ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুনতাসীর মামুন

ক্রিমিনাল মাইন্ড ও রোবট রাজনীতিবিদ

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১৬ মার্চ ২০১৫

ক্রিমিনাল মাইন্ড ও  রোবট রাজনীতিবিদ

বিএনপি-জামায়াত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ‘সংবাদ সম্মেলন’ সম্পর্কে কি সাধারণ মানুষের আগ্রহ ছিল? সারাদিন তো বটে, সন্ধ্যার খবরের আগে বিভিন্ন ধরনের মানুষজনের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। একজনকেও ঔৎসুক্য প্রকাশ করতে দেখিনি। একজন রাজনৈতিক নেতা সম্পর্কে আগ্রহ বা ঔৎসুক্যের অভাব কিন্তু তার জন্য ইতিবাচক কোন খবর নয়। অবসরপ্রাপ্ত মেজর ও বিএনপি নেতা আখতারুজ্জামান যে শিমুল বিশ্বাসকে খালেদার ‘জেলার’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, তিনিও (শিমুল বিশ্বাস) ‘কি জানেন বিষয়টা।’ তিনি না জানলেও খালেদা জিয়া খুব সম্ভব বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন এবং খবরে আসার জন্যই সাংবাদিকদের ডেকেছেন। আমন্ত্রণ শব্দটি আমি ইচ্ছে করেই ব্যবহার করলাম না। কারণ খালেদা জিয়া কখনও সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানান না। তিনি তাঁদের ডেকে পাঠান। সমস্যা হচ্ছে, তিনি খবর হননি। মনে হয়েছে, একটি রোবট জাতীয় রাজনৈতিক নেতা কিছু অটিস্টিক সাংবাদিকের সামনে একঘেয়েভাবে একটি ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছেন। খালেদা জিয়া একটানা কথা বলে গেছেন, কোন অভিব্যক্তি ছিল না তাঁর মুখে। সাংবাদিকদের অটিস্টিক বলার কারণ তারা কোন প্রশ্ন করেননি। গত দু’মাস খালেদা জিয়ার কারণে এক শ’র বেশি মানুষ শুধু মারা যাননি, প্রভূত ক্ষতি হয়েছে দেশের। সে বিষয়ে সাংবাদিকদের কোন জিজ্ঞাস্য ছিল না। অথচ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সমাবেশ করলে তাদের মুখে ফুলঝুরি ফোটে। এমনও হতে পারে, খালেদার সামনে গেলে সাংবাদিকদের নিজেদের ব্যাটম্যানের মতো মনে করেন। শেখ হাসিনার ব্যবহারে ব্যাটম্যানের প্রথম দুটি অক্ষর থেকে তারা মুক্ত হন। এই দৃষ্টিভঙ্গিই রাজনীতির মধ্যে গুরুত্বতর পার্থক্যের সৃষ্টি করেছে। এই পার্থক্য আরও বোঝা যায় খালেদার বক্তব্যে। তাঁর বক্তব্যের মূল কথা হলো আন্দোলন যৌক্তিক পর্যায়ে না পৌঁছা পর্যন্ত হরতাল-অবরোধ চলবে। হরতাল-অবরোধ কতদিন ধরে চলছে তা কয়েকজন পত্রিকা সম্পাদক ছাড়া কারও মনে আছে কিনা সন্দেহ। খালেদার হরতাল-অবরোধে সারাদেশের রাস্তাঘাটে যানজট চলছে। এটিকে হরতাল-অবরোধ বললে অভিধানে শব্দটির অর্থ বদলাতে হবে। কয়েকদিন পর ব্যক্তিগত মালিকানাধীন টিভি ছাড়া খালেদার বিজ্ঞপ্তি আর কেউ প্রকাশ করবে বলে মনে হয় না। তবে গত তিন মাসে বাংলাদেশে ‘আন্দোলনে’ খালেদার প্রধান অবদান, বিরোধীদের আন্দোলনের হাতিয়ার অকার্যকর করে তোলা। এ দেশে হরতাল-অবরোধ দিয়ে আর কেউ আন্দোলন চালাতে পারবে কিনা সন্দেহ। খালেদা তাঁর হরতাল-অবরোধ তুলে নেবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে। তখন সংলাপ করে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা যাবে। শেখ হাসিনার নির্বাচনী অঙ্গীকার বিশ্বাস করে নাকি তিনি ভুল করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি