ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ ট্রাস্ট পুরস্কৃত করল চারজনকে

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১ মার্চ ২০১৫

বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ ট্রাস্ট পুরস্কৃত করল চারজনকে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ১৯৭৮ সালের এক শুভলগ্নে ট্রাস্টের জন্মের পর দীর্ঘ পঁয়ত্রিশ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। নানা প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রান্তের মধ্য দিয়েও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই ট্রাস্ট কাজ করে যাচ্ছে। কোনরূপ অনুদান গ্রহণ না করেই সম্পূর্ণ পারিবারিকভাবে এই ট্রাস্ট পরিচালিত হয়। ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের অনুদান থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাহায্য, দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়। সাহিত্য, সাংবাদিকতা, সংস্কৃতি, সমাজকল্যাণ, শিক্ষাক্ষেত্র, খেলাধুলা ও জাতীয় স্বার্থে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রতিবছর দেশের কৃতী সন্তানদের পুরস্কার প্রদান করে আসছে। কাজী মাহবুবউল্লাহ ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছের একজন মানুষ । তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রগতিশীল, দয়ালু ও শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব । শনিবার শাহবাগে অবস্থিত জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ট্রাস্টের ২৬তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, কাজী মাহবুবউল্লাহ সাহেব প্রায়ই বঙ্গবন্ধুর বাসায় যেতেন। তিনি বয়সে বড় ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তাঁকে শ্রদ্ধা করতেন। দেশের বহু মানুষ দেশ সেবায় নিয়োজিত থাকেন, তারাই মহান। অনেকেই তার সাধ্যমত কাজ করে যাচ্ছেন। কাজী মাহবুবউল্লাহ ছিলেন একজন ব্যতিক্রম। বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জোবায়দা মাহবুব লতিফ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, দেশের সঠিক ইতিহাস প্রণয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের সঠিক মূল্যায়ন ও সারা দেশে বিশেষ করে শিক্ষাঙ্গনে বঙ্গবন্ধুর চেতনা প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশে ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সম্মতিতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার উদ্বোধন করেন। যাবতীয় খরচ বহনের জন্যে বিশ্ববিদ্যলয় কর্তৃপক্ষকে এককালীন ২০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের সম্মানিত সদস্য মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন। ২০১৪ সালের জন্যে চারটি ক্যাটাগরিতে মোট চারজনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সাহিত্যে কবি আসাদ চৌধুরী, সাংবাদিকতায় সৈয়দ বদরুল আহসান, কৃত্য শিল্পে (পারফর্মিং আর্ট) আতাউর রহমান ও বিশেষ পুরস্কার হিসাবে আজীবন সম্মাননায় জামিল চৌধুরীকে ভূষিত করা হয়। বিশেষ সম্মাননা হিসাবে প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
×