ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

‘খালেদা গোটা দেশ গ্রাস করতে চাইছেন’

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ৩ মার্চ ২০১৫

‘খালেদা গোটা দেশ গ্রাস করতে চাইছেন’

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতের জারিকৃত গ্রেফতারী পরোয়ানা ও কার্যালয় তল্লাশির পরোয়ানা অবিলম্বে তামিল করার দাবি জানিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সিনিয়র সংসদ সদস্যরা বলেছেন, খালেদা জিয়া ফ্রাঙ্কেনস্টাইন স্টাইলে ও দানবীয় রূপ নিয়ে গোটা দেশ ও মানুষকে গ্রাস করতে চাইছেন। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরকে দিয়ে একের পর এক মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছেন। সেদিন আর বেশিদূরে নয়, দেশের জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে খালেদা জিয়ার দানবীয় রাজনীতির মৃত্যু ঘটবে, পাক হানাদারদের মতো তিনিও আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হবেন। তাঁরা কঠোরহস্তে সন্ত্রাস-নাশকতা দমন এবং জঙ্গী অর্থায়ন বন্ধে নতুন কঠোর আইন প্রণয়ন করে জঙ্গী অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তাঁরা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন সরকারী দলের মন্ত্রী ছায়েদুল হক, প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, হাবিবুর রহমান মোল্লা, আফছারুল আমিন, মোতাহার হোসেন, রহিম উল্লাহ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কোন সাধারণ নির্বাচন ছিল না। ওই নির্বাচনে আমরা হেরে গেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস হয়ে যেত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। বিএনপি-জামায়াত পরাজিত হলেও আজ ৫৬ দিন ধরে হরতাল-অবরোধের নামে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও জনসমর্থন পায়নি, এবারও পাচ্ছে না। তাদের আন্দোলন প্রিন্ট মিডিয়া ও বেসরকারী টেলিভিশনের স্ক্রলের মধ্যে সীমাবদ্ধ। দেশের কোথাও হরতাল-অবরোধ হচ্ছে না। কিন্তু দুর্ভাগ্য দেশের গণমাধ্যম অকার্যকর হরতাল-অবরোধের প্রচার করে চলেছে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াত জোট আল-কায়েদা ও আইএসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে কি না, তা খুঁজে বের করতে হবে। জঙ্গী অর্থায়ন বন্ধ না করা গেলে এসব নাশকতা বন্ধ করা যাবে না। জঙ্গী অর্থায়ন বন্ধে ও কঠোর আইন করে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ধ করে দিতে অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী জনসমর্থন না পেয়ে প্রতিশোধের রাজনীতি শুরু করেছে। গুপ্তহত্যা ও পেট্রোলবোমা মেরে একশ’রও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকাকে বন্ধ করে দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ পাকিস্তান বানাতে ষড়যন্ত্র করছেন তিনি। খালেদা জিয়ার হৃদয়ে এতো দগ্ধ মানুষের আর্তনাদও কাঁপন ধরাতে পারেনি। তাই জনগণের লড়াইয়ে সামনে খালেদা জিয়ার অপরাজনীতির মৃত্যু ঘটবে, পরাজিত হতে বাধ্য হবেন। ড. কামাল হোসেনের সমালোচনা করে রাশেদ খান মেনন বলেন, এই ব্যক্তি ১/১১-এর সরকারকে বৈধতা দিয়ে সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন, গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে বসে অবৈধ সরকারের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। আজ তাঁরা আবারও মাঠে নেমেছেন। খালেদা জিয়ার নির্বাচনের কাঁদুনিতে ইন্ধন জুগিয়েছেন এই কামাল হোসেন-মান্নারা। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হত্যা-সন্ত্রাস করে মানুষকে জিম্মি করা কোন গণতন্ত্র? আদালত, আইন, নিয়ম-কানুন সবই খালেদা জিয়া অমান্য করছেন। কোর্টে গিয়ে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁর জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। কিন্তু আদালতে না গেলে খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারে আদালতের আদেশ সরকারকে অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে। হত্যাকারীরা কখনও ক্ষমা পেতে পারে না।
×