ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শুকনার শুরুতেই নাটোরে তীব্র পানি সঙ্কট

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ২৪ মার্চ ২০১৫

শুকনার শুরুতেই নাটোরে তীব্র পানি সঙ্কট

সংবাদদাতা, নাটোর, ২৩ মার্চ ॥ রৌদ্রের তাপদাহে মাটি ফেটে চৌচির হওয়ার আগেই নাটোর সদর উপজেলার আদিবাসী পল্লীসহ ১০টি গ্রামে দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির তীব্র সঙ্কট। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাওয়ায় এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে জমিতে সেচকার্য পরিচালনার কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে অধিকাংশই টিউবয়েল। রান্না-বান্না, গোসলকরাসহ নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটাতে তাই দূর-দূরান্ত পানি বয়ে নিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে জেলার অধিকাংশ ভুক্তভোগি এলাকার বাসিন্দারা। সদর উপজেলা ছাড়াও লালপুর, বাগাতিপাড়া ও বড়াইগ্রাম উপজেলার অধিকাংশ গ্রামেই একই রকম সুপেয় পানি সঙ্কট দেখা দেয়ায় চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবহেলিত জনজীবন। কোথাও কোথাও মাত্র একটি টিউবওয়েল দিয়ে চলছে গোটা গ্রামের মানুষের পানি সরবরাহ। আর স্বাভাবিকভাবেই একটিমাত্র টিউবওয়েলে মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ায় সেটিও বারবার বিকল হয়ে পড়ছে। ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে সীমাহীন দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। রাতের বেলায় কোন কোন টিউবওয়েলে কিঞ্চিৎ পানি পাওয়া গেলেও দিনের বেলায় একেবারেই পানি পাওয়া যায় না। আদিবাসী গ্রামগুলোতে সরকারীভাবে ডিপ টিউবওয়েল স্থাপন করা হলেও সেগুলোও কোন কাজে আসছে না বলে অভিযোগ করেন দরাপপুর গ্রামের আদিবাসী চার সন্তানের জননী বীণা রানী। নাটোর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী জানান, উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে নাটোর অন্যতম উষ্ণতম এবং উঁচু অঞ্চল হওয়ায় প্রতিবছর এ সময় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। পানি সমস্যা একেবারে দূর করা সম্ভব নয়। টেকনাফে মিয়ানমারের মাথাকাটা চিংড়ি চালান জব্দ স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ অবশেষে টেকনাফ বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসা প্রায় দশ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ মাথাকাটা চিংড়ির চালান জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। টেকনাফের হ্নীলা বিওপির বিজিবি জওয়ানরা শনিবার বিকেলে চৌধুরীপাড়া সীমান্ত দিয়ে দেশে নিয়ে আসার সময় ৯২১ কেজি মাথাকাটা বাগদা চিংড়ি জব্দ করে স্থানীয় শুল্ক দফতরে জমা করেছে। সূত্র জানায়, কক্সবাজারে গঠিত চারজনের সিন্ডিকেট কৌশলে হাতিয়ে নেয়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির অনুকূলে দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমার থেকে মাথাকাটা চিংড়ির চালান ঢুকাচ্ছে দেশে। ওইসব মাথাকাটা চিংড়ির চালান দেশে প্রবেশের কারণে স্থানীয় ঘেরে উৎপন্ন হওয়া চিংড়ি ব্যবসায় ধস নেমেছে। ফ্যাক্টরি মালিকদের অনেকে মিয়ানমারের মাথাকাটা চিংড়ির লোভে পড়ে কমিয়ে দিয়েছে দেশীয় চিংড়ির মূল্য। এমনকি ২০ গ্রেডের নিচে বাগদা চিংড়ি রিসিভও করছে না তারা। এতে উপায়ন্তর না দেখে চাষী ও ব্যবসায়ীরা বিদেশে রফতানিযোগ্য হাজার হাজার কেজি বাগদা চিংড়ি খোলা বাজারে কম দামে বিক্রি করে লোকসান গুণছে প্রতিদিন। ব্যবসায়ীরা জানান, কক্সবাজারে ফ্যাক্টরি রয়েছে মাত্র ৩টি। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে উৎপন্ন হওয়া চিংড়িতে ওই তিনটি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার চাহিদা মিটাতে পারে। কিন্তু চাহিদা মতে চিংড়ি নেই, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও ঋণ পরিশোধ করতে ফ্যাক্টরিগুলোর করুণ দশা ইত্যাদি ভুল তথ্য দিয়ে মিয়ানমারের মাথাকাটা চিংড়ি আনতে বাণিজ্যমন্ত্রণালয় থেকে একটি পত্র হাতিয়ে নিয়ে থাকে সিন্ডিকেট সদস্যরা।
×