ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কক্সবাজারে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১৯ মার্চ ২০১৫

কক্সবাজারে পাহাড় কেটে স্থাপনা নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ পাহাড়খেকো ভূমিদস্যুদের পর এবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের স্থানীয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) পরিবেশ সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে পাহাড় এবং টিলা কেটে ঘর নির্মাণ করে চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবৈধভাবে সরকারী বনভূমি দখলে নিয়ে পাহাড় কেটে সেখানে অবকাঠামো নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। সরকারী কর্মকর্তা হয়ে চাকরি শৃঙ্খলাবিধি অমান্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ উপযোগী বনসম্পদ ধ্বংস করে বসতি নির্মাণের দৃশ্য দেখে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, ঝিলংজা মৌজার ১৩নং সিটের বিএস ২৩৭৮০ দাগের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের ১৪শতক বন বিভাগের জমি অবৈধ দখলে নিয়ে মহেশখালীতে দায়িত্বরত পিআইও মোহাম্মদ শফিউল আলম সাকিব নতুন করে স্থাপনা গড়ে তুলছেন। লিংকরোডের পর বিসিক এলাকার পাশে পিআইও অসংখ্য রোহিঙ্গা শ্রমিক দিয়ে দিনরাত পাহাড় কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করে চলছেন। অভিযোগ রয়েছে, উখিয়া উপজেলা কার্যালয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) পদে দায়িত্ব পালনকালে কাবিখা, কাবিটা, টিআর, জিআর এবং ইজিপিপির আওতায় গ্রামীণ সড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট, সাইক্লোন সেল্টারসহ ইত্যাদি অবকাঠামো উন্নয়নে বরাদ্দকৃত গম, চালসহ নগদ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাকে ২০১৪ সালে উখিয়া থেকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয় মহেশখালীতে। বন বিভাগের কতিপয় দুর্নীতিপরায়ন বনকর্মীর সঙ্গে আঁতাত করে অর্ধ কোটি টাকা মূল্যের বনজসম্পদ দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কেটে পরিবেশ মুঠোফোনে একাধিক কল করেও তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। কক্সবাজারে মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ জেলার চকরিয়ায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগে গাজী গোলাম মাওলা নামে এক মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রুজু হয়েছে। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক নুরুল আবছার বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মুক্তিযোদ্ধা গাজী গোলাম মওলা ফাঁসিয়াখালী পশ্চিম পুকুরিয়া গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের পুত্র। ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে ‘মোহনা’য় মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মুক্তিযোদ্ধা গাজী গোলাম মওলা বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছি আমরা, শেখ মুজিব যুদ্ধ করেননি, মুক্তিযুদ্ধে তাঁর পরিবারের কারও অবদানও নেই।’ এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে গাজী গোলাম মওলা মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটাক্ষ ও রাষ্ট্রদ্রোহের মতো গুরুতর অপরাধ করেছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
×