ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ ক্ষমতায় থাকা কালে ও ক্ষমতা ছাড়ার পরবর্তী সময়ে ৩ হাজার থেকে ৬ হাজার ২০০ ডলারের সম্পদ আত্মসাত করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেছেন। বিশ্বের ২০টি দেশে সালেহের সম্পদ ছড়িয়ে আছে। এসব সম্পদের মধ্যে বাড়ি, নগদ অর্থ, ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব, সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। খবর বিবিসির। জাতিসংঘের প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘আলি আবদুল্লাহ সালেহের এই সম্পদ তৈরিতে যে তহবিল ব্যবহৃত হয়েছে তা ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় করা দুর্নীতি থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে গ্যাস ও তেল চুক্তির দুর্নীতিই মুখ্য ভূমিকা রেখেছে।’
ওই বিশেষজ্ঞদের ধারণা সালেহ এসব সম্পদের বেশিরভাগ বেনামে বিদেশে পাচার করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ইয়েমেন। দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে, আর অন্তরালে থেকে এই অস্থিরতায় সালেহ অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করছেন বলে মনে করা হয়। টানা ৩৩ বছর ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন সালেহ।
অতীতে সব সময় দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন তিনি। ২০১১ সালে আরব অঞ্চলের গণতান্ত্রিক বিপ্লব ‘আরব বসন্ত’র ঢেউয়ে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সালেহ। সম্প্রতি ইয়েমেনে শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের উত্থানেও গোপনে সেনাবাহিনীর একটি বড় অংশকে নিয়ে সালেহ প্রধান ভূমিকা রেখেছেন বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: