বিকাশ দত্ত ॥ সালিশের আইনগত কোন ভিত্তি নেই। দীর্ঘদিনের রেওয়াজ বা প্রথা হিসেবে এটি চলে আসছে। তবে গ্রাম-আদালত ও পৌর কর্তৃপক্ষের সালিশের মাধ্যমে বিভিন্ন বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। প্রতিটি গ্রামে মাসে কমপক্ষে পাঁচ থেকে দশটি গ্রাম্যসালিশ অনুষ্ঠিত হয়। সে অনুযায়ী বছরে দেশে সালিশের মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়ে থাকে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখের মতো। অনেক ক্ষেত্রে সালিশের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নিরপেক্ষতা ভঙ্গ করে খেয়াল খুশিমতো সিদ্ধান্ত প্রদান করে থাকেন। সে কারণে দেশের আইনজীবী নেতৃবৃন্দ মনে করেন, সালিশ ব্যবস্থা বিধিবদ্ধ নিয়ম ও কর্তৃপক্ষের অধীনে আনার জন্য যুগোপযোগী আইন এবং এর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। আইনগত ভিত্তি না থাকলেও গ্রামের মানুষের আদালতে যাওয়ার বিকল্প হচ্ছে সালিশ। এছাড়াও মাসে প্রায় পঞ্চাশটির মতো মামলা বা বিবাদ ইউনিয়ন পরিষদে আসে গ্রাম-আদালত ও সালিশী পরিষদে নিষ্পত্তির জন্য। এর বাইরে প্রায় সমসংখ্যক বিরোধ নিষ্পত্তি হয় ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে সালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে। সে হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদ ও সালিশের মাধ্যমে একটি ইউনিয়নে মাসে প্রায় ১০০ মামলা আসে। অনেক ক্ষেত্রে সালিশের নামে ফতোয়া প্রদানের মধ্য দিয়ে অনেক অবৈধ ঘটনার সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফলে বড় ধরনের বিরোধ বিবাদ এমনকি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে থাকে। ফলাফল বিরুদ্ধে গেলেই সালিশ না মানার ঘোষণা দেয়া হয়। অর্থাৎ সালিশ মানি কিন্তু তালগাছটা আমার। জনকণ্ঠের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সালিশে যেমন মন্দ দিক আছে তেমনি ভাল দিকও রয়েছে।
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, চুরি, বাচ্চাদের মারামারি, মহিলা-মহিলায় ঝগড়া, গরু-ছাগলে ক্ষেতের ফসল খাওয়া, প্রেম এসব ঘটনায় গ্রামের মাতব্বররা খানকা ঘরে সালিশ বৈঠক বসান। কোন কোন সালিশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে। মাতব্বরদের কথা না শুনলে তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। এক্ষেত্রে গ্রামের দরিদ্র ও অবহেলিতরাই বেশি নির্যাতিত হয়ে থাকে। অনেক সালিশ দেখতে অন্য গ্রাম থেকেও দর্শকগণ আসেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে সালিশ ডাকা হয় তারা মেনেই সালিশ বৈঠকে আসেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি গ্রামে মাসে পাঁচ থেকে দশটি সালিশ হয় থাকে। বর্তমানে সারাদেশে গ্রামের সংখ্যা ৮৭ হাজার ৩১৯। সে হিসেবে বছরে একটি গ্রামে পাঁচটি সালিশ হলে প্রায় ৫২ লাখ ৩৯ হাজার ১৪০ সালিশ হয়ে থাকে। আর দশটি করে হলে বছরে দেশে ১ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ২০ সালিশ হয়ে থাকে। আদালতে মামলা চালানোর ভয়ে অনেকেই আদালতে যেতে চান না। পাশাপািশ গ্রামের টাউট শ্রেণীর লোকের খপ্পরে পড়ে আবার অনেকেই আদালতে না গিয়ে গ্রাম্য সালিশের দিকেই বেশি ঝুঁকে পড়ে। এখানে গ্রাম্য মাতব্বরের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি।
সালিশের মাধ্যমে কী পরিমাণ বিরোধ ও বিবাদের নিষ্পত্তি হয়Ñ এমন প্রশ্নের উত্তরে নৃবিজ্ঞানী, গবেষক, গ্রামীণ বিচারব্যবস্থা বিশেষজ্ঞ ও সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী ড. জাহিদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, দেখুন, সালিশে কতসংখ্যক বিরোধ ও বিবাদের নিষ্পত্তি হয় সে সম্পর্কে কোন সরকারী পরিসংখ্যান নেই; তবে আগের কিছু গবেষণা ও আমার নিজের গবেষণা থেকে ধারণা করতে পারি যে, আমাদের গ্রাম-বাংলায় যে পরিমাণ বিরোধ বা বিবাদ সৃষ্টি হয়, তার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ আদালতে আসে, বাকি দুই-তৃতীয়াংশ নিষ্পত্তি হয় প্রচলিত সালিশ ও ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালিত গ্রাম-আদালত ও সালিশী পরিষদের মাধ্যমে। ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালিত গ্রাম-আদালত ও সালিশী পরিষদ খুব বেশি ইউনিয়নে কার্যকর নয়। যেমন ধরুনÑ সবমিলিয়ে মাত্র পাঁচ শ’ ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম-আদালত ও সালিশী পরিষদ কাজ করে। কাজেই বলা যায়, যেসব মামলা আমাদের আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ায় আসে না, তার শতকরা ৯০ ভাগ প্রচলিত সালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হয় এবং বলাবাহুল্যÑ কিছু মামলা আদৌ কোনভাবে নিষ্পত্তি হয় না, চলমান বিরোধ আকারে থেকেই যায়।
