ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্দেশ মতো নাশকতা চালিয়ে ছবি ও তথ্য ওরা পাঠাচ্ছে গণমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগ ক্ষেত্রে

চোরাগোপ্তা পেট্রোল বোমা- হামলা ॥ ধরা পড়ে গেছে জামায়াত বিএনপি জোট

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৬ মার্চ ২০১৫

চোরাগোপ্তা পেট্রোল বোমা- হামলা ॥ ধরা পড়ে গেছে জামায়াত বিএনপি জোট

বিভাষ বাড়ৈ ॥ আন্দোলনের নামে জঙ্গী সংগঠনের ন্যায় চোরাগোপ্তা বোমা হামলা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যাসহ বর্বরতা চালিয়ে বিএনপি অস্বীকার করলেও দায় স্বীকার করে চলেছে তাদের মিত্র জামায়াত-শিবির। বিএনপির শীর্ষ নেতারা কর্মীদের গাড়ি ভাংচুরসহ আক্রমণ চালানোর নির্দেশ প্রকাশ্যে দিয়েও বর্বরতার পরে জনরোষ এড়াতে দায় চাপাচ্ছেন সরকার কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার ওপর। নাশকতা চালাতে গিয়ে একের পর এক নেতাকর্মী ধরা পড়া এমনকি গণধোলাই খেলেও বেমালুম তা অস্বীকার করছে বিএনপি। কিন্তু প্রতিদিনই গণমাধ্যমে বিকৃত বক্তব্যও ভিডিও মেইল বার্তায় পাঠিয়ে তা-বের পরিসংখ্যান দিয়ে যাচ্ছে শিবির। হামলা, গাড়ি ভাংচুর ও পোড়ানোর খবর ছবিসহ সংবাদমাধ্যমে পাঠাচ্ছে শিবির। প্রতিদিন দেশের কতটি স্থানে তারা আক্রমণ করছে, গাড়ি পোড়াচ্ছে তার ছবিসহ প্রমাণ পাঠিয়ে দিচ্ছে। গাড়ি পোড়ানোসহ নাশকতা চালিয়েই কয়েক মিনিটের মধ্যে ছবিসহ তথ্য পাঠানো হচ্ছে গণমাধ্যমে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবারও এসেছে গাড়ি পোড়ানোর ছবিসহ কর্মকা-ের প্রমাণ। কথিত ‘শান্তিপূর্ণ‘ হরতাল-অবারোধের নামে বিএনপি-জামায়াত জোটের জঙ্গীরূপে চালানো নাশকতায় পুড়ছে দেশ। আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের সন্ত্রাসে সাধারণ মানুষের ওপর দুই মাস ধরে পেট্রোলবোমাসহ একের পর এক সহিংস আক্রমণে জীবন দিতে হয়েছে ১৩৮ জন মানুষকে। যাদের মধ্যে নাশকতা চালাতে গিয়ে গণপিটুনি ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বিএনপি-জামায়াতের ৫৫ বোমাবাজ। বাকিরা বিএনপি-জামায়াতের পেট্রোলবোমা হামলায় ও আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া সাধারণ মানুষ। প্রায় পাঁচ হাজার যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে আন্দোলনের নামে। ২০ দলের আগুনে পুড়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরও দেড় শ’ জন। বিএনপি-জামায়াত জোটের হত্যার টার্গেট যেন কেবল সাধারণ নিরাপরাধ মানুষ। অথচ হরতাল-অবরোধ ডাকা নেতারা আছেন হয় গা ঢাকা দিয়ে, না হয় বহাল তবিয়তে বাসায় এসির ভেতর। এখানেই শেষ নয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন তাঁর নাতনিকে পরীক্ষা দেয়ার জন্য মালয়েশিয়ায় পাঠিয়ে দিলেও নিজেদের স্বার্থে জিম্মি করেছেন ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ অন্তত ৫ কোটি শিক্ষার্থীকে। দুই মাসের চোরগোপ্তা পেট্রোলবোমা হামলা, সহিংসতা-নাশকতার শিকার হয়ে যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের প্রায় সকলেই দেশের সাধারণ নিরীহ খেটেখাওয়া মানুষ। জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়ে প্রাণ নিয়ে সুস্থ মতো আবার ঘরে ফেরা নিয়ে এখন চরম আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে