ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পুুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৬ মার্চ ২০১৫

পুুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে  লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সূচকের পতন দিয়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসের লেনদেন শেষ হয়েছে। বিভিন্ন খাতের বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়ার দিনে অন্যান্য কোম্পানির দর কিছুটা কমেছে। তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোরও দর বেড়েছে দিনটিতে। ডিএসইতে সার্বিক সূচক ও বাছাই সূচক কমলেও শরীয়াহ সূচকটি বেড়েছে। তবে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সেখানেও একটি সূচক কিছুটা বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রবিবার সকালে সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর কারণে লেনদেনের গতি কিছুটা কম ছিল। ফলে দিনশেষে ডিএসইতে ২৫৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৭৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা কম। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৩২৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার। রবিবার ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৭৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি শেয়ার দর। ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্য সূচক ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭০৯ পয়েন্টে। তবে বেড়েছে ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক। এ সূচক শূন্য পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১০৪ পয়েন্টে। ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জ্বালানি এবং শক্তি খাতের। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫২ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ৫৬ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেন ছিল ৪০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৫ ভাগ। এর পরই প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর লেনদেন হয়েছে। খাতটির বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমলেও মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১২ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলোÑ শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি, এমজেএল বাংলাদেশ লিমিটেড, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, ইফাদ অটোস, এসিআই লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড, শাশা ডেনিমস, গ্রামীণফোন, এসিআই ফরমুলেশন লিমিটেড এবং হাইডেলবার্গ সিমেন্ট লিমিটেড। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ জেমিনী সী ফুড, ইস্টার্ন কেবলস, ইফাদ অটোস, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, প্রথম প্রাইম মিউচুয়াল ফান্ড, স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স, রেকিট বেনকিজার, ম্যারিকো ও পপুলার লাইফ। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ দ্বিতীয় আইসিবি, পূবালী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, উত্তরা ব্যাংক, আরএন স্পিনিং, দুলা মিয়া কটন, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, হিডেলবার্গ সিমেন্ট, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ও কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স। এদিকে ঢাকা স্টক একচেঞ্জে সূচকের মিশ্র প্রবণতা থাকলেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের সব ধরনের সূচকই কমেছে। সকালে লেনদেন শুরুর পর থেকেই সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। দিনশেষে সিএসইতে ২১ কোটি ২২ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক ৯০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫২ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২২২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫টির, কমেছে ১৪৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, শাশা ডেনিমস, ইফাদ অটোস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, মবিল যমুনা বিডি, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড, এসিআই, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল ও বেক্সিমকো।
×