ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

এবার কাতারেও শ্রমবাজার

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ৫ মার্চ ২০১৫

এবার কাতারেও শ্রমবাজার

সারাবিশ্বেই কর্মক্ষেত্রে বাংলাদেশের কর্মীদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৬০টি দেশে প্রায় ১ কোটি বাংলাদেশী বিভিন্ন পেশায় কর্মরত। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নানা উদ্যোগে জনশক্তি রফতানি এখন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সৌদি আরবের পর আরও একটি সুখবর এসেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার থেকে। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে দেশটি। ২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বিপুলসংখ্যক কর্মীর প্রয়োজন কাতারের। এই ক্ষেত্রে আগ্রহীদের কোন অর্থ ব্যয় করতে হবে না। জানা গেছে, বাংলাদেশী কর্মীদের কাতার যাওয়া, ভিসা ও অন্যান্য খরচ বহন করবে দেশটির জনশক্তি আমদানিকারকরা। এই ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ খরচ, পাসপোর্ট ও অন্যান্য বাবদ ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হবে বাংলাদেশী কর্মীদের। এই পর্যায়ে চলতি বছরই বিভিন্ন কাজে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশী কর্মীর কাতার যাওয়ার সুযোগ রয়েছে এমন কথা বলছেন উদ্যোক্তারা। সংবাদটি যে আশাজাগানিয়া তাতে সন্দেহ নেই। বর্তমানে কাতার যেতে জনপ্রতি দুই থেকে তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়। মূলত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অতিমুনাফার কারণেই এত টাকা ব্যয় হয়। উল্লেখ্য, গত বছর দেশটিতে ৮৭ হাজার ৫৭৫ জন বাংলাদেশী কর্মী গেছেন। দেশটিতে বর্তমানে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৮২২ জন বাংলাদেশী কর্মরত। প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ৯টি নতুন আন্তর্জাতিকমানের ব্যয়বহুল স্টেডিয়াম নির্মাণ করছে দেশটি। পাশাপাশি ছয়টি শহরকে নতুন করে গড়ে তোলা হবে। কাতারের আয়তন মাত্র ১১ হাজার ৫৭১ বর্গকিলোমিটার। দেশটির জনসংখ্যা ২১ লাখ। দেশটির মোট জনসংখ্যার ১০ লাখেরও বেশি বিদেশী শ্রমিক। এবার যে কর্মী নেয়া হবে সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ কোটা বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কাতার। এই মুহূর্তে দেশটির জন্য ২০ লাখ কর্মী প্রয়োজন। এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে ৫ লাখেরও বেশি কর্মী বাংলাদেশ থেকে নেয়ার কথা। জানা গেছে, সরকারী নয়, সম্পূর্ণ বেসরকারী রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে নেয়া হবে কর্মী। তাই কর্মী বাছাই এবং প্রেরণের ক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা কি থাকবে সেই প্রশ্নটি উঠে আসবে। রয়েছে কর্মীদের প্রশিক্ষণসহ নানা ক্ষেত্রে দক্ষতার বিষয়টিও। তবে কাতার সম্পর্কে সম্প্রতি এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বিদেশী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এই সংবাদটি আগ্রহী অনেককে নিরুৎসাহিত করতে পারে। বিষয়গুলো আরও স্পষ্ট হওয়া দরকার। যেহেতু বিশাল আকারের লোক যাবে তাই সবার আগে ভাবা প্রয়োজন নিরাপত্তা নিয়ে। এ ক্ষেত্রে সব ধরনের নিরাপত্তা এবং আর্থিক সুবিধার বিষয়টিও নিশ্চিত করা দরকার।
×