ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বই আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার হচ্ছে

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১৯ মার্চ ২০১৫

বই আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বই আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে সারসংক্ষেপ অনুমোদনের পর বর্তমানে এর আইনগত ভিত্তি খতিয়ে দেখতে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। ভেটিংয়ের পর তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। সূত্র জানায়, সংসদ সদস্য এ কে এম মাঈদুল হক বই আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহার চেয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে ডিও (আধা-সরকারী) লেটার পাঠান। এর প্রেক্ষিতে এনবিআরকে অর্থমন্ত্রী বই আমদানিতে মোট করভারের মধ্যে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। অর্থমন্ত্রীর আগ্রহের কারণেই বইয়ের শুল্ক প্রত্যাহার করা হচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইরেটেড বই বিক্রি বন্ধ, মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে এ সব কারিকুলামের বই আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা যেতে পারে। তবে সাহিত্য, উপন্যাস জাতীয় বই আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা পেলে তা দেশের লেখক, প্রকাশকদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এনবিআর থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, সবদিক বিবেচনা করলে আমদানি করা বইয়ের ওপর শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হলে রাজস্ব ক্ষতি খুব বেশি হবে না। এ প্রসঙ্গে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল বলেন, মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া ঢালাওভাবে বই আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দিলে দেশীয় লেখকরা বই লিখতে উৎসাহ হারাবে। এতে প্রকাশনা শিল্পে ধস নামতে পারে। শর্তসাপেক্ষে বই আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া যেতে পারে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ৪৯০১.৯৯.৯০ এইচএস কোডের মাধ্যমে প্রিন্টেড ম্যাগাজিন, ম্যানুয়াল, রেফারেন্স বুক, ইংরেজী মাধ্যমের টেক্সট বুক, গল্প, উপন্যাস, সাহিত্যের বই আমদানি করা হয়। যার মোট করভার হলো ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর মধ্যে আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ এবং অগ্রিম উৎসে মূসক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বই আমদানি হয়েছে। এর বিপরীতে শুধু আমদানি শুল্ক বাবদ আদায় হয়েছে ২০ লাখ টাকা।
×