ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অন্যত্র সংঘর্ষে আহত ১৬

আশুলিয়ায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নিহত এক

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২২ মার্চ ২০১৫

আশুলিয়ায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে নিহত এক

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ শুক্রবার সন্ধ্যা ও শনিবার সকালে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে একজন নিহত ও ১৬ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে আশুলিয়ায় প্রীতি ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয় এক খেলোয়াড়। স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর- সাভার ॥ আশুলিয়া থানাধীন পলাশবাড়ি এলাকায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ইয়াসিন (২০) নামের এক যুবক নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহত ইয়াসিন গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানা এলাকার আলীমুজ্জামানের ছেলে। সে আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকার মাহামুদ আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে ডিইপিজেডের মেনিটি গ্রুপের হ্যাঙ্গার কারখানার কর্মী ছিল। জানা গেছে, পলাশবাড়ি এলাকার ‘আমার স্কুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়’ মাঠে গাজীরচট চারালপাড়া টিমের সঙ্গে পলাশবাড়ি বাতানটেক এলাকার মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। ক্রিকেট খেলা চলাকালীন এলবিডব্লিউ আউট নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিত-া হয়। একপর্যায়ে দুই দলের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় শরিক হয় সমর্থকরা। এ সময় গাজীরচট চারালপাড়া দলের লোকজন প্রতিপক্ষ বাতানটেক দলের খোলোয়ার ইয়াসিনকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহতাবস্থায় বাতানটেক দলের খেলোয়াড়েরা ইয়াসিনকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ি এলাকার গনি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিশোরগঞ্জ ॥ জেলার নিকলীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে বাজিতপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যদের নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, নিকলী সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাদিরের সঙ্গে একই এলাকার আবু সায়েম তামসুর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জেরে শনিবার সকালে দুইপক্ষের শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। নীলফামারী ॥ নীলফামারী জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়াতখাতা গ্রামের শ্রীনাথ কাশিয়াপাড়ায় শনিবার সকালে জমির মালিকানা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা ওই বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করলে ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামে জবিরুল ইসলামের পুত্র জালাল উদ্দিনের সঙ্গে সাড়ে তিন শতক জমির মালিকানা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র সোহেলের। এ ঘটনায় শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জবিরুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে সোহেলের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলার সময় তারা সোহেল ও তার স্ত্রী নুরজুমাকে বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। এ সময় সোহেলের চাচা নজরুল ইসলামের স্ত্রী মাহমুদা বেগম এগিয়ে এলে তাকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষরা। এরপর হামলাকারীরা সোহেল ও তার স্ত্রীকে বাড়ির সামনে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে সোহেলের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
×