ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে জনজীবনে স্বস্তি

চৈত্রের বৃষ্টিতে প্রাণ পেয়েছে ফসলের মাঠ

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ২৮ মার্চ ২০১৫

চৈত্রের বৃষ্টিতে প্রাণ পেয়েছে ফসলের মাঠ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ একদিকে অনাবৃষ্টি অন্যদিকে নদীতে নেই পানি সেই সঙ্গে ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে যাওয়ায় যখন কৃষককুল থেকে জনজীবনে ভোগান্তি, ঠিক তখন চৈত্রের বৃষ্টিতে জনজীবনে স্বস্তির সঙ্গে প্রাণ ফিরে পেয়েছে ফসলের মাঠ। শুক্রবার ভোরে থেমে থেমে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতে ভিজেছে উত্তরের নীলফামারীসহ আট জেলার মাঠ-ঘাট প্রান্তর। সেই সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে পর্যাপ্ত না হলেও যে বৃষ্টি হয়েছে তা চাষীদের জন্য বিশেষ উপকার বয়ে আনবে। যেখানে গ্রীষ্মের দাবদাহে ফসলের ক্ষেত ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। এখন বৃষ্টির পানি পেয়ে সে সব ক্ষেতে প্রাণ ফিরে এসেছে। বিশেষ করে সেচনির্ভর বোরো ধান, পাট ক্ষেত, মরিচ ক্ষেত, ভুট্টা ক্ষেতসহ পুঁই ও ডাঁটা শাক, ঢেঁড়স, রেখা, ঝিঙ্গা, শশা ও করলার ক্ষেতের জন্য এই বৃষ্টি বিশেষ উপকার বয়ে এনেছে। বজ্রপাতে দম্পতির মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় শুক্রবার বজ্রপাতে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন স্বামী হানিফ (৫৫) ও তার স্ত্রী চানবানু (৪৫)। ভোররাতে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী জানায়, ভোরে বৃষ্টি শুরু হলে উপজেলার ভা-ারা গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা স্বামী-স্ত্রী তাদের উঠানে থাকা শুকনো খড়কুটো ঘরের বারান্দায় ওঠাতে শুরু করে। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৃষ্টিপাতে অসংখ্য আম ও লিচু গাছের মুকুল ঝরে গেছে এবং পাকা গমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষিবিভাগ জানিয়েছে।
×