ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে দ. আফ্রিকা

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ১৩ মার্চ ২০১৫

‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেষ আটে দ. আফ্রিকা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারত-পাকিস্তানের কাছে হেরে শেষ আটে ওঠার জন্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তবে বেশ ভালভাবেই শেষ করল তারা। ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবেই কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়া শিবির। গ্রুপ পর্বের মিশন শেষ করেছে ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে। বৃহস্পতিবার ওয়েলিংটনের ওয়েস্টপ্যাক স্টেডিয়ামে দুর্বল আরব আমিরাতকে ১৪৬ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। ৬ চার ও ৪ ছক্কায় অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের করা ৯৯ রানের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৪১ রান তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক ২০ ছক্কা এবং সবমিলিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক ৩৬ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছেন তিনি। জবাবে ৪৭.৩ ওভারে ১৯৫ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত। এখানেও আছে ভিলিয়ার্স কীর্তি। ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন তিনি! ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো বোলিং করতে নেমে ১৫ রানেই ২ উইকেট শিকার করেন তিনি। এটি নিয়ে ৫ ম্যাচেই হারল আমিরাত। ব্যবধানটা কতখানি হবে সেটার ওপর গ্রুপ পর্বে নেট রানের ভিত্তিতে অবস্থান নিশ্চিতের একটি বিষয় ছিল। টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকেই আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আরব আমিরাত। দুর্বলতর দলের বিরুদ্ধেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি প্রোটিয়া উদ্বোধনী জুটি। দলীয় ১৭ রানেই বিদায় নিয়েছেন হাশিম আমলা (১২)। গ্রুপ পর্বের ৬ ম্যাচে প্রোটিয়া শিবিরের উদ্বোধনী জুটির গড় ১১.৫ রান। তবে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ ওপেনার কুইন্টন ডি কক এদিন কিছুটা ধৈর্য নিয়ে খেলে ২৬ রান করেছেন। দলীয় ৯৬ রানের মধ্যেই ডি কক ও রাইলি রুশো ফিরে যান। এরপরই শুরু হয় চিরাচরিত ভিলিয়ার্স শো। তিনি অবশ্য এদিন মাত্র ১ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হয়েছেন। ৮২ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৯৯ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে অবশ্য নতুন এক রেকর্ড গড়ে গেছেন। চলতি আসরে ২০ ছক্কা হাঁকিয়ে এক বিশ্বকাপে সর্বাধিক ওভার বাউন্ডারি হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছেন। ছাড়িয়ে গেছেন ২০০৭ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেনের হাঁকানো ১৮ ছক্কার রেকর্ডকে। এছাড়াও পেছনে ফেলেছেন বিশ্বকাপ ইতিহাসে রিকি পন্টিংয়ের হাঁকানো ৩১ ছক্কার রেকর্ডকেও। ভিলিয়ার্সের বিশ্বকাপে মোট ছক্কা সংখ্যা এখন ৩৬। শেষদিকে ফারহান বেহারডিয়েনের ৩১ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় করা ৬৪ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৪১ রানে শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। আরব আমিরাতের জন্য শুরুতেই লক্ষ্যটাকে অসম্ভব করে তোলেন প্রোটিয়া পেসাররা। ৪৫ রানের মধ্যেই তিন টপঅর্ডারকে হারায় তারা। চতুর্থ উইকেটে শায়মান আনোয়ার ও স্বপ্নীল পাতিল ৬৩ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় কিছুটা সামাল দেন। ধারাবাহিকভাবে রান পাওয়া শায়মান অবশ্য ৩৯ করেই ফিরে যান। তবে ৫ ম্যাচে ৩০৯ রান করে নতুন এক রেকর্ড সৃষ্টি করেন তিনি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোন সহযোগী সদস্য দেশের ব্যাটসম্যান হিসেবে এক আসরে সর্বাধিক রানের রেকর্ড এখন তাঁর। এরপর পাতিল একাই লড়ে অর্ধশতক হাঁকান। ১০০ বলে ৫ চারে ৫৭ রান করে ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছেন তিনি। আর কোন ব্যাটসম্যান তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। ২ ওভার ৩ বল বাকি রেখেই আরব আমিরাত গুটিয়ে যায় ১৯৫ রানে। নেট রানরেটে অনেক এগিয়ে থাকায় প্রোটিয়াদের সমান পয়েন্ট হলেও আর ছোঁয়া অসম্ভব বাকি দলগুলোর। তাই নিশ্চিত হয়েছে ‘বি’ গ্রুপ রানার্সআপ তারা।
×