ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়ক ॥ ফেরি পারাপার বন্ধ

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ১৪ মার্চ ২০১৫

কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়ক ॥ ফেরি পারাপার বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৩ মার্চ ॥ কলাপাড়া-কুয়াকাটা বিকল্প সড়কের বালিয়াতলীর ফেরি পারাপার বছরের পর বছর বন্ধ হয়ে আছে। ফেরি এখন চরে আটকে আছে। ফলে বিকল্প পথে কুয়াকাটার সঙ্গে পর্যটকের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে গঙ্গামতির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দীর্ঘদিন বিকল থাকায় এর যন্ত্রপাতি প্রতিনিয়ত চুরি হচ্ছে। এছাড়া এখন ফেরি, পন্টুন, গ্যাংওয়ে সব খেয়াঘাটের ইজারাদার তার ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করছে। উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এলজিইডির পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-২৫ আওতায় দেশীয় কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি মেকানাইজড ফেরিটি বালিয়াতলী পয়েন্টে আন্ধারমানিক নদীতে স্থাপন করে । ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ সারে উপজেলা পরিষদের কাছে এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। উপজেলা পরিষদ বাংলা ১৪১৬ সালের জন্য ২৬ হাজার টাকায় ইজারা প্রদান করে। এ পয়েন্টে ফেরি চালু হওয়ায় পর্যটকসহ লালুয়া, মিঠাগঞ্জ, বালিয়াতলী ও ধুলাসার ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও যানবাহন চলাচল দুর্ভোগ লাঘব হয়। কিছুদিন যেতেই ফেরির ইঞ্জিন গ্যাংওয়ে, পন্টুন বিকল হতে থাকে। এখন ইঞ্জিনের পাখা ভেঙ্গে বিকল থাকায় যানবাহন পারাপার প্রায় তিন বছর বন্ধ রয়েছে। এতে কুয়াকাটাগামী পর্যটকসহ বালিয়াতলী, মিঠাগঞ্জ, লালুয়া ও ধুলাসারের চারটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ফেরিটি মেরামত করে পুনরায় চালু করার কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন খেয়া নৌকায় পারাপার করতে হয় মানুষকে। আর এ সুযোগে খেয়া ইজারাদার যানবাহন ও লোক পারপারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ফেরির চালক মাসুম বিল্লাহ জানান, বছর খানেক আগে ষড়যন্ত্র করে ফেরির টন পাইপ ও পাখার মাথার সঙ্গে রড বেঁধে দেয়ায় পাখা ভেঙ্গে যায়। এর পর কর্তৃপক্ষ মেরামত না করায় চরে উঠিয়ে রাখা হয়। এ অবস্থায় থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, ফেরিটি চালু থাকাকালে এ সড়কে প্রতিদিন অনেক যানবাহন চলাচল করেছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার জানান, খুব দ্রুতই ফেরিটি চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে।
×