ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তেহরান ছাড় দিতে রাজি নয় ॥ ইউরোপীয় আলোচক

ছয় জাতি-ইরান পরমাণু চুক্তির সম্ভাবনা নেই

প্রকাশিত: ০৫:১১, ২১ মার্চ ২০১৫

ছয় জাতি-ইরান পরমাণু চুক্তির সম্ভাবনা নেই

সামনের দিনগুলোতে ছয় বিশ্বশক্তির ইরানের সঙ্গে তার পরমাণু কর্মসূচী প্রশ্নে একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নেই। পক্ষগুলোর মধ্যে প্রধান প্রধান ইস্যুতে এখনও বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়ে গেছে। একজন সিনিয়র ইউরোপীয় আলোচনাকারী বৃহস্পতিবার এই বক্তব্য দিয়ে এ ব্যাপারে ছাড় দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তেহনারকে দোষারোপ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই আলোচনাকারী সাংবাদিকদের বলেন, একটি চুক্তির ৯০ শতাংশ সম্পাদিত হয়ে গেছে বলে ইরানীরা উল্টো কথা বলছে, যা ঠিক নয়। ‘আমরা একটি চুক্তির কাছাকাছি যেতে পারিনি’ খবর ইয়াহু নিউজের। ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তি পর্যায়ক্রমে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার বিনিময়ে অন্তত ১০ বছরের জন্য ইরানের সবচেয়ে সংবেদনশীল পরমাণু কর্মসূচী নিয়ন্ত্রণ করে একটি ব্যাপকভিত্তিক চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। শক্তিগুলো মার্চের শেষ নাগাদ একটি চূড়ান্ত চুক্তির খসড়া সম্পূর্ণ করা এবং ৩০ জুনের মধ্যে একটি পূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সিনিয়ার এক কর্মকতা এ খবর অস্বীকার করেছেন যে, পরমাণু চুক্তির একটি খসড়া ছয় বিশ্বশক্তি এবং ইরানের মধ্যে বিলি করা হয়েছে। এক ইরানী কর্মকর্তাও এই অস্বীকৃতির পুনরুক্তি করেন। কয়েক পশ্চিমা কর্মকর্তা ব্যক্তিগতভাবে একটি দলিলের কথা বলেছেন। যাতে বন্ধনী চিহ্নিত করে মতানৈক্যের ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে। একটি বড় ধরনের বাধা হলো ইরান পশ্চিমী দেশগুলোর মেনে নিতে রাজি হওয়ার আগেই বিশ্ব শক্তিগুলোকে তার পরমাণু কর্মসূচীর ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার জন্য রাজি হতে চাপ দিচ্ছে। পশ্চিমী ও ইরানী কর্মকর্তারা একথা জানান। পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তা বলেন, সুইজারল্যান্ডে চলতি দফা আলোচনা শুক্রবারের পরও অব্যাহত থাকতে পারে। ইউরোপীয় আলোচনাকারী বলেন, আমরা এখনও বেশ দূরে। এখনও অনেক প্রশ্ন আছে। যার সমাধান প্রয়োজন। ইরানীদের অবশ্যই যথেষ্ট ছাড় দিতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, কঠিন প্রশ্নগুলোর ওপর পক্ষগুলো কাজ করে যাচ্ছে। কেরি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কিছু কঠিন প্রশ্নের সমাধানে লেগে আছি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দল কবে ওয়াশিংটন ফিরে যাবে সেটা পরিষ্কার নয়। ওয়াশিংটনে একজন সরকারী কর্মকর্তা বলেন, একটি পরমাণু চুক্তিতে পৌঁছতে না পারলে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য ওবামা প্রশাসন কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করবে। মার্কিন আইন প্রণেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, হোয়াইট হাউস কোন চুক্তি থেকে কংগ্রেসকে দূরে রাখবে এবং ইরানকে খুবই হাল্কাভাবে নেবে। লজানে দুই পক্ষের মতপার্থক্য সত্ত্বেও অবশ্য কিছু কিছু ক্ষেত্রে মোটামুটি ঐকমত্য হয়েছে। শুরু থেকেই আলোচনাধীন একটি অন্যতম কেন্দ্রীয় প্রশ্ন ছিল, ইরান কতসংখ্যক সেন্ট্রিফিউজ চালু রাখতে পারবে। পশ্চিমী কর্মকর্তারা বলেছেন, কোন চুক্তিতে পৌঁছানো গেলে এই সংখ্যা ৬ হাজারের আশপাশে হতে পারে।
×