ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স কাজ করে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৯ মার্চ ২০১৫

বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স কাজ করে যাচ্ছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ- কার্যকর করার লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্সটি বর্তমান সরকারের আমলে পুনর্গঠন করা হয়েছে। এই টাক্সফোর্স একাধিক সভায় মিলিত হয়েছে জাতির পিতার দ-প্রাপ্ত খুনীদের অবস্থান চিহ্নিত করা এবং দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এছাড়া খুনীদের ছবি সংবলিত তথ্য প্রেরণপূর্বক তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোন ধরনের গাফিলতি নেই। রবিবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি জানান, পলাতক খুনীদের অবস্থান চিহ্নিত করা সম্ভব হলে যথাযথ পদ্ধতিতে অনুসরণপূর্বক দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, জাতির পিতার হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যু দ-প্রাপ্ত ১২ আসামির মধ্যে ৫ জনের দ- কার্যকর করা হয়েছে। অপর আসামি মেজর (অব) আবদুল আজিজ পাশা জিম্বাবুইয়েতে মুত্যুবরণ করেছে বলে জানা যায়। অবশিষ্ট পলাতক ৬ আসামি আনুমানিক অবস্থান অনুযায়ী লে. কর্নেল (অব) খন্দকার আবদুর রশিদ পাকিস্তান/লিবিয়া, মেজর (অব) শরিফুল ইসলাম ডালিম পাকিস্তান/লিবিয়া কিংবা জিম্বাবুইয়ে, মেজর (অব) আবু মোহাম্মদ রাশেদ চৌধুরী আমেরিকা, মেজর (অব) এসএইচএমবি নূর চৌধুরী কানাডা, ক্যাপ্টেন (অব) আবদুল মাজেদ ডাকার (সেনেগাল) এবং রিসালদার (অব) মোসলেহ উদ্দিন ভারতে পালিয়ে রয়েছে। মন্ত্রী আরও জানান, আমেরিকায় অবস্থানকারী রাশেদ চৌধুরী এবং কানাডায় অবস্থানকারী নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উভয় দেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। এছাড়া পলাতকরা যাতে অন্য কোন দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে না পারে (যেমন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ইত্যাদি) সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহকে অনুরোধ করা হয়েছে। সরকারী দলের সদস্য মনোয়ারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, সহিংসতা ও নাশকতা রোধে পৃথক কোন স্পেশাল ফোর্স গঠনের সম্ভাবনা নেই। তবে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধ মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনীতে আরও ৫০ হাজার জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। সরকারী দলের আরেক সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদে গত ৫ বছরের ইয়াবা উদ্ধারের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল হতে ২০১৪ সালের নবেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮২ পিচ ইয়াবা আটক করা হয়েছে। ওই সময়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ৭ হাজার ১৭৮টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি ১০ হাজার ৭৯ জন। তিনি আরও জানান, মাদক একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও মাদক দ্রব্যের ভায়াল থাবায় আক্রান্ত। আওয়ামী লীগের আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, দেশের বিভিন্ন কারাগারে এক হাজার ১৩৯ জন ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি রয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ নারী আসামি। এ সংখ্যা চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
×