ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আন্তঃনগর ট্রেন বাইপাস করতে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ৮ মার্চ ২০১৫

আন্তঃনগর ট্রেন বাইপাস করতে ২১ কোটি টাকা বরাদ্দ

স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ প্রায় শত বছরের দাবি এবার পূরণ হতে যাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসীর। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্পটি হচ্ছে আমনুরা রেল জংশনে বাইপাস রেলপথ নির্মাণ। যার ফলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে সরাসরি ইন্টারসিটি গাড়ির প্রত্যেকটি রাজশাহীর পরিবর্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাবে। শুধু তাই নয় খুলনা, চট্টগ্রামসহ দেশের প্রধান বড় শহরের সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আন্তঃনগর ট্রেন রেলপথে কানেক্ট হবে। জেলার সঙ্গে ঢাকার সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন চালুর পথ সুগাম করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত এই প্রকল্পে সাম্প্রতিক একনেক ২১ কোটি টাকার বরাদ্দ মঞ্জুর করেছে। বর্তমান সরকার প্রথম মেয়াদে ১শ’ ৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ঈশ্বরদী-রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে উত্তরাঞ্চলের একমাত্র রেলবন্দর রহনপুর পর্যন্ত অচল হয়ে পড়া রেলপথ সংস্কার করেন। ফলে মঙ্গলা বন্দরের সঙ্গে নেপাল ভুটানে সংযোগ সাধন হয়। বর্তমানে ভারতের কিছু অংশ ও নেপাল ভুটান মংলা বন্দর ব্যবহার করে রহনপুর রেল বন্দর দিয়ে মালামাল নিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি রহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ ১১টি স্টেশন সংস্কার ও নতুন করে নির্মাণের মাধ্যমে আনা হয়েছে আধুনিক পর্যায়ে। বিশাল অঙ্কের অর্থব্যয়ে রেলপথ সংস্কার ও রেলস্টেশন নির্মাণ করা হলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের দাবি ছিল আন্তনগর ট্রেন। কারণ একটাই আমনুরা রেল জংশনে বাইপাস না থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহীগামী ট্রেনকে আমনুরা জংশনে সাটিং দিয়ে ইঞ্জিনকে ঘুরিয়ে আবার ট্রেনের সঙ্গে সংযোগ দিতে প্রায় ৪৫ মিনিট চলে যায়। সময়ের অপচয় রুখতে এখন এই বাইপাস নির্মাণের ব্যবস্থা হচ্ছে। যদিও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই বর্তমানে একটি আন্তঃনগর ট্রেনের কানেকশান দেয়া হয়েছে। কিন্তু তা চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ছেড়ে আমনুরা জংশনে ৪৫ মিনিট অপচয় করে রাজশাহী পৌঁছে আবর দুই ঘণ্টা বসে থেকে প্রায় ১৬ ঘণ্টায় ঢাকা পৌঁছে। দামুড়হুদায় সোয়াইন ফ্লু আতঙ্ক ॥ সতর্ক মেডিক্যাল টিম খবর প্রকাশ সংবাদদাতা, দামুড়হুদা, চুয়াডাঙ্গা, ৭ মার্চ ॥ চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার দর্শনা সীমান্ত সোয়াইন ফ্লু আতঙ্কে চেকপোস্ট পয়েন্টে ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রীদের গুরুত্বের সঙ্গে ব্যাগ তল্লাশি ও প্রাথমিকভাবে শারীরিক রোগ শনাক্তকরণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। মেডিক্যাল টিম প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সীমান্তের ওপারে যেভাবে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত হয়ে যেভাবে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তাতে করে কিছুটা পাসপোর্টধারী যাত্রীর সংখ্যা কমেছে। জানা যায়, দর্শনা স্থল সীমান্ত চেকপোস্ট দিয়ে ৪-৫ শতাধিক পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকলেও শুক্রবার যাত্রী গিয়েছে ২৫০-২৬০ জন। দর্শনা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশ ও কর্তব্যরত মেডিক্যাল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত হয়ে কিছু মানুষ মারা যাওয়ার খবরে দর্শনা সীমান্তবর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে যায়। এ নিয়ে গত ৪ মার্চ দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় সোয়াইন ফ্লু ঝুঁকিতে দর্শনা রেলওয়ে চেকপোস্ট সংবাদ প্রকাশের পর সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের নির্দেশে দামুড়হুদা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসানুজ্জামান নুপুরের নেতৃত্বে শুধুমাত্র সোয়াইন ফ্লু শনাক্তকরণের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে।
×