ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভুয়া চিকিৎসক শনাক্তকরণে মোবাইল কোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৪ মার্চ ২০১৫

ভুয়া চিকিৎসক শনাক্তকরণে মোবাইল কোর্ট

সংসদ রিপোর্টার ॥ ভুয়া চিকিৎসক শনাক্তকরণের অভিযান চলমান আছে এবং বাংলাদেশ মেডিক্যাল এ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ অনুযায়ী মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর হাসপাতালে রোগীর লাশ আটকিয়ে চিকিৎসা প্রদান বাবদ অর্থ আদায়ের কোন অভিযোগ উত্থাপিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোমবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি জানান, ভুয়া চিকিৎসক, ভুয়া ক্লিনিক-হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জনসেবার নামে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো টাকা কামাইয়ের মেশিনে পরিণত হয়েছে- সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের সম্পূরক প্রশ্নে এমন অভিযোগের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, নার্সিং হোক ইত্যাদি পরিচালনার জন্য ১৯৮২ সালে জারিকৃত একটি অর্ডিন্যান্স রয়েছে। ওই অর্ডিন্যান্সেই চিকিৎসা পরামর্শ ফি ধার্য করা আছে। কিন্তু আইনটি বেশ পুরনো। তাই এটি যুযোপযোগী করার লক্ষ্যে ‘বেসরকারী চিকিৎসা সেবা আইন’ নামে আইন প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ৩শ’ শয্যার জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করার বিষয়ে সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম কৌতুকোচ্ছলে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আমাদের কাছে প্রিয়, আমরা পছন্দ করি। কিন্তু আমরা নারায়ণগঞ্জে যেতে ভয় পাই, তবে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান অত্যন্ত কর্মঠ। অবশ্যই তাঁর এলাকায় যাব’। এ সময় পুরো অধিবেশনে হাসির রোল পড়ে যায়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, কোন হাসপাতালকে সরকারী মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করার বিষয়টি সম্পূর্ণ সরকারী সিদ্ধান্তের ব্যাপার। সিদ্ধান্ত হলে নারায়ণগঞ্জ ও আমাদের নেতা তোফায়েল আহমদের এলাকা ভোলার হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত করার বিষয়টি অগ্রাধিকার দেয়া হবে। সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানসহ কয়েক এমপির প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বীকার করে বলেন, ৬ হাজার নতুন ডাক্তার নিয়োগের ফলে গ্রামীণ অঞ্চলে চিকিৎসক সঙ্কট না থাকলেও এ্যানেসথেসিয়াসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্কট রয়েছে। আমরা চিকিৎসকদের ট্রেনিং দিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। আর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সমস্যা সমাধানেরও নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলা উপজেলায় মডেল মসজিদ ॥ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বেগম ওয়াসিকা আয়শা খানের প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান জানান, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। অনুরূপভাবে ঐতিহ্যবাহী পুরাতন মন্দির পুনর্নির্মাণ/মেরামত/সংস্কারের লক্ষ্যে অপর একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রণয়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেট হতে মসজিদ, মন্দির সংস্কার ও মেরামতের জন্য অনুদান প্রদান করা হয়ে থাকে।
×