ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দলের জয়ে তৃপ্ত ধোনি

ম্যাচসেরা রায়নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ‘ক্যাপ্টেন কুল’

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৫ মার্চ ২০১৫

ম্যাচসেরা রায়নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ‘ক্যাপ্টেন কুল’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একাদশতম বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছে ভারত। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষেও রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে তারা। আর কোয়ার্টার ফাইনালের আগে গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচের সবতেই জয় পাওয়া দলের পারফর্মেন্সে দারুণ সন্তুষ্ট টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। শনিবার ইডেন পার্কে চাপের মুখে ম্যাচ জিতে নিজের মুখেই তৃপ্তির কথা জানান ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে মিশন শুরু করেছিল ভারত। এর পরের চার ম্যাচেও সহজ জয় পায় বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তবে সেই তুলনায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে জয় পেতে ধোনি-কোহলিদের লড়াই করতে হয়েছে। তবে জিম্বাবুইয়েকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এখন ‘বি’ গ্রুপের একমাত্র অপরাজিত দল ভারত। সেইসঙ্গে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করল তারা। এর ফলে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষে থাকা ভারত আগামী বৃহস্পতিবার কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইয়ে নামবে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। আর জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ম্যাচে বোলাররা আশানুরূপ পারফর্মেন্স না-করলেও ব্যাটিং দাপট দেখিয়েছে ঠিকই। আর ব্যাটসম্যানদের অসাধারণ নৈপুণ্যেই বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচ জেতার বিস্ময়কর এক কীর্তি গড়ল ভারত। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক ধোনি বলেন, ‘চাপের মুখে প্রত্যেকেই দারুণ পারফর্মেন্স উপহার দিয়েছে। তিন পেসার, দুই স্পিনার ও টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা কোন কোন ম্যাচে বেশ ভাল পারফর্ম করেছে। লোয়ার-অর্ডার সেভাবে ব্যাট করার সুযোগ পায়নি। সুতরাং এই ম্যাচটা আমাদের কাছে সহজ ছিল না।’ এদিন ভারতকে ২৮৮ রানের জয়ের টার্গেট ছুড়ে দেয় জিম্বাবুইয়ে। জবাবে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। মাত্র ২১ রানেই সাজঘরে ফিরে যায় ভারতের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তবে পঞ্চম উইকেটে সুরেশ রায়না ও মহেন্দ্র সিং ধোনি ১৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে সহজ জয় এনে দেয়। পঞ্চম উইকেটে বিশ্বকাপে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে ভারতের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা রান পাননি। রোহিত শর্মা ১৬, শিখর ধাওয়ান ৪, বিরাট কোহলি ৩৮ এবং আজিঙ্কা রাহানে করেন মাত্র ১৯ রান। তবে এ জন্য প্রতিপক্ষ জিম্বাবুইয়েরও কীর্তিত দিলেন ধোনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিরাট কোহলি যখন ব্যাট করতে যায়, তখন আমরা চাপে ছিলাম। কারণ উইকেট সেøা ছিল। বল ঠিকমত ব্যাটে আসছিল না। তবে এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে জিম্বাবুইয়ে বেশ ভাল দল।’ এদিন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নিলেন সুরেশ রায়না। একাদশতম বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এর পরের চারটি ম্যাচেই ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ চিলেন রায়না। কিন্তু ইডেন পার্কে জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে রান তাড়া করে কঠিন পরিস্থিতিতে সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়ে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দিলেন রায়না। খেলেন চোখ ধাঁধানো ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস। আর এটাই তার বিশ্বকাপের প্রথম শতক। তবে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম। দলের জয়ে ম্যাচসেরা হওয়ার পর উচ্ছ্বসিত রায়না। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে দলকে জেতাতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। ধোনির সঙ্গে আমার জুটিটা দারুণ হয়েছে। ধোনি ক্রিজে আসায় আমার ব্যাটিং করতে অনেক সুবিধা হয়েছে। পাওয়ার প্লেতে আমরা ইতিবাচক ব্যাট করেছি। এর আগেও ধোনি আর আমি দু’জনে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছি।’ ম্যাচসেরা সুরেশ রায়নাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন অধিনায়ক নিজেও। এ বিষয়ে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে ধোনি বলেন, ‘পাঁচ নম্বরে রায়না আমাদের মূল ব্যাটসম্যান। তাছাড়া ম্যাচে রায়না এবং আমার জুটিটা অনেক ভাল হয়েছে। যা দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
×