ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন, ফসলি জমি নদীগর্ভে

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২০ মার্চ ২০১৫

সোনারগাঁওয়ে মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন, ফসলি জমি নদীগর্ভে

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ঝগড়ারচর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরবর্তী কৃষকদের ফসলি জমি ঘেঁষে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন করছে। ফলে ওই এলাকায় কয়েকশ বিঘা ফসলী জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে ওই এলাকায় কয়েক শ’ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে আশপাশের ১০টি গ্রাম। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদসভা, আমরণ অনশন কর্মসূচী দেয়ার হুমকি দিয়েছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানায়, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের ঝগড়ারচর বালু মহাল ইজারা পায় বন্দর উপজেলার চাদনী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী চান মিয়া। গত ৬ মাস ধরে তিনি বালু উত্তোলন করছিলেন। পরে ওই এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দিলে স্থানীয়দের অনুরোধে তিনি বালু উত্তোলন বন্ধ রাখেন। পরে মুন্সীগঞ্জের বাশার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবুল বাশার একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট করে পুনরায় বালু উত্তোলন শুরু করে। এতে হুমকির মুখে রয়েছে ফতেপুর, দড়িগাঁও,শম্ভুপুরা, ইসলামপুর, ফরদী, এলাহীনগর, বানিয়ারচর, গোবিন্দপুর ও চেলারচর নামের ১০ গ্রামসহ কয়েক শ’ বাড়িঘর। ফতেপুর গ্রামের আসাদ প্রধান ও কামরুজ্জামান বলেন, বালুসন্ত্রাসীরা ড্রেজারের মাধম্যে রাতের আঁধারে ৬০ বিঘা জমির বালু কেটে নিয়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও বালু সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করলে ১০ গ্রামের কৃষক আন্দোলনে নামবে। বাশার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আবুল বাশার বলেন, আমি আমার ইজারাকৃত বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করছি। গ্রামবাসীর অভিযোগ সত্য নয়। সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান বলেন, অবৈধভাবে কেউ যদি বালু উত্তোলন করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। করিমগঞ্জে স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ১৯ মার্চ ॥ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলাধীন কান্দাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় ও পরীক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার নিয়োগবঞ্চিতদের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার পাশাপাশি জেলা শিক্ষা অফিসার, প্রেসক্লাবসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অনুলিপি দেয়া হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কান্দাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রায় ১ বছর আগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। গত ১৮ মার্চ বিদ্যালয় ভবনে ওই দুটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা হলে এতে ২০ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। অভিযোগ উঠেছে, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজশে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে আগের রাতে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেয়। নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ কমিটির উপস্থিত সদস্যরা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন। কিন্তু প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, উৎকোচ দেয়া পরীক্ষার্থীদের কাছে ফাঁস করে দেয়া প্রশ্নপত্র অনেকাংশে মিল রয়েছে। সমাজবিজ্ঞান পদে অংশ নেয়া পরীক্ষার্থী নাঈমা আক্তার জানান, দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তদন্ত করে এ নিয়োগ বাতিলসহ এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। নিয়োগ কমিটির সদস্য কিশোরগঞ্জ সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একে আব্দুল্লাহ জানান, তাৎক্ষণিকভাবে প্রশ্ন করে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে অনেকাংশে ওই প্রশ্নের মিল পাওয়া বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। স্কুল কমিটির সভাপতি মোঃ তৌহিদ মিয়া জানান, নিয়োগে কোন অনিয়ম হয়নি। যথাযথ প্রক্রিয়ায় এটি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ সময় তিনি উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুশফিকুর রহমান দুলালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এসএম আলম জানান, অনিয়মের অভিযোগের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×