তিনি আরও বলেন, একটা ধারণা দেয়া যেতেই পারে। আমি একটা ইউনিয়নে গবেষণার সময় দেখেছিলাম যে, সেখানে মাসে প্রায় ৫০টির মতো মামলা বা বিবাদ ইউনিয়ন পরিষদে আসে গ্রাম-আদালত ও সালিশী পরিষদে নিষ্পত্তির জন্য। এর বাইরে প্রায় সমসংখ্যক বিরোধ নিষ্পত্তি হয় ইউনিয়ন পরিষদের বাইরে সালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে। কাজেই ইউনিয়ন পরিষদ ও সালিশের মাধ্যমে একটি ইউনিয়নে মাসে প্রায় ১০০ মামলা আসে। যেখানে ইউনিয়ন পরিষদচালিত গ্রাম-আদালত ও সালিশী পরিষদ ভালভাবে কাজ করে না, সেখানে এসব মামলা সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। ইউনিয়নে লোকসংখ্যার তারতম্য ও অন্য অনেক কারণে ইউনিয়ন ভেদে সংখ্যার তারতম্য হবে। তাই প্রতিটি ইউনিয়নে গড়ে শ’খানেক মামলা সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় বলে আপনি হিসাব করতে পারেন।
গ্রাম্য সালিশের পর ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ফতোয়া দেন। হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চ ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণা করলেও আপীল বিভাগ বলেছে ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেয়া যেতে পারে, তবে যথাযথ শিক্ষিত ব্যক্তি তা দিতে পারবে। ২০১১ সালের ১২ মে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগের ৬ বিচারকের বেঞ্চ ফতোয়ার ওপর একটি মাইলফলক রায় প্রদান করেন। তাতে বলা হয়েছে, ধর্মীয় বিষয়ে ফতোয়া দেয়া যেতে পারে, তবে যথাযথ শিক্ষিত ব্যক্তি তা দিতে পারবে। আর ফতোয়া গ্রহণের বিষয়টি হতে হবে স্বতঃস্ফূর্ত। এক্ষেত্রে কোন ক্ষমতার ব্যবহার বা অন্যায্য প্রভাব ব্যবহার করা যাবে না। দেশের প্রচলিত আইনে বিধান আছে, ‘এমন বিষয়ে ফতোয়া দিয়ে কারও অধিকার, খ্যাতি বা সম্মানহানি করা যাবে না। এর মাধ্যমে কোন ধরনের শারীরিক বা মানসিক শাস্তি দেয়া যাবে না।’ ফতোয়ার রায়ের বেঞ্চে ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক, বিচারপতি (সাবেক প্রধান বিচারপতি) মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, বর্তমান প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা, বিচারপতি মোঃ আব্দুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি মোঃ ইমান আলী।
এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ফতোয়াকে অবৈধ ঘোষণা করেন। ২০০০ সালের ২ ডিসেম্বর একটি দৈনিকে ফতোয়ার ওপর একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, নওগাঁ জেলার সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের আতিথা গ্রামের এক গৃহবধূকে ফতোয়া দিয়ে হিল্লা বিয়েতে বাধ্য করা হয়। এ খবরে হাইকোট নজরে আনেন এবং হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি বিচারপতি গোলাম রাব্বানী ও বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ সব ধরনের ফতোয়াকে অবৈধ বলে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে মুফতি মোঃ তৈয়ব এবং মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আপীল করেন। হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ফতোয়ার নামে বিচারবহির্র্ভূত কার্যক্রম ও শাস্তি অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ ২০১০ সালের ৮ জুলাই এ রায় প্রদান করেন।
১৯৭৬ সালে গ্রাম-আদালত গঠিত হয়। আইনগত দিক থেকে গ্রাম-আদালত একটি পূর্ণাঙ্গ আদালত। স্থানীয় সরকারের অধীনে পরিচালিত গ্রাম-আদালত আইন ১৯৭৬ সালে পাস হয়। পরে এটি সংশোধন আকারে আবারও ২০০৬ সালে পাস করা হয়। পরে জাতীয় সংসদে গ্রাম আদালত (সংশোধন) আইন ২০১৩ পাস হলে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। সংশোধিত আইনের যথাযথ অনুসরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্দেশনাসহ গেজেট কপি সব ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছানো হয়।