সরকারকে বলেছেন সংবিধান সংশোধন করতে। খালেদার পুরনো অভ্যাস আর গেল না। তা হলো হুকুমের ভঙ্গিতে কথা বলা। তিনি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মনে করেন ফালু ভুলু পটল খোকাদের মতো। সবাই যেন তাঁর হুকুমের চাকর। দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে যাঁরা ক্ষমতায় এসে সংবিধান সংশোধন করেছেন, তাঁরা খালেদার হুকুমে সংবিধান সংশোধন করবেন যাতে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীরা মেরে-কেটে ক্ষমতায় আসতে পারে। প্রকৃতিস্থ কোন রাজনীতিবিদ এ কথা বলতে পারেন না। তাঁর প্রকৃতিস্থতা নিয়ে সন্দেহ জাগে তাঁর অন্য আরেকটি মন্তব্যে। সেটি হলো পেট্রোলবোমা, ককটেল ছুড়ে মানুষ হত্যা ও যানবাহন পোড়াচ্ছে নাকি সরকারী লোকেরা। মিথ্যাকে সত্য বানাতে হলে সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে বলতে হয়। এই মহিলার অবস্থা এখন এমন যে, কোন্্টি সত্য কোন্্টি মিথ্যা তা বুঝতে ভ্রম হচ্ছে। যাকে বলে হ্যালুসিনেশনে ভুগছেন তিনি। অবশ্য, আমি তাঁকে দোষ দিই না। বিদ্যুতায়িত মিডিয়া ও ছাপা মিডিয়ার একাংশ পেট্রোলবোমা যারা ছুড়ছে বা নাশকতার কাজে লিপ্ত বা যারা মানুষ হত্যা করছে তাদের দুর্বৃত্ত বলছে। যদিও সবাই জানে বিএনপি-জামায়াতের হরতাল-অবরোধকে জোরদার করার জন্য তাদের কর্মীরা এটি করছে। এ ধরনের মিথ্যাচার নিয়ত করছে মিডিয়া। এ কারণে আমি আগেও পরপর লিখেছি, বাংলাদেশের মিডিয়ায় যারা ‘প্রগতিশীল’ হিসেবে খ্যাত তাদের দিলের ভেতরে এক টুকরো হেজাবি লুকিয়ে আছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত শুধু নাটোর বা বগুড়ায় যখন শ’ দেড়েক-দুয়েক মানুষের মিছিল করতে সক্ষম হয় তখন সংবাদ পাঠকদের গলায় পুলক চাপা থাকে না। সাড়ম্ব^রে ঘোষণা করা হয় বিএনপি কর্মীরা মিছিল বের করছে। তখন আর দুর্বৃত্ত শব্দটি ব্যবহৃত হয় না। এভাবে মিডিয়া হেজাবিদের, সুশীল বাটপাড়দের পক্ষে লড়ে যাচ্ছে। সরকারের সময় এসেছে এখন বিবেচনা করার যে, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নামে জঙ্গী-সন্ত্রাসবাদের পক্ষে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রচারণা চালানো যাবে কিনা? ভারসাম্যের নামে, টি আর পি বৃদ্ধির অসুস্থ মানসিকতা নিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গী মৌলবাদের উৎস জামায়াত-বিএনপির পক্ষে আলোচনা চক্রগুলোতে প্রচারণা চালাতে দেয়া হবে কিনা? আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীদের আশীর্বাদপুষ্ট টিভি মালিকরাই কিন্তু প্রথম যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, জঙ্গী মৌলবাদীদের কার্যকলাপকে আন্দোলনের অভিধা দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। এভাবে তাঁরা শেখ হাসিনার নীতিকে বিতর্কিত করে তুলেছেন। এবার আসা যাক, অঙ্গীকার ভঙ্গের প্রশ্নে। হ্যাঁ, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধানে ধারাবাহিকতা রক্ষার বিষয় আছে এবং সে জন্য নির্বাচন দরকার। কিন্তু সবাই বিষয়টি ভুলে যান যে, ‘নির্বাচনী পরিবেশ’ [বিএনপি-জামায়াত কথিত] তৈরির জন্য তিনি সর্বদলীয় মন্ত্রিসভা করতে চেয়েছেন। এমনকি সন্ত্রাসী জামায়াত-বিএনপিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদও