ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দি গার্ডিয়ান ইংলিশ স্কুল

নাশকতার ভয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিশু পার্কে

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ৫ মার্চ ২০১৫

নাশকতার ভয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিশু পার্কে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ নাশকতার ভয়ে শিশুরা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারছে না। মা-বাবারাও উদ্বিঘœ। গত দুই মাসের টানা অবরোধ ও হরতালে পেট্রোলবোমা আর ককটেল হামলায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে কোমলমতি শিশুরাও। আতঙ্কে মায়েরা কোল ছাড়া করতে চান না শিশুদের। বাবারাও শিশুদের নিয়ে খাল বিল আর নদীর ধারে বেড়াতে যেতে পারছেন না। এমনকি পাঠাতে পারছেন না বিদ্যাপিঠে। শীতের শীতলতা কাটিয়ে প্রকৃত যখন উষ্ণতায় ভরে উঠছে তখনই চট্টগ্রামের দি গার্ডিয়ান ইংলিশ স্কুলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় খেলা আর পিকনিকের। নাশকতার ভয়ে পরিপাটি আয়োজন করতে গিয়ে স্কুল আঙিনা বাদ দিতে হলো শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের। নাশকতার ছোবল থেকে শিশুদের রক্ষায় চট্টগ্রামের এই স্কুল কর্তৃপক্ষ নিজেদের আঙিনা বাদ দিয়ে আগ্রাবদে কর্ণফুলী শিশু পার্কে আনন্দঘন মুহূর্ত পালন করেছে গত শুক্রবার। এ আয়োজনে ছিল স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বনভোজন। স্কুলের প্রিন্সিপাল সোহেলী পারভীন জানিয়েছেন, নাশকতার ভয়ে এবার শহরের বাইরে পিকনিকের আয়োজন করা যায়নি। জামায়াত শিবিরের নির্মমতা শ্বাসনালি পুড়ে নির্বাক শাকিল স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ জামায়াত-শিবিরের নিশংস নাশকতায় দগ্ধ শরীর নিয়ে মৃত্যু যন্ত্রণায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছে শিশু শাকিল। শ্বাসনালিও পুড়ে গেছে শাকিলের। কথাও বন্ধ, নির্বাক যন্ত্রণায় কাবু সে। মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সময় সে শুধু বলতে পেরেছে, বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে। বাবার নাম জসিম উদ্দিন। বয়স ১৪ বছর। তার সঙ্গে আর কেউ নেই। একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে মাল আনতে যাচ্ছিল শাকিল। ভোরে কানসাটে পেট্রোলবোমা হামলায় আহত হয়ে কাভার্ডভ্যানের চালক মারা গেছেন। শাকিল ছিল চালকের সহকারী। তাকে ওইদিন সকালে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়েছে। শাকিলকে কানসাট থেকে রাজশাহীতে নিয়ে এসেছেন শিবগঞ্জের নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি শাকিলের সম্পর্কে কিছু জানেন না। হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, শাকিলের দুই হাত, মুখ, পা-সবই পুড়ে গেছে। নিথর দেহটা বিছানায় পড়ে রয়েছে। ঠোঁট দুটো হালকা কাঁপছে। যেটা অসহ্য যন্ত্রণার। কোন সাড়া নেই। তার এ অবস্থায় অনেকের চোখে পানি এসেছেন। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন জানান, শিশুটির শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার শ্বাসনালিও পুড়ে গেছে। তার অবস্থা খুব সঙ্কটাপন্ন। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়েছে। সঙ্গে কেউ না থাকলেও তাঁরা হাসপাতালের পক্ষ থেকে সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করছেন।
×