ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিটি নির্বাচনে অংশ নিলেও সন্ত্রাস ও হত্যার দায় থেকে খালেদা রেহাই পাবেন না ॥

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২২ মার্চ ২০১৫

সিটি নির্বাচনে অংশ নিলেও সন্ত্রাস ও হত্যার দায় থেকে খালেদা রেহাই পাবেন না ॥

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ২১ মার্চ ॥ তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বোমাবাজ, সন্ত্রাসী ও রাজাকারদের এ দেশে কোন ঠাঁই নেই। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র মানতে হবে। আন্দোলনের নামে বোমা মেরে মানুষ হত্যা সহ্য করা হবে না। বিএনপি ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও আগুন সন্ত্রাস ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যার দায় থেকে রেহাই পাবেন না খালেদা জিয়া। বিএনপি উন্নয়ন, মানবতা, গণতন্ত্র ও দেশের শত্রু। তথ্যমন্ত্রী শনিবার সকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শামুখিয়া ও তালবাড়িয়ার দুটি গ্রামে বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, একাত্তরের গণহত্যার মতোই খালেদা জিয়া আগুন সন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ পুড়িয়ে মারছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় গোলাম আযম ও নিজামীর নির্দেশে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। ওই নৃশংস হত্যাকা-ের নির্দেশদাতা হিসেবে এ দেশের মাটিতে তাদেরও বিচার হয়েছে। আগুন সন্ত্রাসের নির্দেশদাতা হিসেবে খালেদা জিয়াকে কেউ আইনের হাত থেকে বাঁচাতে পারবে না। খালেদার শাসনামল ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। বোমা সন্ত্রাসের আতঙ্কে দিন কাটত মানুষের। বিএনপি শাসনামলে বোমাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা- উস্কে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সেই ভয়ানক চিত্র পাল্টে গেছে। বর্তমানে সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বিদ্যুত উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে কোন লোডশেডিং নেই। চালের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রয়েছে। কৃষক ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছে। বর্তমান সরকার দেশেকে আলোকিত করেছে। এখন কেউ শহীদ মিনার ভাঙ্গতে সাহস করে না এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আঘাত করে না। তিনি বলেন, যাঁরা খালেদা জিয়ার পক্ষে ওকালতি করছেন তাঁরা রেজিস্টার্ড মোনাফেক। খালেদা জিয়াকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। বোমাবাজ ও সন্ত্রাসীদের সতর্ক করে মন্ত্রী বলেন, বোমাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকা- করে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। হাসানুল হক ইনু বলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল নামক স্থানে ১৩শ’ বিঘা জায়গার ওপর ইপিজেড স্থাপনের জন্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। ইপিজেড স্থাপন হলে এখানে কমপক্ষে ৫০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তালবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মিঠুর সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেনÑ মন্ত্রীর সহধর্মিণী জাতীয় নারী জোটের সভানেত্রী আফরোজা হক রীনা, পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম হাজী মোখলেস গনি, অধ্যক্ষ রেজাউল করিম, জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মসসিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন, জাতীয় পার্টি (জেপি) কুষ্টিয়া জেলা কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। উল্লেখ্য, ৩০ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ব্যয়ে ২.৫৩ কিলোমিটার পল্লী বিদ্যুত লাইন স্থাপনের মাধ্যমে মিরপুরের শামুখিয়া ও তালবাড়িয়া গ্রামের ২৫০ গ্রাহককে নতুন বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হয়। পরে মন্ত্রী মিরপুর উপজেলার বহুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শোন্দাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কেএইচএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনটি নতুন ভবন উদ্বোধন করেন।
×