ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাবিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তথ্যচিত্র ‘কান পেতে রই’ প্রদর্শিত

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১৯ মার্চ ২০১৫

রাবিতে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তথ্যচিত্র ‘কান পেতে রই’ প্রদর্শিত

রাবি সংবাদদাতা ॥ মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৫ সালের একুশে পদকপ্রাপ্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক শিক্ষক প্রফেসর মজিবর রহমান দেবদাসকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তথ্যচিত্র ‘কান পেতে রই’ প্রদর্শিত হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ বছর শিক্ষা ক্যাটাগরিতে একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা। মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক মফিদুল হক নির্মিত তথ্যচিত্রটিতে ফুটে উঠেছে রাবিতে একাত্তরের সেই দুঃসহ দিনগুলোর নিখুঁত চিত্র আর একজন ‘দেবদাসের’ গভীর স্বদেশ প্রেম, পাকি বাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার সেই অধ্যাপকের করুণ আর্তনাদ। অনুষ্ঠানে রাবির অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষক প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পরপরই যখন রাবিতে পাক হানাদার বাহিনী আস্তানা গেড়েছিল, তার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি লিখেছিলেন প্রফেসর মজিবর রহমান। পরে প্রশাসন তাকে সেই নরপিশাচদের হাতে তুলে দিলে তারা অধ্যাপক রহমানের ওপর অকথ্য নির্যাতন চালায়। সেই তীব্র নির্যাতনে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারান। প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা আরও বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও সরকার মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে প্রফেসর মজিবর রহমান দেবদাসকে একুশে পদকে ভূষিত করে একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল হকের সভাপতিত্বে তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাবির উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. নিশীথ কুমার পাল, ফলিত গণিত বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর ড. জিল্লুর রহমান, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান, শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালার ডেপুটি কিউরেটর ও অধ্যাপক মজিবর রহমান দেবদাসের ভাতিজি দিলরুবা খানম প্রধান প্রমুখ। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকবাহিনীর নির্মমতার শিকারে স্মৃতিশক্তি হারান অধ্যাপক মজিবর রহমান। স্বাধীনতার পর জয়পুরহাটের নিজ গ্রামে নিভৃতচারী হয়ে বসবাস করা এই মানুষটি ‘জীবন্ত শহীদ বুদ্ধিজীবী’ হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় জীবন রক্ষার্থে যখন অনেকেই হিন্দু নাম বাদ দিয়ে মুসলিম নাম রাখা শুরু করেছিল তখন এর প্রতিবাদ ও ক্ষোভে তিনি নিজে ‘দেবদাস’ নাম ধারণ করেন। টাঙ্গাইলে দেড় বছর পর অপহৃত শিশুর হাড়গোড় উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৮ মার্চ ॥ মধুপুরের এক বাসা থেকে ভূঞাপুর থেকে অপহরণের দেড় বছর পর শিশু মাসুদ রানা শাওন (৮)-এর হাড়গোড় বুধবার দুপুরে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। সে ভূঞাপুর উপজেলার রুহুলি গ্রামের মৃত রাইসুল ইসলাম সাগরের ছেলে এবং মাটিকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র। ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অপহরণের দেড় বছর পর ওই মামলার গ্রেফতারকৃত আসামি জাহাঙ্গীর আলমের (শাওনের মার ২য় স্বামী) তথ্যের ভিত্তিতে এই হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের এসআই রাশেদুল হাসানের নেতৃত্বে মধুপুর পৌর এলাকার টেংরি গোরস্তানপাড়ার সেনা সদস্য শাহ আলমের বাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে শাওনের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়। মামলার দুই মাস পর ডিবি পুলিশ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে মুক্তিপণের এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা, মোবাইল ফোনসহ জাহাঙ্গীরকে আটক করে। পরে জাহাঙ্গীর জামিনে মুক্ত হয়ে পালিয়ে যায়। অন্য একটি মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে বুধবার সকালে ভূঞাপুর থেকে পুনরায় ডিবির কাছে আটক হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার স্ত্রীর প্রথম ঘরের সন্তান শাওনকে হত্যা এবং এক সময় থাকা মধুপুরের ভাড়া বাসায় লাশ পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে।
×