তিনি দিতে চেয়েছেন। বার বার আলোচনা করতে চেয়েছেন। খালেদা তাতে রাজি হননি। বরং তিনি ও জামায়াত নেতারা তাদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গী কর্মী বাহিনী দিয়ে প্রায় এক বছর সারাদেশে যে তা-ব সৃষ্টি করেছিলেন তাতে ঐ ‘অঙ্গীকার’ এমনিতেই নাকচ হয়ে যায়। বিষয়টি এমন যে, আপনার আদুরে স্ত্রীর বাহানা মতো হিরে-প্লাটিনামের গহনা, ব্যাংক ব্যালেন্স সব করে দেয়ার অঙ্গীকার করলেন, তারপরও আদুরে স্ত্রী বললেন, এগুলো পেলেই চলবে না, ‘আমাকে যখন তখন যার তার সঙ্গে যেতে দিতে হবে।’ তখন স্বামী যদি বলেন, ‘ঠিক আছে যাও, তবে গয়নাগাটি, টাকা পাবে না,’ তখন কি তা অঙ্গীকার ভঙ্গ হয়? আর বেগম জিয়াই শিখিয়েছেন অঙ্গীকারনামা কিভাবে বাতাসে উড়িয়ে দিতে হয়। ১৯৯০ সালে নির্বাচনের আগে তিন জোট পাঁচ দফার এক অঙ্গীকারপত্র তৈরি করেছিল যাতে শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া ও রাশেদ খান মেনন সই করেছিলেন। নির্বাচিত হওয়ার পর বেগম জিয়া বেমালুম সেই লিখিত প্রতিজ্ঞাপত্রের কথা ভুলে গিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া আরেকটি কথা বলেছেন, যার মধ্যে খানিকটা সত্য আছে। তিনি বলেছেন, তাঁর এই আন্দোলন আদর্শের আন্দোলন। এই আন্দোলন ‘গণতন্ত্র’ রক্ষা এবং ভোট দেয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এক অর্থে ঠিক যে, এটি আদর্শের আন্দোলন তবে গণতন্ত্র রক্ষার আদর্শের নয়। এই আন্দোলন তাঁর স্বামী কর্তৃক পাকিস্তানী মানস প্রতিষ্ঠার আদর্শ যে কারণে পাকিস্তানী জামায়াতের সঙ্গে তাদের যৌথ কর্মকা-। ১৪ দলের নেতারা এবং সরকারের নীতিনির্ধারকরা প্রায়ই একটি কথা বলেন, জামায়াত ছেড়ে এলে বিএনপির সঙ্গে বসা যেতে পারে। এটি বাগাড়ম্বর এবং বিভ্রান্তিকর কৌশল। যাঁরা এ কথা বলেন, তাঁদের পরিষ্কারভাবে বলতে হবে, বিএনপি-জামায়াত কেন আলাদা। শেখ হাসিনা বলছেন, খালেদা জঙ্গী নেত্রী, তাঁর দলে অন্য নেতারাও তাই বলছেন, সেটি তাহলে কিসের ভিত্তিতে? জামায়াত ছাড়ার ঘোষণা দিলে কি জঙ্গী নেত্রীর মুকুট তিনি হারাবেন?’ ১৪ দলের নেতারা যদি বলেন, কি কারণে জিয়াউর রহমান জামায়াত অবমুক্ত করেছিলেন তা হলে বাধিত হব। এই অবমুক্তি ছিল যাতে জামায়াত সব সময় বিএনপির সঙ্গে থাকে। বিএনপি যদি ঘোষণা দেয় তারা জামায়াত ত্যাগ করেছে তারপরও দু’দলের কর্মীরা এক সঙ্গে কাজ করবে। খন্দকার মাহবুব ঠিকই মানবতাবিরোধী অপরাধীর পক্ষে দাঁড়াবেন। আমাদের উচিত বিএনপি-জামায়াতকে একটি একক হিসেবে বিচার করে রাজনৈতিকভাবে তাদের প্রতিরোধ করা। আমাদের ধারণা ছিল সাংবাদিকরা খালেদাকে জিজ্ঞেস করবেন গণতন্ত্রের জন্য মানুষ হত্যা কতটা বিধেয়? গণতন্ত্র এতদিন জেনেছি মানুষ রক্ষার জন্য। দেশের সম্পদ বিনষ্টকরণ গণতন্ত্রের কোন্্ সংজ্ঞায় পড়ে? দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া নৈতিকতার কোন্্ সংজ্ঞায় পড়ে? ক্রিকেটে একটি বিজয়ের জন্য হরতাল শিথিল করা, পাবলিক পরীক্ষার সময় হরতাল দেয়াÑ এ ধরনের ঘোষণা ক্রিমিনাল মাইন্ড ছাড়া দেয়া সম্ভব কি? এরকম পরিবারের সন্তানরা কেমন হয় বা রাজনীতি কেমন হয় তা বিএনপি পরিবারের সন্তানাদি দেখলেই বোঝা যায়। উদাহরণস্বরূপ, দৈনিক জনকণ্ঠের দুটি সংবাদের উল্লেখ করব [১৫.