ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা জিয়ার দুই আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৬ মার্চ ২০১৫

খালেদা জিয়ার দুই আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারক পরিবর্তন ও গ্রেফতারি পরোয়ানা স্থগিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক ও বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আগামী ১২ মার্চ বৃহস্পতিবার আবেদন দুটি কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশে বলা হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন মোঃ খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এই দুই দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে। ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মামলা দুটির বিচার করছেন। তার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে গত ২৮ জানুয়ারি এ দুই মামলায় বিচারক পরিবর্তনের দুই আবেদন হাইকোর্টে দাখিল করেন খালেদা জিয়া। গত রবিবার তা শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়। এর আগে মামলা দুটির অভিযোগ গঠনকারী বিচারকের নিয়োগের বৈধতা এবং অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে এসেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতেও তা খারিজ হয়ে যায়। এদিকে লাগাতার অবরোধ ডেকে গত দুই মাস ধরে গুলশানের কার্যালয়ে অবস্থানরত খালেদা জিয়া টানা কয়েকটি ধার্য দিনে আদালতে হাজির না হওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর তার আইনজীবীরা পরোয়ানা স্থগিতের দুই আবেদন নিয়ে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টে আসেন। একই আবেদন তারা মামলা বিচারের দায়িত্বে থাকা ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতেও করেছিলেন। বুধবার তার শুনানি করে বিচারক খালেদার আবেদনগুলো নথিভুক্ত করে রাখেন। এর ফলে আগের পরোয়ানাই বহাল থাকে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে খালেদা জিয়ার আবেদনের শুনানি না হলেও রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আদালতে দুটি ‘পয়েন্ট’ উত্থাপন করে। তারা বলেন, দুদক আইনের মামলা শুনানির জন্য হাইকোর্টে একটি বেঞ্চ রয়েছে। হাইকোর্টে খালেদার এই মামলার শুনানি করতে হলে তা সেই বেঞ্চেই হওয়া উচিত। দ্বিতীয়ত, পরোয়ানা জারির পর খালেদা জিয়া এখন আইনের দৃষ্টিতে পলাতক। পলাতক ব্যক্তি আইনগত প্রতিকার চেয়ে আবেদন করতে পারেন না বলে আদালতকে জানান দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের পয়েন্ট বলেছি। আদালত শুনেছেন। তবে খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর এখনও শুনানি হয়নি। আমাদের পয়েন্টের বিষয়ে আদালত কোন সিদ্ধান্ত দেয়নি। আগামী সপ্তাহে এটা কার্যতালিকায় আসবে। আবেদনগুলো এখানে শুনানি হবে কি-না, সেটা তখন দেখা যাবে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত এ্যাটর্নি জেনারেল মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, খালেদার বিচারক পরিবর্তনের দুই আবেদনই মূল। দুদক আইনের মামলায় এ আবেদন দুটির শুনানি এখানে হতে পারে না। আমরা আদালতকে বলছি পলাতক থাকা অবস্থায় এ দুই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। তবে পরোয়ানা স্থগিতেও তাদের দুটি আবেদন আছে। বিচারক স্থগিতের আবেদনে সিদ্ধান্ত হলে বাকি দুটিতে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়ে যাবে।
×