এদিকে গ্রাম্য সালিশ বিধিবদ্ধ আইন না হলেও অহরহ তুচ্ছ কোন ঘটনা নিয়ে সালিশ বসছে। আর সেখানে ভুক্তভোগীকেই নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করলেই দেখা যাবে গ্রামের মাতব্বর সালিশের নামে কী করছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত ॥ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন মোহন। সালিশের নামে তাঁকে বেধড়ক মারপিট করে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। মাঠের গম কাটা কেন্দ্র করে সোনাইকু-িতে এক সালিশ বসানো হয়। বৈঠক চলাকালে উপজেলা চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন মোহন ও আজিজুল হকের পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যানকে প্রতিপক্ষের লোকজন বেধড়ক মারপিট করে।
সালিশে হামলা, হতাহত ৪ ॥ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় সালিশে হামলায় নওয়া আলী খন্দকার নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নওয়াব আলীর সঙ্গে সেলিম খন্দকারের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বিরোধ নিষ্পত্তিতে সেলিম খন্দকারের বাড়িতে সালিশ বসে। একপর্যায়ে কথাকাটাকাটি হলে সেলিম খন্দকারের লোকজন হামলা চালায় নওয়াব আলী খন্দকারের ওপর। এ সময় তিনি নিহত হন।
দম্পতি ফতোয়ার শিকার ॥ লালমনিরহাট জেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের সমাজপতিরা বিচারের নামে এক নবদম্পতিকে দোররা মেরেছে। সাজ্জাদ ও লতার বিয়ের কাবিন দেখে সমাজপতিরা বলেন, সাজ্জাদ প্রথম স্ত্রীর তথ্য গোপন করেছে। এরপর বিচারে সাজ্জাদ ও লতাকে ১১ বেত্রাঘাত করা হয়।
গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা ॥ সালিশের রায় না মানায় যশোরের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর নাম রাধা রাণী ম-ল (৫৫)। এ সময় আরও চারজন আহত হন। নিহতের স্বামী কার্তিক ম-ল ও ছেলে মণিশংকর ম-ল জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাড়ির জমি নিয়ে প্রতিবেশী তপন ম-লের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বর বিকাশ ম-লের উপস্থিতিতে সালিশ হয়। এতে তপনদের হয়ে মাতব্বর রায় দিলে তারা আপত্তি জানান। এ সময় মাতব্বরের লোকজন লাঠি নিয়ে তাদের মারধর করে। এতে গুরুতর আহত হন রাধা রাণী ম-ল, কার্তিক ম-ল, তার ছেলে মণিশংকর ম-লসহ আরও কয়েকজন আহত হয়। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করালে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাধা রাণী ম-ল মারা যান।
ধর্ষণের ঘটনা ৩০ হাজার টাকায় মীমাংসা ॥ কিশোরগঞ্জ শহরের ছাহেরা মাহমুদ আরিফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৩) স্কুলে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকদের হাতেনাতে ধরেও পুলিশে সোপর্দ করা হয়নি। বরং মীমাংসার নামে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া ও টাকা ভাগাভাগি করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
সালিশ বৈঠকেই সংঘর্ষ ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুরে সালিশ বৈঠকে দুইপক্ষের সংঘর্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন। জুয়া খেলার টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে অনুষ্ঠিত সালিশ বৈঠকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মুরাদপুর গ্রামে মিন্টু ফকিরের মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জুয়ার আসর বসায় এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল। পরে জুয়ার টাকা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ওই গ্রামের জাফর চৌধুরী ও সোহেল মিয়ার মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য রাতে সালিশ বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। পরের দিন আবারও সালিশ বসে। বৈঠকে জাফর মিয়ার পক্ষের ফারুক মিয়া ও সেলু মিয়ার সঙ্গে সোহেল মিয়ার কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
বৈঠকে যুবককে কুপিয়ে হত্যা ॥ বাউফলে ছোটবোনকে যৌন নিপীড়নের সন্দেহে ফিরোজ নামের এক যুবককে সালিশে কুপিয়ে হত্যা করেছে বড়ভাই রিপন ও খালাত ভাই খলিল। এ ঘটনায় বাউফল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় রিপন ও খলিলকে গ্রেফতার করেছে। উপজেলার আদাবাড়িয়ার দক্ষিণ লক্ষ্মীপাশা গ্রামের এ ঘটনায় বাউফল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
বিচারে জড়িত ব্যক্তিদের খেয়াল-খুশিমতো সিদ্ধান্ত প্রদান ;###;মাতব্বরদের কথা না শুনলে নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। দরিদ্র ও অবহেলিতরাই বেশি নির্যাতিত অনেক ক্ষেত্রে ফতোয়া প্রদানে জটিলতার সৃষ্টি ;###;বিধিবদ্ধ নিয়ম ও কর্তৃপক্ষের অধীনে আনতে যুগোপযোগী আইন, মনিটরিং ব্
আইনী ভিত্তি নেই ॥ বছরে দেড় কোটি বিরোধ নিষ্পত্তি ॥ সালিশের দাপট
শীর্ষ সংবাদ: