ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

একুশ শতক ॥ বাংলা বাঁচবে বাংলাদেশ বাঁচবে বাঁচবে নাহিয়ান

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১ মার্চ ২০১৫

একুশ শতক ॥ বাংলা বাঁচবে বাংলাদেশ বাঁচবে বাঁচবে নাহিয়ান

অমর একুশের গ্রন্থমেলা আমার নিজের মানসিক প্রশান্তির জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গা। এমন প্রশান্তি দুনিয়ার আর কোথাও আমার পাবার কথা নয়। এটি এমন একটি ভূখণ্ড যেখানে আমি আমার রাজ্যের একক সম্র্রাট। যখন ভাবি এই মেলার লাখ লাখ বইয়ের সব কটির সকল পাতার সকল শব্দের সকল হরফ নিজের হাতে তৈরি করেছি তখন জীবনটাকে অনেক সফল মনে হয়। ৮৭ সালে একটি সাধারণ বাংলা পত্রিকা প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে যে যুগের সূচনা হয়েছিল তার এমন বিস্তৃত রূপটি দেখতে ভাল না লেগে কি পারে? এই সময়ে বুড়িগঙ্গা দিয়ে অনেক পানি গড়িয়েছে। বাংলা হরফের ডিজিটাল যাত্রাতেও এসেছে প্রচুর বাঁক। আমার বিজয়ের আগে জন্ম নেয়া শহীদ লিপি ও নানা প্ল্যাটফরমে জন্ম নেয়া বর্ণ থেকে শুরু করে রোমান হরফে বাংলা লেখার হুজুগ পর্যন্ত নানা উপায়ে এমন অবস্থা তৈরি করা হয়েছে যাতে মনে হতে পারে যে ৮৭ সালের বিপ্লব বুঝি প্রতিবিপ্লবে পরিণত হয়েছে। ইন্টারনেটে বাংলা লিখতে গেলে প্রায়ই এমনটা শুনি যে, বিজয় বুঝি আর বেঁচে থাকবে না। রোমান হরফে বাংলা লেখার জোয়ারে বিজয়ের বিজয় বুঝি পরাজয়ে পরিণত হবে। অশুদ্ধ ও বিকৃতভাবে বাংলা লিখে শুদ্ধ ও বিজ্ঞানসম্মতভাবে বাংলা লেখার সৃষ্টিকে হত্যা করা হবে হয়ত। কিন্তু যদি কোনভাবে বইমেলায় পৌঁছে যাওয়া যায় তবে মনে হয় যে, এখানে সম্ভবত বিজয় ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই। সেজন্যই হয়ত বইমেলা সত্যি সত্যি আমার প্রাণের মেলা। ৮৮ সালের বিজয় কীবোর্ড আর সুতন্বী ফন্ট আজ বাংলার মানুষের প্রকাশ মাধ্যমে পরিণত হওয়াটার মতো এত বড় পুরস্কার আর কি হতে পারে? ওখানে গেলেই মনে হয়, বাঙালী জাতির মাঝে এমন আর কার ভাগ্য এতটা ভাল? যে বাংলা ভাষা যন্ত্রে আসার সূচনাটিই করেছিল বিদেশীর হাতে, বাংলা হরফ হয় ইউরোপ না হয় কলকাতা থেকে আনতে হতো তার পুরোটাই এখন বাংলাদেশে তৈরি হয়, সেটাও আমারই হাতে- সেই অনুভূতিটাই অসাধারণ। এই বইমেলায় কয়েক বছর রাস্তার পাশে স্টল নিয়ে বসতাম। প্রায় সব দিনই যেতাম। ২০০৮ সালে এই মেলার স্টলেই লিখেছিলাম, একুশের স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ। গতবার বাংলা একাডেমি আমাকে (বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি) স্টল দেয়নি। ফলে এবার স্টলের জন্য আবেদনও করিনি। তবে মনে হচ্ছে এবার চাইলে হয়ত স্টল কেন প্যাভিলিয়নই পেতাম। কারণ এবার মেলাটার পরিধি অনেক বড় হয়েছে। যাহোক মেলায় এবার কম গিয়েছি। সেদিন ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম গেলাম বিটিভির কম্পিউটার অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করতে। গিয়েই ফেঁসে গিয়েছিলাম। গোটা দুয়েক চ্যানেলে লাইভ কথা বলে মোট আটটি চ্যানেলে সাক্ষাতকার দিতে হয়েছিল। ছবি তোলার বিষয় তো ছিলই। শত শত বার মডেল হতে হয়েছে। এরপর ১৯ তারিখে যাইনি। ২০ তারিখ সকালে গিয়েছিলাম চড়ুই ডটকম-এর ডিজিটাল বই-এর এ্যাপ উদ্বোধন করতে। চড়ুই ডটকম রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, বঙ্কিম, জীবনানন্দ ও সুকান্তর রচনাবলীকে স্মার্ট ফোন ও ট্যাবলেটের উপযোগী করেছে। কয়েক বছর আগে আনন্দ চলন্তিকা এই রচনাবলীগুলোর ডিভিডি সংস্করণ প্রকাশ করেছিল। সেই আয়োজনে আমিও ছিলাম। আমার জন্য এটি আনন্দের যে চড়ুই-এর মাধ্যমে আমরা প্রকাশনার ডিজিটাল যুগে আরও একটি দৃঢ় পা ফেলতে পেরেছি। মেলায় গিয়ে জেনেছি বইপোকা নামক আরও একটি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল প্রকাশনায় অবদান রেখেছে। একুশের বিকেলও গিয়েছিলাম। সেদিন করেছিলাম একটি ঐতিহাসিক কাজ। একটি তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা পত্রিকার ব্রেইল সংস্করণ প্রকাশ করেছিলাম সেদিন। তবে ২০ ফেব্রুয়ারির বিকেলের যাওয়াটাই ছিল আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তখন কয়েক মিনিটের একটি কাজ ছিল। আমাকে জানানো হয়েছিল, মুকতাদির নাহিয়ান নামক এক তরুণের মূর্ত-বিমূর্ত ভাবনা নামক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করতে হবে। সন্ধ্যায় মিরপুর ছয় নাম্বারে অমর একুশে উপলক্ষে ছোটদের একটি অনুষ্ঠানের দাওয়াত ছিল বলে উদ্যোক্তাদের সময়টা আধাঘণ্টা এগিয়ে আনার অনুরোধ করায় তারা সাড়ে তিনটায় সময় ঠিক করে। মেলা প্রাঙ্গণের নজরুল মঞ্চে একটু আগে গিয়ে আবার ফেঁসে যাই। যারা তখন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করছিলেন তারা টেনে নিয়ে গেলেন মঞ্চে। চলে এল টিভি। এসব করতে করতে মোড়ক উন্মোচন করলাম নাহিয়ানের বই-এর। বইটিও হাতে এল। বইটির পেছনের প্রচ্ছদের ফ্ল্যাপে নাহিয়ানের ছবিটা দেখেই মনে পড়ল এই ছবিটা আমি দেখেছি। আমার ফেসবুকে বিপাশা মতিন নামের এক তরুণী আছেন তিনি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন তখন থেকেই একটি পোস্ট দেখতাম-নাহিয়ান বাঁচবেই। মেয়েটিকে আমি আরও চিনি বাংলাদেশের জিআই আইন প্রণয়নে তার অসাধারণ ভূমিকার জন্য। তখন লক্ষ্য না করলেও এবার বইটিতে দেখলাম-মুক্তাদির নাহিয়ান। ... ২০১৩ সালে আক্রান্ত হন দুরারোগ্য ক্যান্সারে। দেড় বছর লড়াই করেছেন ক্যান্সারের সঙ্গে। এই মরণযুদ্ধেও ছাড়েননি লেখালেখি।—-মাত্র ২৩ বছর বয়সে ১লা অক্টোবর ২০১৪ সালে সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। বিপাশা, তার স্বামী ও নাহিয়ানের ভাই-এর কাছ থেকে জানা গেল, নাহিয়ানের জন্য তারা ৮০ লাখ টাকা যোগাড় করে বোন মেরু প্রতিস্থাপন করেও শেষাবধি তাকে বাঁচানো যায়নি। ব্লাড ক্যান্সারের জন্য তার বোন মেরু প্রতিস্থাপন করেও তার বেঁচে থাকা হয়নি। ক্যান্সার আমার ব্যক্তিগত জীবনে চরম কষ্টের জায়গা। আমার শ্বশুর জনাব আব্দুর রশিদ ব্লাড ক্যান্সারে মারা যান। তার রিপোর্ট নিয়ে আমি কলকাতা গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা তখন কোন চিকিৎসার আশ^াস দিতে পারেননি। তার বোন মেরু প্রতিস্থাপন করা যায়নি। আমার ছোট বোন হেলেনও ক্যান্সারে অকালে মারা গেছে। ওর জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করেও আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। খুব সঙ্গতকারণেই নাহিয়ানের ছবিটা আমার চোখেও পানি এনেছে। এমন অল্প বয়সে একজন প্রতিভাবান তরুণকে আমরা কোনভাবেই হারাতে চাইনি। তবে ওর বইটার ১৮ পাতায় ছোট এক পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধ যখন পাঠ করি তখন তাকে নিয়ে গর্বে বুকটা ভরে গেছে। আসুন তার বইটার সেই পাতাটা পাঠ করি। লেখাটির নাম “আমাদের সংস্কৃতি”। “...জানি এরপরও কিছু ঘরে দিল মে বাজি ঘান্টিয়া... টুং টাং গান বাজবে। কিছু তরুণ নায়িকাদের উন্মুক্ত যৌবন দেখে আনন্দিত হবে... কিছু মেয়ে যথারীতি সিক্স প্যাকের পাল্লায় হাবু-ডুবু খাবে... বাচ্চারা রফিক-জব্বারের মতো ভাষা সৈনিকদের লজ্জায় ডুবিয়ে হিন্দি ভাষায় কথা বলবে... গায়ে হলুদ-রেগ ডে-ডি জে পার্টি তে লুঙ্গি ড্যান্স-পানি পানি টাইপ হাস্যকর গান বাজবে... কিছু ঘরে স্টার-জি চলবে... বউ-শাশুড়ি চুলাচুলি করবে... এসবে আমার আপত্তি নাই। সত্যিই নাই। সমস্যাটা হল যখন বাংলা ভাষা-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যকে অস্বীকার করে এইসব করে। নিজেকে তখন এতিম মনে হয়। পূর্ব পুরুষদের দেশপ্রেম-ভাষার প্রতি আবেগকে ধর্ষিত মনে হয়। কোন একজনের সঙ্গে কিছুদিন আগে চ্যাটে কথা হচ্ছিল। হঠাৎ গানের প্রসঙ্গ আসতে একটা জনপ্রিয় বাংলা গানের কথা জিজ্ঞেস করলাম শুনেছে কি না? উত্তর শুনে প্রচ- বিরক্তবোধ করলাম। বলল, আমি তো বাংলা গান তেমন শুনি না! বলে রাখা ভালো তার স্ট্যাটাস প্রায়ই হিন্দি গানের লিরিক দেখা যায়। হিন্দি গান নিয়ে আমার আপত্তি নাই। আশা ভোঁসলে, লতা, কিশোর কুমার, কুমার সানু, এ আর রহমান- এরা সঙ্গীতের ক্ষেত্রে প্রবাদতুল্য। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশি হয়ে আপনি নিশ্চয়ই বাংলা গানকে অস্বীকার করতে পারেন না! তারা বলে, বাংলাতে মজারু গান নাই! আবেগের গান নাই। আরে বাংলা গানের জগত যে পরিমাণ সমৃদ্ধ খুব কম ভাষাতেই এতটা সমৃদ্ধতা এবং বৈচিত্র্যতা দেখা যায়। রবীন্দ্র সঙ্গীতে রিজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গান শুনেছেন? কিংবা ফাতেমা তুজ জোহরার নজরুল গীতি? রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিনকে নিশ্চয়ই পরিচয় করায় দিতে হবে না? ভাবের গান দরকার? লালন সাঁই আছে... বৃষ্টি পড়তেছে... ভালো লাগার মানুষকে মনে পড়তেছে... বাপ্পা-তপু ওদের গান শুনেন! এবার আসি সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপারটায়! বাংলাদেশে নাকি ব্যান্ডের গান মানেই চিল্লাচিল্লি! কয়টা ব্যান্ডের গান শুনছেন ভাইয়া আপুরা? LRB-SOULS-MILES-FEEBDACK-WARFAZE এদের না হয় বাদই দিলাম। আর্টসেলের দুঃখ বিলাস/উৎসবের উৎসাহে... ব্ল্যাকের পরাহত কিংবা আজো শুনে দেখবেন। অর্থহীন-শিরোনামহীন-ভাইব-নেমেসিস-আরবো ভাইরাস এদের গান দেশের বাইরেও ঘরে ঘরে বাজে... টঘউঊজ এজঙটঘউ পাগলদের জায়গা? কধৎহরাধষ-নষঁহফবৎ ধিৎব-ড়হিবফ-ঃযব সধহধমবৎ-ড়ষফ ংপযড়ড়ষ-ফবভু-পরৎপষব-ধংযবং এদের গান শুনেছেন? কোন বাংলাদেশি যখন ‘স্মার্ট’ সাজার জন্য অবলীলায় বলে দেয় আই ডোন্ট লিসেন বাংলা মিউজিক... তখন ৫২ সালের ওইসব মানুষগুলার মুখ ভেসে ওঠে যারা শুধু বাংলা বলবে-বাংলা শুনবে এই আশায় বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিল। তাদের জায়গায় নিজেদের দাঁড় করিয়ে যখন দেখি... অসহায়ত্ব গ্রাস করে। আমি কি পারতাম আমার স্বপ্ন-আমার প্রিয় মানুষ সবাইকে পিছে ফেলে ভাষার জন্য নিজেকে ছুরির নিচে পেতে দিতে? তারা কি ভেবেছিলো ৬২ বছর পর লুঙ্গি ড্যান্স করতে করতে কোনও চুতিয়া বাংলাদেশি তাদের মৃত্যুকে ব্যঙ্গ করবে? এখনও সময় আছে... নিজেকে বদলাই... চিন্তা ভাবনাগুলো নতুনভাবে সাজাই...” নাহিয়ানের বইতে এমন অনেক প্রসঙ্গ আছে যা দেখে খুব সহজেই আন্দাজ করা যায় যে কি প্রচ- সাহসের সঙ্গে সে এই দেশটাকে ভালবাসত। নাহিয়ানের লেখাটিকে বাংলার বিকৃতির প্রসঙ্গটি নেই। আজকালের তরুণেরা বাংলা হরফের বদলে রোমান হরফ কতটা ব্যবহার করে, কত ভুল বানান ব্যবহার করে এবং লেখায় বলায় এই ভাষাকে কতটা বিকৃত করে সেটিও বলা নেই। ইদানিং বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে চারপাশে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখছি। সরকারের উচ্চ আদালত, বেসরকারী অফিস-ব্যবসা-বাণিজ্য, নগরীর রাজপথ বা শিক্ষাব্যবস্থার দিকে তাকালে হতাশার পরিমাণ বাড়ে। নাহিয়ানদের সংখ্যা কম এবং “দিল মে বাজে ঘন্টিয়ার” সংখ্যা বেশি বলে মনে হয়। সরকারীভাবে রোমান হরফে বাংলা লেখায় উৎসাহিত করার পাশাপাশি ইংরেজী শিক্ষার প্রসার ছাড়াও ইংলিশ ভার্সন নামক এক অদ্ভুত শিক্ষা পদ্ধতির প্রচলন তো আছেই। বইমেলার বাইরে বাংলা প্রকাশনার জগত সীমিত। পুরো বছরের শতকরা ৮০ ভাগ বই এই সময়েই প্রকাশিত হয়। এবার মাত্র সাড়ে তিন হাজার নতুন বই বাজারে এসেছে। পুরো বছরে না হয় আরও হাজার দেড়েক বই প্রকাশিত হয়। ১৭ কোটি মানুষের দেশে সাকল্যে পাঁচ হাজার বই যদি প্রকাশিত হয় তবে তার ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতেই হবে। বিশেষ করে প্রকাশনায় জ্ঞান ও সৃজনশীলতার জগতে যে ভাটার টান পড়েছে সেটি মনে করতেই হবে। বাংলা গানের জগত নিবু নিবু হয়ে আছে। বাংলাদেশের সিনেমা বলতে গেলে মারাই গেছে। রেডিওতে বাংলা ভাষার বিকৃতি অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এফ এম রেডিও শুনলে মনে হয় কেউ কানে গরম শীশা ঢেলে দিচ্ছে। টিভি চ্যানেলগুলো ইংরেজী মিশ্রিত খিচুড়ি ভাষার প্রসারে ব্যাপক অবদান রাখছে। উচ্চ শিক্ষায় বাংলার প্রবেশাধিকার নেই। উচ্চ আদালতে বাংলা শব্দ উচ্চারিতই হয় না। অবস্থা এতটাই হতাশাজনক যে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল কাশেম ফজলুল হক “রাষ্ট্রভাষা রক্ষা কমিটি” গঠন করেছেন। আমার নিজের উপলব্ধি হচ্ছে, যদি নাহিয়ানের মতো তরুণ আমাদের ঘরে ঘরে না জন্মায় তবে কোন কমিটি দিয়েই হয়ত আমরা বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে পারব না। তবে আশার কথা, নাহিয়ানরা মরে না। ওরা বাঁচে এবং সেজন্য বাঙালীও বাঁচবে। ঢাকা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ ই-মেইল : [email protected], ওয়েবপেজ: www.bijoyekushe.net, ww w.bijoydigital.com
×