দেশের প্রতিটি সাধারণ মানুষকে। কেননা পেট্রোলবোমায় প্রায় প্রতিদিনই ঝলসে যাচ্ছে কোন না কোন সাধারণ মানুষের শরীর। অবরোধে দেশের অর্থনীতি, পরিবহন, ব্যবসা, পর্যটন, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সবকিছুরই ক্ষতি হচ্ছে সীমাহীন। হরতাল-অবরোধ শুরুর পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও গাড়ি পোড়ানো বা পেট্রোলবোমা বা হাতবোমা হামলা চালানো হয়েছে সাধারণ মানুষের ওপর। সাধারণ নিরীহ মানুষ, যার মধ্যে নারী-শিশুও রয়েছে; এরা কেউ কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কর্মী ছিল না। একই সময়ে পেটের দায়ে রাস্তায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ৬৩ জন পরিবহন চালক ও হেলপারকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে; তারাও ছিলেন না রাজনীতির কেউ। সাধারণ যাত্রীদেরও মরতে হচ্ছে বাসে চলাচল করতে গিয়ে। ধারাবাহিকভাবে চলছে জঙ্গী নাশকতা ॥ বিশ্লেষকরা বলছেন, মূলত যুদ্ধাপরাধীর বিচার ঠেকাতে উত্তেজনা ও সংঘাত সৃষ্টির পরিকল্পনা নিয়েছে জামায়াত-শিবির ও জঙ্গীরা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকে যে নাশকতার শুরু তারই ধারাবাহিকতায় চলছে আজকের বর্বরতাও। নাশকতার পক্ষে বিএনপির অবস্থান থাকা জঙ্গীবাদীদের জন্য আশীর্বাদ। যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব ছড়িয়ে দেশজুড়ে একাত্তরের কায়দায় যে বর্বরতা চলেছেÑ এখনকার কর্মকা- তারই অংশ। বিএনপির এবারের নাশকতায় জামায়াতীদের উদ্দেশ্যকেই সফল করে দিচ্ছে। সাঈদীর ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে এবং ট্রাইব্যুনাল বাতিলের দাবিতে জামায়াত-শিবির চালিয়েছিল একাত্তরের কায়দায় বর্বরতা। ওই সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারির কারণে রাজধানীতে হরতালে তেমন নাশকতা না হলেও দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতা চালায় জামায়াত-শিবির। বিশেষ করে জামায়াত নেতা সাঈদীকে ‘চাঁদের ভেতরে দেখা গেছে’ এমন অপপ্রচারে দেশের উত্তরবঙ্গ ছিল বর্বরতার এলাকা। উত্তরবঙ্গের ছয় জেলায় জামায়াত-শিবিরের বর্বরতায় নিহত হয় ২৫ জন। ওই ঘটনায় বগুড়ায় ১২ জন, রাজশাহীতে ৪, জয়পুরহাটে ৫, ঝিনাইদহে ১, সাতক্ষীরায় ২ ও গাজীপুরে ১ জনসহ ২৫ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে ১৮ দলের সমাবেশ থেকে ৫৬ হাজার বর্গমাইল জ্বালিয়ে দেয়ার জামায়াতী হুমকি দিয়েছিল জামায়াত-শিবির নেতারা। বিএনপি নেতাদের পাশে রেখেই যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসির আদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায় নিয়ে ‘নাড়াচাড়া করলে’ ৫৬ হাজার বর্গমাইল জ্বালিয়ে দেয়ার হুমকি দেন একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটির এক নেতা। সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমরা হুঁশিয়ার করতে চাই, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার রায় নিয়ে যদি নাড়াচড়া করা হয়, তা হলে ৫৬ হাজার বর্গমাইলে আগুন জ্বলবে। জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে যদি এক মিনিটও সাজা দেয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ ‘কাঁপিয়ে দেয়া হবে’ বলেও হুমকি দেন তিনি। জঙ্গী নাশকতার তথ্যপ্রমাণসহ দায় স্বীকার ॥ গত বছর জাতীয় প্রেসক্লাবে তারেক রহমানের জন্মদিন পালনকালে ছাত্রদলের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, কেবল দুয়েকটি ‘গাড়ি ভাঙলে’ আন্দোলন হবে না। ছাত্রদলের কর্মীদের রাস্তায় নেমে আসতে হবে। তবে গত দুই মাস ধরে দেশজুড়ে মানুষ পুুড়িয়ে রীতিমতো বর্বরতা চালিয়ে গেলেও কোন অপকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা নেই বিএনপির। বরং বর্বরতা চালিয়েই নেতারা বলে দিচ্ছেন সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা করে এসব। হাতেনাতে নেতাকর্মী ধরা পড়ার কথা সাংবাদিকরা জানতে চাইলে উত্তর না দিয়ে বিএনপি নেতারা এড়িয়ে যাচ্ছেন। হামলা ভাংচুরের নির্দেশ দিলেও কেউ হামলায় মারা গেলেই বলছেন তা নাকি বিএনপি করেনি। চলতি সপ্তাহের নাশকতায়ও একই চেহারা দেখিয়েছে দলটি। তবে অনেকটা আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের মতোই হামলা, ভাংচুরের দায় স্বীকার করে চলেছে তাদের মিত্র জামায়াত-শিবির। সরাসরি হত্যার কথা না বলে প্রতিদিনই গণমাধ্যমে বক্তব্য বিবৃতি মেইল বার্তায় পাঠিয়ে তা-বের পরিসংখ্যান দিয়ে যাচ্ছে শিবির। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, গাড়ি পুুড়িয়ে উল্লাসরত শিবির নেতাদের ছবিসহ তথ্য ই-মেইল বার্তায় সংবাদমাধ্যমগুলোকে পাঠিয়েছে শিবির। গত কয়েক দিনে দেশের কতটি স্থানে উগ্রবাদী এ সংগঠনটি পুলিশকে আক্রমণ, রেলপথ অবরোধ কিংবা গাড়ি পুুড়িয়েছে তার ছবিসহ প্রমাণ পাঠিয়েছে। গেল সপ্তাহে হরতাল-অবরোধের পর বলা হয়েছিল, ৫০টি স্থানসহ গোটা দেশে কর্মসূচী সফল করতে শিবিরের কর্মীরা রাস্তায় নামেন। সংগঠনটি এক ডজনেরও বেশি ছবি পাঠিয়েছিল। বলা হয়, রাজধানীর বাড্ডায় ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা রাজপথ অবরোধ করে। পুলিশ প্রতিহত করলে ‘উত্তেজিত ছাত্র-জনতা’ গাড়ি ভাঙচুর করে। মেইলে শিবিরের নেতাকর্মীদের উল্লাস করতে দেখা যায়। কুমিল্লা জেলা দক্ষিণের শিবিরের কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বলে বলা হয়। মেইল আসে ‘সিবির ডিসিএন’ এই নাম থেকে। সঙ্গে আছে মেইল ঠিকানাও (ংযরনরৎফপহ.ঢ়ৎবংং@মসধরষ.পড়স)। এদিকে যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাংচুরের ঘটনার পরপরই এগুলোর ছবি সামাজিক গণমাধ্যমে নিজেদের পাতায় প্রকাশ করছেন বিএনপি-ছাত্রদল ও জামায়াত-শিবিরের সমর্থকরা। ঘটনার পরপরই ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে কয়েকটি জামায়াতী অনলাইন সংবাদমাধ্যমেও। পুলিশ বলছে, এসব কথিত সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকরা মূলত নাশকতাকারীদের জনসংযোগকারী হিসেবে কাজ করছেন। নাশকতার ঘটনার ছবি তাঁরা শুধু যে নিজেদের ওয়েবসাইটেই প্রকাশ করছেন তা নয়, অন্য গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের মধ্যেও বিলাচ্ছেন। বৃহস্পতিবারও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কয়েকটি গ্রুপে জ্বলন্ত গাাড়ির ছবি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ‘বিএনপি দলের ব্রেকিং নিউজ’ নামের একটি গ্রুপে ভাংচুরের সময়ের ও জ্বলন্ত গাড়ির ছবি দেয়া হয়েছে। ছবির ক্যাপশনে লেখা আছেÑ ‘বাঘের বাচ্চা’, ‘শাবাশ’। এ কথা আছে শিবিরের বাঁশের কেল্লায়ও। ছবিগুলোতে হামলাকারীদের পেছন আর পাশ থেকে তোলা কয়েকটি ছবিতে শিবিরের ‘আরটিএনএন’ নামের