ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৮ মার্চ ২০১৫

সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য এবং পাক হানাদারদের হাত থেকে এদেশকে রক্ষার উদ্দেশ্যে যাঁরা কাজ করেছেন, যারা খেলোয়াড় ছিলেন, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র পরিচালনা করেছেন বা দেশ-বিদেশে সাংবাদিকতা করেছেন, যাঁরা বীরাঙ্গনা ছিলেন- তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করায় এদেশবাসী বর্তমান সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের এ মহান অবদানকে অস্বীকার করা হলে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা অসমাপ্ত থেকে যাবে। এ কারণে ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট যে কোন সরকারকে জাতির কাছে এক কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে। আমাদের অনুরোধ, একটি পূর্ণাঙ্গ বিশুদ্ধ তালিকা তৈরির লক্ষ্যে লাল এবং সবুজ সকল মুক্তিবার্তার সন্দেহভাজন মুক্তিযোদ্ধাদের এখনই যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আনা হোক। ভারতীয় ভলিউমে অন্তভ্র্ক্তু ও ১১টি সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাসহ ১ম ঘোষিত মোট ১,০৫,০০০ জন মুক্তিযোদ্ধাদের ১নং ক্যাটাগরিতে এবং যাচাই-বাছাই শেষে কমিটিরা নির্বাচিত রণাঙ্গনে অবশিষ্ট প্রায় দেড় লক্ষাধিক সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা ও অন্য সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ২নং ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করে গেজেটে প্রকাশ করা যেতে পারে। পরবর্তীতে ক্যাটাগরি অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা যেতে পারে। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রেখে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ বা নির্দেশ প্রদান করা সংগত। মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ আবদুল আউয়াল কড্ডা, গাজীপুর। মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বর্তমান সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্নভাবে যে প্রণোদনা দিয়ে আসছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা আজীবন তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। প্রধানমন্ত্রীর অবদানের মধ্যে অন্যতম সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি ও প্রদান। এই ভাতা আজ অনেক মুক্তিযোদ্ধার জীবনে বাঁচার একমাত্র সম্বল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদানের জন্য বিভিন্ন উপজেলায় বর্তমানে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বাজেট ভাতার জন্য অপেক্ষমাণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ফলে উপজেলা পর্যায়ে কার আগে কে ভাতা প্রাপ্তির ক্রমিকভুক্ত হবে তা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা জড়িয়ে পরছে নানা অনৈতিক প্রতিযোগিতায়। পরোক্ষভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর মহতী উদ্যোগ। সমস্যা নিরসনকল্পে এবং মহতী উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে প্রত্যেক উপজেলা চলতি অর্থবছরে অতিরিক্ত বাজেটসহ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অনুসারে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার বাজেট প্রদান করলে স্বাধীনতা যুদ্ধে ম্ুিক্তযোদ্ধাদের অবদানের স্বীকৃতি আরও শাণিত হবে এটাই প্রত্যাশা করি। মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বরুড়া, কুমিল্লা।
×