ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরামের বক্তব্য

চলমান সহিংসতায় ক্ষতি মূল বাজেটের অর্ধেকেরও বেশি

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৭ মার্চ ২০১৫

চলমান সহিংসতায় ক্ষতি মূল বাজেটের অর্ধেকেরও বেশি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিএনপি-জামায়াতের চলমান সহিংসতায় আজ পর্যন্ত যে ক্ষতি হয়েছে তা আমাদের মূল বাজেটের অর্ধেকের চেয়েও বেশি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘অর্থনীতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নিউজ ম্যাগাজিন টাইমওয়াচ এই সংলাপের আয়োজন করে। নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে বক্তৃতা করেন রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামীন, ট্যুরিজম ডেভেলপার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোঃ জামিউল আহমেদ, বিডি সিএনজি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মাসুদ খান। অনুষ্ঠানের শুরুতে ধারণাপত্র তুলে ধরেন বজলুর রায়হান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান ড. মোঃ মজিবুর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে কাজী আকরাম বলেন, আজ অত্যন্ত দুঃখ-বেদনা নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। আমি ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করি। তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, তা বন্ধ করতে পারছি না। তাই আমার ওপর দায়িত্ব অনেক। তিনি বলেন, চলমান সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে কৃষক, পরিবহন খাতের শ্রমজীবী মানুষ আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এসব খাতের যে পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে তা পূরণ হওয়ার নয়। পরিবহন ব্যবস্থা ধ্বংস করতে ১৭৬ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এফবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, এসব মানুষের একজনও রাজনৈতিক কর্মী ছিল না। তারা খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। যারা অর্থনীতির চালিকাশক্তি। অর্থনীতিকে ধ্বংস করা আর সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করতেই তাদের ওপর পেট্রোলবোমা হামলা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এমন এক সময় অর্থনীতি ধ্বংস করার চেষ্টা চলছে। যখন ধ্বংস হলে তা কখনই পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে না। কারণ ২০১৪ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্ববাসীর কাছে মডেল হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। ২০২১ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি। কাজী আকরাম উদ্দিন বলেন, একটি দেশ ধ্বংস করতে চাইলে তার অর্থনীতি ধ্বংস করতে পারলেই হয়। এ দেশের অর্থনীতিও ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা এসব সহিংসতা বন্ধ করুন। সংলাপ বলেন আর আলোচনা বলেনÑ যাই হোক না কেন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। তবে, অযৌক্তিক কাজ করে কখনও যৌক্তিক সমাধানে আসা যাবে না। বিরোধী জোটকে বলেন, আমাদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগাবেন না। সরকারের উদ্দেশে বলেন, সরকারের দায়িত্ব আমাদের জান-মালের নিরাপত্তা দেয়া। কেন মানুয়ের ওপর পেট্রোলবোমা হামলা করা হচ্ছে প্রশ্ন রেখে রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামীন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের কাছে অনুরোধ এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- থেকে বেরিয়ে আসুন। বিডি সিএনজি ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মাসুদ খান বলেন, আমাদের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এই ব্যবসা এখন হুমকির মুখে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া এই পরিস্থিতির উত্তরণ সম্ভব নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
×