ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডান্ডি ডায়িং মামলা

আসামির তালিকায় খালেদা, কোকোর স্ত্রী ও মেয়েরা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৭ মার্চ ২০১৫

আসামির তালিকায় খালেদা, কোকোর স্ত্রী ও মেয়েরা

কোর্ট রিপোর্টার ॥ ডান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপির মামলায় আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে বিবাদীভুক্ত হলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। সোমবার আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আক্তার হ্যাপি সোনালী ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ওই আদেশ দেন। একই আদেশে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান এবং জাহিয়া রহমানকেও আসামি করা হয়। মামলাটিতে নতুন করে বিবাদীভুক্ত করার মধ্য দিয়ে ওই ঋণের দায় খালেদা জিয়াসহ একইসঙ্গে কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের ওপরও বর্তাল। দেয়ানি কার্যবিধি আইনের ২২নং আদেশের বিধি-৪ অনুসারে কোকোর সম্পদের উত্তরাধিকারীগণ বিবাদীভুক্ত হলেন। বাংলাদেশে শরীয়াহ আইনের বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বণ্টিত হয়। সেজন্যই খালেদা জিয়া, কোকোর স্ত্রী ও তার সন্তানগণ বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলেন। তবে উত্তরাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও তারেক রহমান পূর্ব থেকেই বিবাদী থাকায় নতুন করে বিবাদীভুক্ত করার আবেদন জানানো হয়নি। সোমবার ইস্যু গঠনের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও বিবাদী পক্ষে হাইকোর্টের আদেশ দাখিলের জন্য সময়ের আবেদন থাকায় বিচারক শেষ বারের মতো সময় মঞ্জুর করেন এবং ১২ এপ্রিল হাইকোর্টের আদেশ দাখিল এবং ইস্যু গঠনের জন্য দিন ধার্য করেন। এ মামলায় এ নিয়ে ১৩ বার ইস্যু গঠনের জন্য তারিখ পেছানো হলো। ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার আসামিরা হলেন ড্যান্ডি ডায়িং লি., প্রয়াত সাঈদ এস্কান্দারের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান। এ মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা গেলে তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে বিবাদীভুক্ত করা হয়। গত বছরের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডায়িংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করেন। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনর্তফসিলীকরণও করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বরাবর কালক্ষেপণ করতে থাকেন। মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিস প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোন ঋণ পরিশোধ করেননি।
×