৩.২০১৫] যা অন্য কোন পত্রিকায় দেয়া হয়নি। কেন তারা এ ধরনের সংবাদ দেয় না তা আগেই উল্লেখ করেছি। একটি হলো, অবৈধ টাকা লেনদেনের সন্দেহে লন্ডনে তারেক জিয়ার ব্যাংক এ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত। এর আগে অবৈধ কথাবার্তা বলার জন্য তার কথাবার্তা স্থগিত করা হয়েছে। যে কারণে তার বাণী এখন আর ছাপা হয় না। দ্বিতীয় খবর হলো, বিএনপি নেতা জমিরউদ্দিন সরকারের পুত্র জালিয়াতি করে ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে লন্ডনে পালিয়েছেন। সেখানে তিনি কুখ্যাত বাঁশেরকেল্লা ডোমেইনটি কিনেছেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে জামায়াত-বিএনপি বা আইএসআই বাংলাদেশে কাদের খুন করা হবে, কোথায় সম্পত্তি বিনাশ করা হবে সে সব নির্দেশ দেয়া হতো। এরপরও বিএনপি-জামায়াতকে আলাদাভাবে যাঁরা বিচার করার কথা বলেন তাঁরা আসলে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষেই বলেন। ক্রিমিনাল মাইন্ড কিভাবে কাজ করে? একটি উদাহরণ দিই, খালেদা জিয়ার কারণে শতাধিক নিরীহ মানুষ হত্যা করা হয়েছে, কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বিনষ্ট করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে কি এ জন্য দুঃখ জানিয়ে তিনি একটি বাক্যও খরচ করেছেন? বরং হত্যাকা- চালিয়ে যাবার নির্দেশ দিয়েছেন। অবরোধের কারণে গরিবরা ক্ষুধার্ত থাকছেন, কিন্তু তাঁর জন্য বালতি ভরে খাবার যাচ্ছে। আসলে, ১৯৭৫ সালের পর মনোজগতে যে অপরাধপ্রবণতা আধিপত্য বিস্তার করে আসছে তার প্রভাব যে কত ব্যাপক এখন তা বোঝা যাচ্ছে। প্রশাসন, মিডিয়া, ব্যবসা, রাজনীতি, এনজিও, ‘সুশীল’দের একটা বড় অংশ এই প্রবণতায় আক্রান্ত। সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে বিষয়টি অনুভব করতে পারেন না। যে কারণে দেখি সন্ত্রাসকেও আন্দোলন বলেন, বুদ্ধিজীবীদের একাংশ, মিডিয়া, মধ্যবিত্ত কেউ-ই এই প্রভাব থেকে মুক্ত নন। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বটি এখন শেষ পর্যায়ে। হয়ত ক্রিমিনাল পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করবে না, ১৯৭১-এর বিজয়ী বাঙালীরা আধিপত্য বিস্তার করে থাকবে। যাঁরা ভাবছেন অবরোধ-হরতাল প্রত্যাহার করলে সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে তাঁরা অলীক স্বর্গে বাস করেছেন। জঙ্গী মৌলবাদী ও সন্ত্রাসীরা যখন বোতলমুক্ত হয়ে যায় তখন তার নিজ ইচ্ছায়-ই চলে, তাদের আবার বোতলজাত করা দুরূহ। লাদেন মারা যাওয়াতে কি সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ বন্ধ হয়েছে? ক্রিমিনাল রাজনীতিবিদরা যা শুরু করেছেন তা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের সময় লাগবে। নিজেদের ভাল চাইলে উচিত হবে স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যাওয়া। তা হলেই ক্রিমিনাল রাজনীতিবিদরা আর রাজনীতি-সমাজ সংলগ্ন থাকবেন না। খালেদা জিয়ার বক্তব্য এরপর যতই প্রচার হোক তা ক্রমেই মূল্যহীন হয়ে পড়বে। আমাদের সমাজ রাজনীতিতে তারা যখন অপাঙ্্ক্তেয় হয়ে যাবে তখনই এই মানুষ ও দেশবিনাশী কর্মকা- থামবে, তার আগে নয়। সংলাপ করলেও নয়। এই কঠিন সত্যটা মনে রাখলে রাজনীতি আর ততটা জটিল মনে হবে না।
×