ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র

রাজনৈতিক সমঝোতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৭ মার্চ ২০১৫

রাজনৈতিক সমঝোতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে

যুক্তরাষ্ট্র চায় বড় বড় শক্তি ৩১ মার্চের মধ্যে ইরানের সঙ্গে এক বিস্তারিত রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছুক। ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে এক দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পথ সুগম করাই হবে এর উদ্দেশ্য। এক উর্ধতন মার্কিন কর্মকর্তা এ কথা বলেন। তবে ওয়াশিংটন ওই সমঝোতার ধরন নিয়ে নমনীয় হতে পারে বলে তিনি আভাস দেন। খবর ইয়াহুনিউজের। পররাষ্ট্র দফতরের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন যে, কেবল কোন সময়সীমা রয়েছে বলেই যে যুক্তরাষ্ট্র কোন চুক্তি সম্পন্ন করতে তাড়াহুড়ো করবে এমন নয়। তিনি সুইজারল্যান্ডের লোজান শহরে নতুন দফার আলোচনার জন্য আগত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে থাকা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। কর্মকর্তা বলেন, যে কোন প্রাথমিক চুক্তিতে তেহরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত হতে পারে এমন কোন ভবিষ্যত পরমাণু চুক্তির প্রধান প্রধান দিক নিয়ে অবশ্যই আলোকপাত করতে হবে। তেহরান ও ছয়টি বড় দেশ ৩০ জুনের মধ্যে শেষোক্ত চুক্তিটি সম্পাদন করতে চায়। ওই কর্মকর্তা বুধবার রাতে বলেন, যে কোন রাজনৈতিক সমঝোতাতেই কোন উপায়ে এক চূড়ান্ত চুক্তির সবদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। কর্মকর্তা বলেন, এটি কী ধরনের হবে তা আমরা জানি না। আমরা সব সময়েই বলে এসেছি, এতে বিস্তারিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। জনসাধারণ ও কংগ্রেসকে আমাদের যথাসম্ভব বিস্তারিতভাবে জানানোর প্রয়োজন হবে। এসব বিষয়ের মধ্যে কোন পরমাণু বোমা তৈরির বিভিন্ন উপায়ও থাকবে। কোন একটি বোমা তৈরির জন্য উচ্চমাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি করতে ইরানের অন্তত এক বছর লাগবে, তা নিশ্চিত করে দেখাতেই এটি তৈরির পথগুলো উল্লেখ করতে হবে। ইরানের পরমাণু বিষয়ক গবেষণা, এ কাজের স্বচ্ছতা ও পর্যবেক্ষণ এবং ইরাকের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা শিথিলকরণ ইত্যাদি বিষয়েও রাজনৈতিক সমঝোতায় দৃষ্টি দিতে হবে। ইরানের জন্য এক সমস্যা রয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি মার্চের শেষ নাগাদ এক লিখিত প্রাথমিক চুক্তি করা এবং ৩০ জুনের মধ্যে এক পূর্ণাঙ্গ চুক্তি করা এ দুই ধাপ প্রক্রিয়ার তীব্র বিরোধী। ইরানি কর্মকর্তারা বলেছেন, লিখিত প্রাথমিক চুক্তি করা হলে কোন চূড়ান্ত চুক্তির লক্ষ্যে ইরানের দর কষাকষির সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে পড়বে বলে তাদের আশঙ্কা। ইরানি কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন যে, তাঁরা লোজানে কোন আনুষ্ঠানিক লিখিত চুক্তি নয়, বরং কোন ধরনের বিবৃতি বা রাজনৈতিক ঘোষণা গ্রহণ করতে পারেন। পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলেন, এর অসুবিধা হলো সবপক্ষই তাদের ইচ্ছামতো এর ব্যাখ্যা দিতে পারবে। ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির সামর্থ্য অর্জনের চেষ্টা করছে বলে পশ্চিমা অভিযোগ অস্বীকার করে থাকে।
×