একটি সংবাদমাধ্যমের লোগো রয়েেেছ। নাশকতায় ইন্ধন আন্তর্জাতিক জঙ্গীগোষ্ঠী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তান এখনও তাদের এ দেশীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে জঙ্গীবাদী পাকিস্তান বানানোর চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। পাকিস্তানী কূটনীতিকদের ‘ইন্ধনে’ জামায়াতকে নিয়ে বিএনপি দেশে ‘নাশকতা’ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগও বহুদিনের। এমনকি কয়েক বছর আগে পাকি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কাছ থেকে নির্বাচনের জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার কোটি কোটি রুপী আনার কথা বলেছিল পাকিস্তানী গণমাধ্যমই। বলেছিলেন আইএসআইয়ের কর্মকর্তারাও। সম্প্রতি ঢাকায় পাকিস্তানী হাইকমিশনের কর্মকর্তার বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতার প্রমাণ আর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নাশকতার নির্দেশের খবরে সামনে চলে এসেছে অনেক উদ্বেগজনক বিষয়। বাংলাদেশবিরোধী কর্মকা-ের জন্য একদিকে দাবি উঠেছে পাকিস্তানী কূটনীতিকদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের, অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের সহিংসতা নির্দেশ দেয়ায় দাবি উঠেছে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের। পাকিস্তান সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা পাঠানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলছিলেন, ‘আমরা দীর্ঘকাল ধরে বলছি পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই বাংলাদেশে পাকিস্তানী দূতাবাস এবং বিভিন্ন এনজিওর মাধ্যমে এদেশের জঙ্গীদের অর্থায়নসহ সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পাকিস্তানী কূটনীতিক মাযহার খানের গ্রেফতার এবং তাকে দ্রুত ছাড়িয়ে নিয়ে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানোর ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে পাকিস্তান এখনও তাদের এদেশীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় পাকিস্তান বানাবার চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে।’ প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম দেশে বিএনপি-জামায়াত জোটের নাশকতার বিষয়ে বলেছেন, সম্প্রতি বাস ও যানবাহনে যেসব পেট্রোলবোমা হামলা চালানো হচ্ছে, তা কোন সাধারণ বোমা নয়। এগুলোতে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া এ ধরনের মারণাস্ত্র বিএনপি-জামায়াত আনতে পারত না। তিনি বলেন, বিএনপি বলতে এখন কিছু নেই, তারা জামায়াতের ওপর নির্ভরশীল দল হয়ে পড়েছে। পরিকল্পনা করে শিক্ষা-কৃষি-যানবাহনসহ সবক্ষেত্রে হামলা চালাচ্ছে তারা। বর্তমানে বাংলাদেশে যে জঙ্গীবাদী তৎপরতা চলছে পাকিস্তান তার অর্থায়ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তান। তাই আজ তারা এ দেশকে অস্থিতিশীল করতে জঙ্গীবাদীদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করছে। আর যার দোসর হিসেবে কাজ করছেন খালেদা জিয়া। তিনি তাঁর দুই নাতনিকে পরীক্ষা দিতে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছেন। অথচ হরতাল-অবরোধের নামে সহিংসতা করে দেশের ১৫ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
×