবই ভাগ্যবান আগে দুটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়েছি এবং একটি জিতেছি। সে কারণে আমি জানি যে অনুভূতিটা কেমন।’ আবেগ দিয়ে কখনও পেশাদার হিসেবে সফল হওয়া যায় না। বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার মর্যাদা পেতে যাচ্ছি এমন চিন্তা করে আবেগী হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। জিতে যেতে পারে প্রতিপক্ষরা। এ বিষয়ে আগেই সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়েছেন ক্লার্ক। তিনি বলেন, ‘সন্দেহ নেই যে এটা বিশেষ একটা খেলা। কিন্তু দলগতভাবে সবাইকে সংঘবদ্ধ থাকতে হবে। আমি সেটা সতীর্থদের বলেছি। সবাইকে বলেছি এটা আবেগের বিষয় নয় বরং দক্ষতার বিষয়। দক্ষতা দেখাতে পারলে বড় খেলাগুলো জিততে সহায়ক হবে। সে কারণে আমি আগামীকাল (আজ) এর কোন ব্যতিক্রম দেখতে চাই না।’ নিউজিল্যান্ড গ্রুপ পর্বে দু’দলের সাক্ষাতে বিজয়ী হয়েছে। অকল্যান্ডে লো-স্কোরিং সে ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের পর কিউইরা জিতেছিল। এ বিষয়ে ক্লার্ক বলেন, ‘আমি মনে করি নিউজিল্যান্ড জিতেছিল সেটা থেকে আত্মবিশ্বাসী হতেই পারে। কিন্তু আমি যেটা বিশ্বাস করি তা হচ্ছে টুর্নামেন্টে ওই পরাজয়টাই অস্ট্রেলিয়ার জন্য ছিল টার্নিং পয়েন্ট। আমার মতে ওই হারে আমরা পেছনে লাথি খেয়েছি। আমরা বুঝতে পেরেছি শীর্ষ পর্যায়ের নৈপুণ্য দেখিয়ে সেরা হতে হলে কিভাবে খেলতে হবে। সেদিন থেকেই আমাদের মনোভাবে ব্যতিক্রমী একটা পরিবর্তন এসেছে।’
×