ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার প্রাচীন নিমরুদ শহর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে আইএস

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ৭ মার্চ ২০১৫

এবার প্রাচীন নিমরুদ শহর  গুঁড়িয়ে দিচ্ছে আইএস

ইরাকের নিমরুদ শহরে প্রাচীন এ্যাসিরীয় সভ্যতার নিদর্শন ধ্বংস করতে শুরু করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গীরা। তারা এই নিদর্শন গুঁড়িয়ে দিতে ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে। নিমরুদ ইরাকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতœতাত্ত্বিক ঐতিহ্যম-িত শহর। ইরাকী সরকার এ খবর জানিয়েছে। দেশটির পর্যটন ও প্রতœতত্ত্ব মন্ত্রণালয় তাদের আনুষ্ঠানিক ফেসবুক পেজে বলেছে, আইএস জঙ্গীরা ঐতিহাসিক নিমরুদ শহরে হামলা চালিয়েছে এবং প্রতœনিদর্শন ভাঙতে ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরাকী এক প্রতœতাত্ত্বিক কর্মকর্তা এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, বৃহস্পতিবার যোহরের নামাজের পর ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয় এবং আমরা এখনও জানি না, কি পরিমাণ নিদর্শন ভাঙা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু ট্রাক সম্ভবত শৈল্পিক কোন নিদর্শন সরিয়ে নিয়ে যায়। এ্যাসিরীয় সভ্যতার এক অনন্য রতœ নিমরুদ। প্রাচীনকালে ইরাক, সিরিয়া ও তুরস্কের অংশজুড়ে ছিল এ্যাসিরীয় সভ্যতার বিস্তার। ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে দজলা নদীর ধারে ১৩শ’ শতকে নিমরুদ শহরটি গড়ে উঠে। মসুল এখন আইএই জঙ্গীদের প্রধান ঘাঁটি। এর আগে গত মাসে মসুল শহরের জাদুঘরে বেশ কিছু মূল্যবান পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন ধ্বংস করার ভিডিও প্রকাশ করে আইএস। সংগঠনটি ভিডিওতে বলে, এই নিদর্শনগুলো ইসলামসম্মত নয়, বরং ইসলাম ধর্মকে অসম্মান করে। ২০০১ সালে একইভাবে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি ধ্বংস করেছিল তালেবান জঙ্গীরা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্টোনি ব্রুক ইউনিভার্সিটির ইরাকী প্রতœতাত্ত্বিক আব্দুল আমির হামদানি বলেছেন, আমি দুঃখের সঙ্গে বলছি, সবাই এমনটাই আশঙ্কা করেছিল। তাদের পরিকল্পনা ইরাকী ঐতিহ্য একটার পর একটা ধ্বংস করে দেয়া। এরপর তাদের লক্ষ্য হবে অবশ্যই হাতরা। নিনেভ প্রদেশের সুন্দরভাবে সংরক্ষিত শহর হাতরা। এটি ২০০০ বছরের বেশি পুরনো এবং ইউনেস্কোর ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য। বিংশ শতকের প্রতœতাত্ত্বিক আবিষ্কারের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিমরুদ। ১৯৮৮ সালে সেখান থেকে রতœ ও মূল্যবান পাথরের এক সংগ্রহ মাটি খুঁড়ে বের করা হয়। নিমরুদের বেশিরভাগ অমূল্য প্রতœসামগ্রী অনেক আগেই মসুল, বাগদাদ, প্যারিস ও লন্ডনসহ বিভিন্ন জাদুঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তবে বিশাল লামাসু ভাস্কর্য এখনও সেখানে রয়ে গেছে। লামাসু হলো মানুষের মাথাসহ ডানাওয়ালা ষাড়। Ñএএফপির
×